ঢাকা, রবিবার ০৭, ডিসেম্বর ২০২৫ ২:৪৪:৪৬ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
খালেদা জিয়ার অবস্থা এখনও উদ্বেগজনক আরও পেছাল খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রা খালেদা জিয়ার এন্ডোসকপি সম্পন্ন, থামানো গেছে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ আগারগাঁওয়ে গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, নারীসহ দগ্ধ ৬ প্রবাসীদের নিবন্ধন ছাড়াল এক লাখ ৯৩ হাজার

একই সঙ্গে মা-মেয়ের স্নাতক ডিগ্রি

অনলাইন ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪.কম

আপডেট: ১১:১৮ পিএম, ৫ মে ২০১৮ শনিবার

সৌদি আরবের এক মধ্যবয়সী নারী নিজের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছেন। সালেহা আসসিরি নামের ওই নারী স্থানীয় এক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি নিয়েছেন।

সবচেয়ে মজার কথা হচ্ছে, তার মেয়ে মারামও মায়ের সঙ্গে এবার একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক শেষ করেছেন। হাইস্কুল শেষ করার আগেই বিয়ে হয়ে যায় সালেহার।

কিন্তু তার স্বপ্ন ছিল যেভাবেই হউক তিনি ডিগ্রি পাস করবেন। তবে কেবল স্বপ্ন দেখেই থেমে থাকেননি ওই নারী। তিনি চেষ্টাও করেছেন। অবশেষে চেষ্টার ফল মিলেছে।

সালেহা এবার কিং খালিদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিষয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেন। আর তার মেয়ে গ্রাজুয়েট করেন ব্যবসা বিষয়ে।

আল আরাবিয়া সংবাদ মাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সালেহা বলেন, নতুন করে পড়াশোনা শুরু করার পর কলেজ থেকে ডিগ্রি অর্জন করতে তাকে অনেক প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করতে হয়েছে। তবে ছেলেমেয়েরা তাকে নানাভাবে সমর্থন জুগিয়েছেন। তাদের সহযোগিতায় তিনি এখন চাকরি করারও স্বপ্ন দেখছেন।

তিনি বলেন, আমি বরাবরই পড়তে ভালোবাসতাম। কিন্তু স্কুলে পড়েতে বিয়ে হয়ে যাওয়ায় পড়া ছেড়ে দিতে হয়। কিন্তু ছেলেমেয়ে হওয়ার পর আমি আবার নতুন করে পড়তে শুরু করি। কিন্তু সংসার ও ছেলেমেয়ের দেখভালের পর পড়া চালিয়ে যাওয়াটা তার জন্য সহজ ছিল না।

এক্ষেত্রে তার মা তাকে সবসময় উৎসাহ আর অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন। মায়ের উৎসাহে বড়মেয়ে হাইস্কুল শেষ করে কলেজে যাবার পর নতুন করে পড়াশোনা শুরু করেন সালেহা।

সালেহা বলেন, যেদিন আমি কলেজে ভর্তি হই সেইদিনটি আমার জন্য ছিল উৎসবের মত। আমার ছেলে-মেয়ে ও বন্ধুবান্ধবরা আমাকে পড়াশোনা ও কাজকর্মে অনেক সাহায্য করেছে।

তবে দুঃখের বিষয় হচ্ছে, গতবছরই জান্নতবাসী হয়েছেন সালেহার মা। সালেহা এত কষ্ট করে ডিগ্রি পাস করলেন অথচ তার মা-ই মেয়ের এ সাফল্য দেখে যেতে পারলেন না। তাই বুঝি নিজের এই আনন্দে পুরোপুরি সুখী হতে পারছেন না