যশোর, চুয়াডাঙ্গাসহ রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে তেঁতুলিয়ায় ৭.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেই সাথে রংপুর বিভাগের ৮ জেলাসহ মোট ১১টি জেলায় শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।

গোপালগঞ্জে শীত জেঁকে বসেছে।কুয়াশার সাথে বইছে হিমেল হাওয়া। গোপালগঞ্জে তীব্র শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।

তীব্র শীতের মধ্যেই গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক জানান, আগামী দু’দিনে রাতের তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে। তবে বর্ধিত পাঁচ দিনে বৃষ্টি অথবা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে।

দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে বইছে শৈত্যপ্রবাহ। যা আরও তিনদিন চলবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, তাপমাত্রার ধারাবাহিকতা গত ৩০ বছরে একই রকম।

সারা দেশে শৈত্যপ্রবাহ আরো বাড়বে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।আজ শনিবার সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।

রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের বেশ কয়েকটি জেলায় বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। গত দু-তিন দিন ধরে দেখা নেই সূর্যের, ফলে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। এতে জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। এ অবস্থা আরও দুদিন থাকতে পারে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কুয়াশার স্থায়িত্ব কিছুটা কমায় সূর্যের দেখা মিলেছে। এতে দিনের তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে। কিন্তু দেশের কয়েকটি জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে।

শীতে কাঁপছে সারা বাংলাদেশ। গত কয়েকদিন ধরে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তীব্র শীত পড়ছে। এর সঙ্গে ঘন কুয়াশা শীতের তীব্রতা আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিচ্ছে। এর ফলে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

আজ বুধবার সারাদেশে রাতের এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা পার্থক্য কমে যাওয়ার কারণে দেশের উত্তর, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে মাঝারি থেকে তীব্র শীতের অনুভূতি অব্যাহত থাকতে পারে।

দেশের তিন জেলায় চলা শৈত্যপ্রবাহ আজ প্রশমিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে শুধু শ্রীমঙ্গলে ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

জানুয়ারি মাসে দেশে দুই থেকে তিনটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এর মধ্যে একটি মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ হতে পারে। এসময় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রিতে নামতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলায় ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। সোমবার সকালে এই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। যা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।

দেশের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের চারটি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এই শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।  

বৃহস্পতিবার রাতে তাপমাত্রা হঠাৎ কয়েক ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যাওয়ায় চলতি মৌসুমে রাজধানীতে সবচেয়ে বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

চুয়াডাঙ্গায় আবারও কমতে শুরু করেছে তাপমাত্রা। বেড়েছে শীতের দাপট। দিনের বেলায় সূর্যের দেখা মিললেও তাতে নেই কোনো উত্তাপ। ফলে উত্তরের হিমেল হাওয়ায় শীতের তীব্রতা বেড়ে গেছে কয়েকগুণ।

শীত মৌসুমে ডিসেম্বরের শেষ সময়ে ৯ ডিগ্রিতে নামল পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা। বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় জেলায় ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ।

দিনাজপুরের হিলিতে গত দুদিন থেকে মৃদু মৈত্যপ্রবাহ বইছে। সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) কিছুটা তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলেও শীতের প্রকোপ কমছে না।

উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা দিনাজপুর। তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় দিন দিন বাড়ছে শীতের প্রকোপ। সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হয় হিমেল বাতাস। আর তার সঙ্গে যোগ দেয় ঘন কুয়াশা।

১০ ডিগ্রিতে নেমেছে পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা। এ তাপমাত্রায় শীতে কাঁপছে উত্তর সীমান্তের জনপদ।

দিনাজপুরসহ উত্তরাঞ্চলে শীত জেঁকে বসেছে। তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় দিন দিন বাড়ছে শীতের প্রকোপ। সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হয় হিমেল বাতাস সঙ্গে ঘন কুয়াশা।

দিনের শুরুতেই সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় কাঁপছে নওগাঁবাসীরা। সূর্যের দেখা পাওয়া যায় না দিনের অনেকটা সময়। অনেক বেলা পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকে সবদিক। ঠাণ্ডার চোখরাঙানি উপেক্ষা করে মানুষকে তবুও বাইরে আসতে হয় জীবিকার প্রয়োজনে। 

পৌষে হাড় কাঁপানো শীতে জর্জরিত উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের বাসিন্দারা। তাপমাত্রা কমে বেড়েছে শীতের মাত্রা। হাড় কাঁপানো শীতে নাকাল হয়ে পড়েছে উত্তরের এই জনপদ।

খিরা চাষে লাভবান কুমিল্লার চরের কৃষকরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং খিরার ফলন ভালো হওয়ায় হাসি ফুটেছে কৃষকদের মুখে। কম খরচে লাভ বেশি হওয়ায় দিন দিন খিরা চাষ বাড়ছে এ অঞ্চলে।