ঢাকা, সোমবার ২২, ডিসেম্বর ২০২৫ ৮:১২:৫১ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
তুমি আমাদের বুকের ভেতরে আছো: প্রধান উপদেষ্টা সংসদ নির্বাচনের তফসিল সংশোধন ইসির আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে অ্যাপ ব্যবহার করবে ইসি খালেদা জিয়ার অসুস্থতা ঘিরে পরিকল্পিত গুজব ৬ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীর সামরিক মর্যাদায় দাফন আজ

অতিথি পাখির কলরবে মুখর জাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৯:২৯ এএম, ২১ ডিসেম্বর ২০১৯ শনিবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

শীতের বার্তা নিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) লেকগুলোতে আগমন করে অতিথি পাখি। পাখির কলকাকলি, ঝাঁকে ঝাঁকে বিচরণ, জলকেলি আর খুনসুটিতে মুখর হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাস।লাল শাপলার জলাশয়ে এখন হাজারো পাখির মিলনমেলা, পাখা ঝাপটানো অবাক করে সবাইকে। যেদিকে তাকানো যায় শুধু দৃষ্টিনন্দন বৈচিত্র্যময় অতিথি পাখির বিচরণ। যেন পাখির স্বর্গরাজ্য পরিণত হয়েছে পুরো ক্যাম্পাস।  

শহরের ব্যস্ত জীবনের যান্ত্রিকতা আর ধুলাবালি থেকে মুক্ত এই ক্যাম্পাসটিতে পাখির ছোঁয়া পেতে প্রতিদিন শত-শত পাখিপ্রেমীরা ভিড় জমান। হাজারো অতিথি পাখির কলকাকলি, জলকেলী, খুনসুটি, পুরো ক্যাম্পাসের আকাশে মনের সুখে দলবেঁধে উড়ে বেড়ানো। এর সৌন্দর্য নিজ চোখে না দেখলে বোঝা যাবে না। লাল শাপলার মাঝে ধূসর রঙের হরেক প্রজাতির পাখি মেলে ধরেছে জাবি ক্যাম্পাসের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে।

সাধারণত হিমালয়ের উত্তরের দেশ সাইবেরিয়া, চীন, মঙ্গোলিয়া ও নেপালে এই সময়টায় প্রচুর তুষারপাতের কারণে পাখিরা বাংলাদেশের মতো নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে চলে আসে। তাই দূর-দূরান্ত থেকে আসা নাম না জানা এসব পাখিকে স্বাগত জানায় জাবি ক্যাম্পাস। শীত চলে গেলে তারাও চলে যায় তাদের আপন ঠিকানায়। তাই এসব অতিথিকে স্বাগত জানাতে নতুনরূপে সেজেছে লেকগুলো।

বিশ্ববিদ্যালয়ে ছোট-বড় ১০ থেকে ১২টি লেক থাকলেও পাখি আসে মূলত চারটি লেকে। জাবির এই আঙিনায় অতিথি পাখিদের মধ্যে অন্যতম হলো, সরাল, পিচার্ড, গার্গেনি, মুরগ্যাধি, মানিকজোড়, কলাই, নাকতা, জলপিপি, ফ্লাইপেচার, কোম্বডাক, পাতারি, চিতাটুপি, লাল গুড়গুটি ইত্যাদি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের তথ্যমতে, ১৯৮৬ সালে সর্বপ্রথম এখানে অতিথি পাখি আসে। তখন ক্যাম্পাসে ৯৮ প্রজাতির পাখি দেখা যেত। বর্তমানে ১৯৫ প্রজাতির পাখির দেখা মেলে। এর মধ্যে ১২৬টি দেশীয় প্রজাতির এবং ৬৯টি বিদেশি। এদের বেশির ভাগই হাঁস জাতীয় পাখি। এ ক্যাম্পাসে যে সব পাখি আসে সেসবের মধ্যে ৯৮ শতাংশই ছোট সরালি। আর বাকি ২ শতাংশ অন্য প্রজাতির পাখি।

পাখিদের নিরাপত্তার জন্য প্রশাসন পক্ষ থেকে দেখা গেছে নানা রকম উদ্যোগ। লেকের পাশ দিয়ে লোহার তারের ব্যারিকেড তৈরি করা হয়েছে। যেখানে বিভিন্ন পোস্টারে লেখা আছে পাখিদের বিচরণ ক্ষেত্র, লেকের ভেতরে প্রবেশ ও লেকের পাড়ে পার্কিং নিষেধ অযথা হর্ন বাজাবেন না, পাখিদের দিকে ঢিল ছুড়বেন না ইত্যাদি। তবে পাখিদের আবাসস্থলে যে ধরনের নিরাপত্তা প্রয়োজন তা পর্যাপ্ত নয় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এছাড়াও লেকে ময়লা, খাবারের উচ্ছিষ্টাংশ, কচুরিপানার স্তূপ রয়েছে। পাখিদের নিরাপদ আবাসস্থল, মানসম্মত খাবার ও সার্বক্ষণিক রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন শিক্ষার্থীরা।

দৃষ্টিনন্দন লেকে নানা জাতের শাপলা আর তার মাঝে অতিথি পাখির বাহারি রূপের খুনসুটি শুধু ক্যাম্পাসবাসী নয়, দূর দূরান্ত থেকে আসা দর্শনার্থীরা এখানে এসে এই পাখি গুলোর প্রেমে পড়ে যায়।

-জেডসি