ঢাকা, বৃহস্পতিবার ১১, ডিসেম্বর ২০২৫ ২২:০২:৩২ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
গভীর নলকূপে পড়ে যাওয়া শিশু সাজিদকে জীবিত উদ্ধার আজ সন্ধ্যায় তফসিল ঘোষণা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন সিইসি পুলিশি নিরাপত্তায় সচিবালয় ছাড়লেন অর্থ উপদেষ্টা ‘নির্বাচনে পুলিশ সদস্যদের শতভাগ নিরপেক্ষ থাকতে হবে’ বেআইনি ও অনুমোদনহীন সমাবেশ থেকে বিরত থাকার অনুরোধ ডিএমপির মা-মেয়েকে হত্যার ‘কারণ জানাল` গৃহকর্মী আয়েশা

এখন চরম ব্যস্ত দর্জিবাড়ি

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪.কম

আপডেট: ০৪:২৯ পিএম, ৩ জুন ২০১৮ রবিবার

এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন নগরীর দর্জির দোকানের কারিগররা। দোকানে দোকানে ভোর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলছে কাপড় তৈরির কাজ। ঘুরেই চলেছে কারিগরদের সেলাই মেশিনের চাকা। অবসর নেই যেন। গত সপ্তাহের দৃশ্যপট বদলে গেছে। দোকানে দোকানে চলছে পোশাকের মাপ নেয়া, কাপড় কাটা আর সেলাই। এ অবস্থা চলবে চানরাত পর্যন্ত।

 

ঈদ সামনে রেখে দর্জিপাড়ায় এখন মহাব্যস্ততা। নতুন ফ্যাশনের পোশাক তৈরিতে অনেকেই ছুটছেন দর্জি দোকানে। দোকানগুলোতে মেয়েদের পোশাক বেশি তৈরি হচ্ছে। ছেলেদের শার্ট-প্যান্ট তৈরির চাপও কম নয়। 



নিজেদের পছন্দমতো পোশাক তৈরি করে নিতে অনেকেই ছুটছেন দর্জিবাড়ি। দর্জিরা বলছেন, শবেবরাতের পর থেকেই শুরু হয়েছে ঈদ উপলক্ষে ক্রেতাদের আনোগোনা। দিন গড়াতেই তাদের চাপ আরো বাড়বে। ডিজাইনের ওপর নির্ভর করে পোশাকের মজুরি রাখা হচ্ছে। তবে কেউ কেউ অভিযোগ করে বলছেন, সুযোগ পেয়ে টেইলারের দোকানগুলো মজুরি অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে।  

 

চাঁদনী চক, নিউমার্কেট ও গাউছিয়া ঘুরে জানা যায়, এখানে থ্রি-পিস তৈরির মজুরি সর্বনিম্ন ৪৫০ টাকা থেকে ১২শ’ টাকা পর্যন্ত। লং ফ্রক স্টাইলের পোশাক তৈরিতে খরচ পড়বে ৮শ’ থেকে ১৫শ’ টাকা পর্যন্ত। তবে ডিজাইনের ওপর মজুরির হেরফের হয়। 

 

গ্রাহক ও দর্জিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সিল্ক, জর্জেট, কাতান ও বেনারসি কাপড়ের মজুরি এ বছর অনেক বেশি। এসব কাপড়ের এক সেট থ্রিপিস বানাতে মজুরি লাগছে (দর্জি দোকানের প্রকারভেদে) ৩৫০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত। শিশুদের জামা সেলাই ৩০০ থেকে হাজার টাকা।

 

এ ছাড়া আনারকলি, মাসাতকালি, জিপসির আদলে জামার মজুরি ৪৫০-২০০০ টাকা। সালোয়ার কামিজের মজুরি ৩৫০-৮০০ টাকা, প্যান্টের মজুরি ৩০০-১০০০ টাকা। পাঞ্জাবি ও শার্টের মজুরি ২৫০-১০০০ টাকা। একইসঙ্গে ধানমণ্ডি, গুলশান, বনানী ও উত্তরার মতো অভিজাত এলাকায় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের টেইলার্সে মজুরির হার হাজার টাকা ছাড়িয়ে গেছে।

 

দর্জিরা বলেন, রোজার শুরু থেকেই কারিগররা রাত জেগে কাপড় সেলাই করছে। এই ব্যস্ততা তাদের চলবে ঈদের চাঁদ রাত পর্যন্ত। দর্জি মাস্টার আলি হোসেন বলেন, সব কিছুর যেমন দাম বেড়েছে; তেমনি কারিগরদের মজুরি বেড়েছে। আগে এক সেট সালোয়ার কামিজ সেলাই করতে হয়তো ২শ’ টাকা থেকে ৩শ’ টাকা লাগতো। এখন লাগছে সর্বনিম্ন ৪৫০ টাকা থেকে ৬৫০ টাকা পর্যন্ত মজুরি।

 

টেইলারের দোকানীরা এ অভিযোগ মানতে নারাজ। তারা জানান, ক্রেতারা আগের মত এখন আর ক্যাটালগ দেখে জামা বানায়না। বরং তারা নিজেরাই ইন্টারনেট থেকে পছন্দের ডিজাইন অনুসারে অর্ডার দেয়। ওই হিসেবে তারা জামা তৈরি করে দেন। স্বাভাবিকভাবেই কাজ বেশি থাকে। তাই মজুরিও বেশি নিতে হয়।



নগরীর নিউমার্কেটে অবস্থিত বাঁধন টেইলার্স এখন অর্ডার নিতে ব্যস্ত। বাঁধন টেইলার্স এর দর্জি মাস্টার আমজাদ হোসেন জানান, সাত রমজান থেকে তাদের প্রতিষ্ঠানে ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। এ পর্যায়ে তারা আগের অর্ডার ডিলেভারী দিয়ে নতুন অর্ডার নিতে শুরু করেছেন। তিনি আরো জানান তারা অর্ডার নেন প্রায় ১৮ থেকে ২০ রমজান পর্যন্ত। আর কাজের চাপ খুব বেশি হলে ১৫ রমজানেই সমাপ্তি করেন। এখন তাদের কাজের চাপ বেশি। তবুও অনেকের অনুরোধে নতুন অর্ডারগুলো নিচ্ছেন বলে জানান তিনি।



খিলগাঁও তালতলা মার্কেটের ঝর্ণা লেডিস টেইলার্স এ্যন্ড এমব্রয়টারীর মালিক অনন্যা রহমান ঝর্ণা জানান, তারা প্রায় ২০ রমজান পর্যন্ত অর্ডার নিয়ে থাকেন। এখনও তাদের কাছে অর্ডার আসছে।



মালিবাগসুপার মার্কেটের অরণ্য টেইলার্সের মালিক তুহিন রহমান বলেন, পাঁচ রমজানের পর থেকে অর্ডার আসতে শুরু করেছে। আমরা মূলত ২০ রমজান পর্যন্ত অর্ডার নিয়ে থাকি। তারপরেও কাজের ধরণ অনুযায়ী সময় নির্ধারণ করি। তিনি জানান, এ মার্কেটের দোতলায় টেইলারের দোকানগুলোতে শুধুমাত্র পাঞ্জাবি-পাজামা সেলাই করা হয়। প্রকার ভেদে শুধু পাঞ্জাবির মজুরি ২৫০ থেকে ৮০০ টাকা। এছাড়া পাঞ্জাবি-পাজামার মজুরি ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা।



রোজার মাঝামাঝি এ সময়টাতে কেউ পোশাক বানাতে দিচ্ছেন, আবার কেউবা তৈরি পোশাক ডেলিভিারি নিচ্ছেনে।  গাউসিয়া মার্কেটে দর্জির দোকানো মিরপুর থেকে আসা আফসানা পারভীন বলেন, অর্ডার আগেই দিয়েছি। আজকে জামা নিয়ে যাব।