ঢাকা, শুক্রবার ২৬, এপ্রিল ২০২৪ ১৩:১০:৫৭ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি ছাড়াবে আগামী সপ্তাহে থাইল্যান্ডের গভর্নমেন্ট হাউসে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী চলতি মাসে তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা নেই গাজীপুরে ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু থাইল্যান্ডের রাজা-রাণীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ

করোনা সংক্রমণের মধ্যেই আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ডেঙ্গু

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:৫৫ পিএম, ১৫ জুলাই ২০২১ বৃহস্পতিবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

করোনা মহামারির মধ্যেই দেশে আশঙ্কাজনক হারে বাড়তে শুরু করেছে ডেঙ্গু রোগী। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ না নিলে পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, বাংলাদেশের তাপমাত্রা সারা বছর অ্যাডিস মশা জন্মানোর উপযোগী। তবে বৃষ্টিপাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অ্যাডিস মশার ঘনত্ব বেড়ে যায়। শীতকালে যখন বাংলাদেশে বৃষ্টিপাত হয় না, তখনও ডেঙ্গু রোগী পাওয়া যায়। তবে সংখ্যা কম।

বাংলাদেশে আগস্ট এবং সেপ্টেম্বর মাসে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু রোগী হয়। তবে জুন, জুলাই, আগস্ট, সেপ্টেম্বর এই চারটি মাসকে ডেঙ্গুর মূল মৌসুম বলা হয়। সেই অনুযায়ী এই ডেঙ্গুর মৌসুমে করোনার মধ্যে প্রতিদিনই রোগী বাড়ছে হাসপাতালে।

হাসপাতালের তথ্য বলছে, উত্তর সিটি করপোরেশনের চেয়ে দক্ষিণ সিটিতে রোগী বেশি। আর অধিকাংশ রোগী ভর্তি হচ্ছেন সায়েদাবাদ ও যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে। তবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।

চলতি মাসের প্রথম ১৪ দিনেই রাজধানীতে ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে প্রায় ৫০০ জন। বর্ষা মৌসুম কেবল শুরু তাতেই রাজধানীর বেসরকারি হাসপাতালে (ঢাকা কাকরাইলের ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতালের) প্রতিদিন রোগী ভর্তি হচ্ছেন ২০ থেকে ৩০ জন।

এরই মধ্যে খোলা হয়েছে ডেঙ্গুর জন্য বিশেষ ওয়ার্ড। রোগীর স্বজনরা জানান, অধিকাংশের বাড়ির আশপাশে রয়েছে নির্মাণাধীন ভবন। হাসপাতালে ভর্তি এক শিশুরোগীর বাবা জানান, কয়েক দিন ধরে প্রচণ্ড জ্বর থাকায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরীক্ষা করার পর জানা গেছে ডেঙ্গু হয়েছে।

হাসপাতালে আসা এক নারী জানান, আমাদের বাড়ির ওপর এবং পাশে বাড়ি নির্মাণের কাজ চলছে। হয়তো সেখানে পানি জমে মশা হতে পারে। প্রথমে আমার বড় মেয়ের হয়েছিল সুস্থ হওয়ার পর ছোট মেয়েটির হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে এখনো মারাত্মক ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা তুলনামূলক কম। তবে যেসব রোগী আসছেন তাদের ৫০-৬০ শতাংশই যাত্রাবাড়ী ও সায়েদাবাদ এলাকার।

রাজধানীর কাকরাইলের ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতালের ডেপুটি সুপার ডা: মো: আব্দুল ওয়াহাব বলেন, জানুয়ারি থেকে এ মাসে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেশি। প্রতিদিই প্রায় ১২ থেকে ১৪ জন ডেঙ্গু রোগী আসছেন। ভর্তি আছে ৫০ জনের ওপরে।

এদিকে মশানিধনে যে চিরুনি অভিযান শুরু হয়েছে তা অব্যাহত থাকবে। গত বছরের চেয়ে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে তবে তা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছেন দক্ষিণের মেয়র।

তিনি বলেন, আমরা এখন যে কিটনাশক দিচ্ছে সেটি ম্যালাথিয়ন। আমরা কার্যক্রম শুরু করেছি। তারপরও আমরা লক্ষ্য করছি যেহেতু এ বছর বৃষ্টি বেশি তাই ডেঙ্গু গত বছরের চেয়ে একটু বেড়েছে। যদিও ২০১৯ ও ’১৮-এর চেয়ে এখানো অনেক নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা গত পরশু দিন পর্যন্ত ঊর্ধ্বমুখী ছিল, গতকাল খবর নিয়েছি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা এখন নিম্নমুখী হচ্ছে। আমরা আশাবাদী, আমাদের এ চিরুনি অভিযান চলমান থাকবে। আর এ অভিযানের মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করতে পারব। মানুষকে সচেতনতার মাধ্যমে ডেঙ্গুর প্রকোপ থেকে মুক্ত হতে পারব।

মূলত অ্যাডিস ইজিপ্টি ও অ্যাডিস এলবোপিকটাস ডেঙ্গুর সংক্রমণ ঘটায় বলে জানিয়েছে বিশেষজ্ঞরা। অ্যাডিস ইজিপ্টিকে গৃহপালিত ও নগরের মশা বলা হয়। এটি মানুষের বাড়ি এবং বাড়ির আশপাশে জন্মাতে এবং থাকতে পছন্দ করে। অ্যাডিস ইজিপ্টি ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ ডেঙ্গু বিস্তারে ভূমিকা রাখে। অ্যাডিস এলবোপিকটাস ডেঙ্গু বিস্তারে ৫ থেকে ১০ শতাংশ ভূমিকা রাখে।


-জেডসি