ঢাকা, শনিবার ২০, ডিসেম্বর ২০২৫ ১৩:৫৯:০২ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
নির্বাচনের বাকি ৫৩ দিন, সামনের প্রতিটি দিনই গুরুত্বপূর্ণ! ‘সীমান্তে অতন্দ্র প্রহরীর দায়িত্ব পালন করছে বিজিবি’ ওসমান হাদির মৃত্যুতে রাষ্ট্রীয় শোক আজ ট্রাভেল পাস হাতে পেয়েছেন তারেক রহমান উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর অফিসে আগুন

সেমন্তি আত্মহত্যা : ২ যুবকের বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৬:২৪ পিএম, ২১ আগস্ট ২০১৯ বুধবার

বগুড়ার ওয়াইএমসি স্কুলের দশম শ্রেণির স্কুলছাত্রী মায়িশা ফাহমিদা সেমন্তির (১৪) আত্মহত্যার ঘটনায় দুই যুবকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন তার বাবা হাসানুল মাসফের রুমন। আজ বুধবার ঢাকার সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে তিনি এ মামলা করেন।

বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন বাদীর শেষে বগুড়া সিআইডিকে আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। আসামিরা হলেন- বগুড়া জেলার সদর থানার জেল বাগান লেন, জলম্বরী তলার তৌহিদুল ইসলামের ছেলে আবির আহমেদ এবং একই এলাকার জিল্লুর রহমানের ছেলে শাহারিয়ার অন্তু।

আসামিরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নগ্ন ছবি ছেড়ে দেওয়ার কারণে সেমন্তির আত্মহত্যা করেছেন মর্মে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে। 

মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ১৮ জুন রাতে আসামি আবির আহমেদ বাদীর মোবাইল ফোনে জানায়, সেমন্তি আত্মহত্যা করতে পারেন। বাদী তাৎক্ষণিক মেয়েকে ডেকে জিজ্ঞাসা করেলে সে জানায়, আবিরের সঙ্গে তার ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল। তার কুপরামর্শে সে (সেমন্তি) মোবাইলে কিছু নগ্ন ছবি তোলে। যা সেমন্তির মোবাইল থেকে আবির তার মোবাইলে নিয়ে নেয়। যার মধ্যে একটি ছবি শাহরিয়ার অন্তুর কাছে আবির পাঠায়। পরে দুইজন মিলে ছবিগুলো ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। বাদী ঘটনা শুনে মেয়েকে সান্ত্বনা দিলেও ওইদিন রাতের যেকোনো সময় সেমন্তি সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করেন।

মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়, ঘটনার রাতে আবির ও অন্তু সেমন্তির সঙ্গে ৯১ বার মোবাইল ফোনে কথা বলেন। যা প্রমাণ করে আসামিরা ভিকটিমকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেন। এ ছাড়া সেমন্তি মারা যাওয়ার পর আসামি আবির গত ২১ জুন রাতে মামলার দুই নম্বর সাক্ষী জান্নাতুল ফেরদৌসের কাছে ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে সেমন্তির নগ্ন ছবি পাঠায়।

বাদী রুমন জানান, প্রায় ১৫ মাস আগে তার ছোট মেয়ে অসুস্থ হয়। তখন প্রতিবেশী তৌহিদুল ইসলামের ছেলে আবির রক্ত দেয়। সেই থেকে দুই পরিবারের মধ্যে সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। এরপর সেমন্তি ও আবিরের মধ্যে গ্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। একপর্যায়ে আবিরের ফাঁদে পড়ে সেমন্তি।