ঢাকা, বৃহস্পতিবার ১১, ডিসেম্বর ২০২৫ ২০:৪৫:৪১ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
আজ সন্ধ্যায় তফসিল ঘোষণা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন সিইসি পুলিশি নিরাপত্তায় সচিবালয় ছাড়লেন অর্থ উপদেষ্টা ‘নির্বাচনে পুলিশ সদস্যদের শতভাগ নিরপেক্ষ থাকতে হবে’ বেআইনি ও অনুমোদনহীন সমাবেশ থেকে বিরত থাকার অনুরোধ ডিএমপির মা-মেয়েকে হত্যার ‘কারণ জানাল` গৃহকর্মী আয়েশা

ঈদ কেনাকাটায় জমছে না যমুনা ফিউচার পার্ক

আসমা আলমগীর | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:১৮ এএম, ৩১ মে ২০১৯ শুক্রবার

দেশের বৃহত্তম মার্কেট যমুনা ফিউচার পার্ক। আন্তর্জাতিক মানের এই বিশাল শপিংমল ঘুরে দেখা গেল হতাশ বিক্রেতারা। আর মাত্র কদিন পরই রোজার ঈদ। কিন্তু ঈদের কেনাকাটায় জমছে না এই আধুনিক শপিং মল। 

ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণে বিক্রেতারা আধুনিক সব পোশাকের পসরা সাজিয়ে বসেছেন। বিভিন্ন ব্রান্ডের শো-রুম রয়েছে যমুনা ফিউচার পার্কে। তবুও ক্রেতা টানতে পারছে না মার্কেটটি।

বিভিন্ন শো-রুমের কর্মকর্তারা জানান, মূলত রাস্তার জ্যাম এবং গরম আবহাওয়ার কারণে ক্রেতা কম আসছে। তবে বিক্রেতাদের প্রত্যাশা ঈদ যতো ঘনিয়ে আসবে ক্রেতাদের ভিড়ও তত বাড়বে।

ইনফিনিটি মেগা মলের বিক্রেতা আলম হোসেন বলেন, দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্রান্ডের শো-রুম বা শাখা একই ছাদের নিচে হওয়ায় দর্শনার্থী বেশি। কিন্তু সে তুলনায় ক্রেতা অনেকটাই কম। তার কথার সঙ্গে সুর মিলান আড়ং-এর বিক্রেতা পারভীন শায়লা মিতা।

তিনি আরো বলেন, এবছর রোজায় আমাদের অন্যান্য শাখার চেয়ে এই শাখায় বিক্রি এখনও কম। ঈদ উপলক্ষে বেশ কিছু পোশাকে ভিন্নতা এনেছি। তারপরও তেমন সাড়া পাচ্ছি না। 

তিনি জানান, তাদের শোরুমে কটনের তৈরি মেয়েদের জামা, থ্রি-পিস ইত্যাদি বিক্রি হচ্ছে সর্বনিন্ম ২০০০ থেকে সর্বোচ্চ ১১ হাজার টাকায়। ঈদের এক্সক্লুসিভ পোশাকগুলো বিক্রি হচ্ছে ৭০০০ থেকে ১৫ হাজার টাকায়। মেয়েরা এবার বেশিরভাগ সুতির সালোয়ার কামিজ বেশি পছন্দ করছে।

এ মার্কেটে রয়েছে দেশের প্রায় সব বড় বড় ফ্যাশন হাউস, কাপড়ের দোকান, জুতার দোকানসহ রয়েছে বিদেশি নামিদামি ব্র্যান্ডের আউটলেট। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানই রোজার ঈদকে কেন্দ্র করে তাদের ডিসপ্লে উইন্ডোতে তুলেছে নিত্যনতুন ডিজাইনের পোশাক, জুতাসহ অন্যান্য সামগ্রী।

মার্কেটের নিচতলায় জেন্টেল পার্ক, খান্নানি ব্রাদার্স, গো গ্রাসি, আড়ং, ইনফিটিনিটি, ক্যাটস আই, নবরূপা, সাদাকালো ইত্যাদি দোকানগুলোতে ক্রেতা টানতে বিক্রয়কর্মীরা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। 

মার্কেটের দোতলার ইয়েলো, এক্সটেসি, রিচম্যান, স্টেশন ২১ ও মডসহ অন্যান্য পোশাকের দোকানগুলোতেও হালফ্যাশনের পোশাকের ছড়াছড়ি দেখা গেছে। মার্কেটের জুতার দোকানগুলোর মধ্যে বাটা, গ্যালারি এপেক্স, জিলস, লট্টোতে ক্রেতাদের হালকা ভীড় লক্ষ্য করা গেল।

মার্কেটের বেশ কয়েকটি আউটলেটে সব বয়সী মানুষের জন্য সব ধরনের পোশাক বিক্রি হচ্ছে। নির্দিষ্ট দামে বিক্রি হলেও নেই কোনো মূল্য ছাড়। বরাবরের মত সময়ের সাথে সাথে দর্শনার্থীর পাশাপাশি বেচাকেনাও বাড়বে বলে বিক্রেতারা আশা প্রকাশ করে সে প্রহর গুণছেন।

সিদ্ধেশ্বরী থেকে এ মার্কেটে এসেছেন নুতন সরকার। তিনি বলেন, আসলে জ্যামের কারণে এই শপিং মলে খুব একটা আসা হয়না। তার ওপর রোজা রেখে এই গরমে এত দূর আসা ভীষণ কঠিন। তাছাড়া তুলনামূলকভাবে জিনিসপত্রের দামও এখানে বেশি।

একই কথা বললেন, উত্তরা থেকে আসা চন্দনা আমীন। তিনি বলেন, কি আর কিনবো। দাম অনেক বেশি এই মার্কেটে। সাধ্যের বাইরে সব কিছু। তাই শুধু দেখছি। কিনবো না।