ঢাকা, শুক্রবার ০৫, ডিসেম্বর ২০২৫ ১৮:১১:২৬ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
আজ আসছে না এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা পেছাল খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ারে জুবাইদা রহমান ‘শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ভারতের ইতিবাচক সাড়া নেই’ বেশির ভাগ সবজিই ৬০-৮০ টাকার ওপরে বন্যায় সহায়তা: বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানালেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী

যে অভ্যাসগুলো আপনাকে অন্যের কাছে প্রিয় করে তুলবে

লাইফস্টাইল ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৫:০৮ পিএম, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ শনিবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

যেকোনো কাজের পরিবেশে, শ্রেণীকক্ষে অথবা কর্মক্ষেত্রে মুষ্টিমেয় কিছু ব্যক্তি থাকে যাদেরকে আলাদাভাবে দেখা হয়, যারা এমন এক আভা বিকিরণ করে যা দেখে সবাই তাদের সঙ্গে কথা বলতে চায়। এটা এই কারণে নয় যে তারা উচ্চস্বরে কথা বলে, অথবা তারা নিজেদের সম্পর্কে খুব বেশি কিছু বলে। 

এর কারণ হলো তারা সব সময় কিছু ছোট ছোট নিয়ম মেনে চলে। তাদের প্রভাব চটকদার প্রদর্শন থেকে আসে না, বরং দিনের পর দিন ধরে রাখা ছোট ছোট কিছু অভ্যাস থেকে আসে। এই ব্যক্তিরা জোর না করেই বিশ্বাস এবং সম্মান অর্জন করে, অন্যদের তা করতে বাধ্য না করে অনুপ্রাণিত করে এবং অনেকের মনে স্থায়ী ছাপ ফেলে। ভাগ্য বা প্রতিভা তাদের আলাদা করে তোলে না, বরং নিয়মানুবর্তিতার অভ্যাস তাদের এই জায়গায় পৌঁছে দেয়। 

প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা

এ ধরনের মানুষের মুখের কথা ও কাজে মিল থাকে। সহজ কথায় তারা প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে। এ ধরনের মানুষেরা সহজেই অন্যের কাছে প্রিয় হয়ে ওঠে। কারণ মানুষ তার কাছে নির্ভরতা খুঁজে পায়। কথা ও কাজে মিল না থাকলে সেই মানুষ কারও প্রিয় হতে পারে না। কারণ তার ওপর কেউ আস্থা রাখতে পারে না। প্রতিশ্রুতি দিয়ে তা রক্ষা না করলে, তা যত ছোটই হোক না কেন, মানুষের মনে জায়গা পাওয়া যায় না।

ভুল না করে ভুল স্বীকার করা

মানুষের ভুল হবেই। তবে কে কীভাবে নিজের ভুল স্বীকার করছে অথবা আদৌ স্বীকার করছে কি না, তার ওপর অনেককিছু নির্ভর করছে। অন্যের কাছে পছন্দনীয় ব্যক্তিরা দোষ এড়ানো বা কাল্পনিক গল্প তৈরি করার পরিবর্তে, তারা সরাসরি নিজের ভুল স্বীকার করে। জবাবদিহিতা এবং নম্রতা এ ধরনের মানুষকে এগিয়ে নিয়ে যায়, অন্যের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তোলে। ভুল স্বীকার করেই তারা নিখুঁত হয়ে ওঠে।

ক্রেডিট শেয়ার

অন্যকে কৃতিত্ব দিতে যারা কার্পণ্য করেন না, তাদেরকে কে না পছন্দ করবে! এই ছোট্ট অভ্যাসই আপনাকে অন্যের কাছে প্রিয় করে তুলবে। যখন কেউ দেখবে যে তার কৃতিত্বের স্বীকৃতি মিলছে, তখন নিজ থেকেই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ পাবে। মন খুলে অন্যের প্রশংসা সবাই করতে পারে না। যারা পারে, মানুষ তাদেরই ভালোবাসে। তাদের এই ছোট ছোট কাজগুলোই বাকিদের অনুপ্রেরণা হয়ে থাকে, আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেয়।

অন্যদের সময়কে গুরুত্ব দেওয়া

অনেকেই আছে যারা অন্যের সময় নষ্ট করাকে কোনো অপরাধ বলেই মনে করে না। কিন্তু মানুষের কাছে প্রিয় হয়ে ওঠা যেহেতু ছোট ছোট অভ্যাসের বিষয়, তাই এই অভ্যাসও সেখানে থাকতে হবে। অর্থাৎ মানুষের ভালোবাসা পেতে হলে তাদের সময়কে গুরুত্ব দিতে হবে। জীবনে বাকি মোটামুটি সবকিছু ফেরত পাওয়া সম্ভব হলেও সময় কখনো ফেরত পাওয়া যায় না। এই সময়কে কেউ গুরুত্বহীন হিসেবে দেখলে সে অন্যের কাছে প্রিয় হতে পারে না।