ঢাকা, বুধবার ২৪, এপ্রিল ২০২৪ ২২:০৯:২৮ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক নিষিদ্ধ করার বিল সিনেটে পাস ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ফের কমল স্বর্ণের দাম মক্কা ও মদিনায় তুমুল বৃষ্টির শঙ্কা খালেদার গ্যাটকো মামলায় চার্জগঠনের শুনানি পেছাল কুড়িগ্রামে তাপদাহ: বৃষ্টির জন্য নামাজ আদায় থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা

‘অনুপ্রাণন’-এর বই আলোচনা ও লেখক সম্মাননা অনুষ্ঠান

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১০:১৯ এএম, ৪ জানুয়ারি ২০২৩ বুধবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

শিল্প-সাহিত্যের কাগজ ত্রৈমাসিক ‘অনুপ্রাণন’র নতুন সংখ্যার মোড়ক উন্মোচন, অনুপ্রাণন প্রকাশন থেকে প্রকাশিত আটটি বইয়ের ওপর আলোচনা ও অনুপ্রাণন প্রকাশনের সাতজন সম্ভাবনাময় লেখককে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। তিন পর্বের এই আয়োজন গত শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকালে ঢাকার বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ইসফেনদিয়ার জাহিদ হাসান মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে শিল্প-সাহিত্যের ত্রৈমাসিক ‘অনুপ্রাণন’-এর ‘কবি ও কবিতা সংখ্যা চতুর্থ পর্ব’র মোড়ক উন্মোচন করা হয়। অতিথি ও আলোচকরা ছিলেন কবি জরিনা আখতার, কবি নাসির আহমেদ ও কবি গোলাম কিবরিয়া পিনু। এ সময় বক্তারা বলেন, বর্তমান সময়ে শুভবোধ ও সুরুচির অভাব। এর মধ্যেই অনুপ্রাণন আলো জ্বালানোর কাজটি চালিয়ে যাচ্ছে। লেখক সৃষ্টিতে সম্পাদকের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। অনুপ্রাণন ত্রৈমাসিক পত্রিকার মাধ্যমে সম্পাদক আবু এম ইউসুফ সে কাজটিই নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করছেন। কবি ও কবিতা নিয়ে যে কাজটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর করার কথা ছিল, সেটা হয়নি। এই ব্যর্থতার বিপরীতে দায়মোচন করেছে অনুপ্রাণন।

বর্তমান সংখ্যার মধ্য দিয়ে অনুপ্রাণন নির্বাচিত ১০০ কবির সংক্ষিপ্ত জীবনী, তাদের লেখা উল্লেখযোগ্য কবিতা ও কবিতা নিয়ে আলোচনা শেষ হলো। চলতি সংখ্যায় রয়েছে ২৩ জন কবির ওপর আলোকপাত। সম্পাদক আবু এম ইউসুফ তার আলোচনায় উল্লেখ করেন, কেন ‘বাংলা কবিতা’ না বলে ‘বাংলাদেশের কবিতা’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে এই বিশেষ আয়োজনকে।

আলোচ্য ২৩ জন কবি হলেন ফরিদা মজিদ, জিনাত আরা রফিক, মাহবুব সাদিক, জাহিদুল হক, আলতাফ হোসেন, জরিনা আখতার, মাসুদুজ্জামান, মুজিবুল হক কবীর, নাসির আহমেদ, মাহবুব বারী, সৈকত আসগর, মুহাম্মদ সামাদ, তুষার দাশ, অসীম কুমার দাস, বিশ্বজিৎ চৌধুরী, রিফাত চৌধুরী, মহীবুল আজিজ, সাজ্জাদ শরিফ, খালেদ হামিদী, খালেদ হোসাইন, কুমার চক্রবর্তী, শোয়েব শাদাব ও সুব্রত অগাস্টিন গোমেজ।

আলোচকরা হলেন শফিক হাসান, পলিয়ার ওয়াহিদ, সিদ্ধার্থ অভিজিৎ, মোহাম্মদ হোসাইন, কৃষক মাহমুদ, বঙ্গ রাখাল, ড. ইমদাদুল হক মামুন, ফারুক সুমন, আমিনুল ইসলাম সেলিম, তৌহিদ ইমাম, আলভী রহমান শোভন, মামুন রশীদ, আলীনুর রহমান, রবিউল ইসলাম, সৈয়দ নূরুল আলম, মাসুদুল হক, মোস্তফা হায়দার, আঁখি সিদ্দিকা, মিজান মনির, সুমন শামস, কবির মুকুল প্রদীপ, রহিমা আকতার কল্পনা ও হানিফ মোহাম্মদ।
দ্বিতীয় পর্বে অনুপ্রাণন প্রকাশন থেকে প্রকাশিত আটটি বই নিয়ে আলোচনা করা হয়। বই ও লেখকরা হচ্ছেন শ্রাবণী প্রামাণিক (প্রণয় মল্লার), নুসরাত সুলতানা (মহাকালের রুদ্রধ্বনি), লতিফ জোয়ার্দার (সুখগুলো সাদা শার্টের বুক পকেটে রাখি), মণীশ রায় (করোনাকালের ছায়া), রেহানা বীথি (বৃত্তের নিশিচারণ), আসমা সুলতানা শাপলা (সম্পর্কটা শুধুই জৈবিক), মোজাম্মেল হক নিয়োগী (তৃতীয় অধ্যায়) ও ভাস্কর চৌধুরী (স্বপ্নজাল)। আলোচক ছিলেন মনি হায়দার, সৈকত হাবিব, ড. বেগম জাহান আরা, মামুন মুস্তাফা, মামুন রশীদ, বাবুল আনোয়ার, আশফাক খান, রাহনুমা খান প্রমুখ। বই নিয়ে আলোচনা পর্বে নির্ধারিত তিনটি কবিতার বই থেকে বাচিক শিল্পী ও সংবাদপাঠক দেওয়ান সাঈদুল হাসানের আবৃত্তি করেন।

তৃতীয় পর্বে লেখক সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। ক্রেস্ট ও উত্তরীয় সম্মাননা দেওয়া হয় সাতজন সম্ভাবনাময় লেখক ও কবিকে। সম্মাননাপ্রাপ্তরা হচ্ছেন বঙ্গ রাখাল, রুখসানা কাজল, নাঈম হাসান, জোৎস্নালিপি, ইলিয়াস ফারুকী, আনোয়ার হোসেন বাদল ও অহনা নাসরিন। অহনা নাসরিনের অনুপস্থিতিতে তার পক্ষে সম্মাননা গ্রহণ করেন তার মেয়েজামাই আজমাইন আজীম।