কোভিড: দেশে নারীদের মধ্যে মৃত্যুহার বাড়ছে কেন
বিবিসি বাংলা অনলাইন | উইমেননিউজ২৪প্রকাশিত : ০১:২৩ এএম, ৮ আগস্ট ২০২১ রবিবার
ফাইল ছবি।
দেশে কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ক্ষেত্রে পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন ব্যাপক গতিতে ছড়িয়ে পড়া ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের পাশাপাশি নারীদের মধ্যে টিকা না নেয়ার প্রবণতাও এমন পরিস্থিতির জন্য দায়ী।
স্বাস্থ্য বিভাগের হিসেবে দেশে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যে ২২ হাজার ১৫০ জন মারা গেছে তার মধ্যে ১৪ হাজার ৮২২ জন পুরুষ ও ৭ হাজার ৩২৮ জন নারী।
অর্থাৎ মোট মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৬৬ দশমিক ৯২ শতাংশ পুরুষ ও ৩৩ দশমিক ০৮ শতাংশ নারী।
যদিও চলতি বছরের পহেলা মার্চ পর্যন্ত দেশে পুরুষের মৃত্যুর হার ছিলো ৭৫ দশমিক ৬১ ও নারীদের ২৪ দশমিক ৩৯।
মূলত এর পর থেকেই মৃতদের তালিকায় পুরুষের সংখ্যা বেশি থাকলেও নারীদের সাথে ব্যবধান কমে আসার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ কাওসার আফসানা বলছেন নারীদের মৃত্যুর সংখ্যা আগের তুলনায় কিছুটা বেড়ে যাওয়ার মূলে ব্যাপক গতিতে ছড়িয়ে পড়া ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট।
তিনি বলেন, তবে টিকাদানের ক্ষেত্রে নারী পুরুষের অনুপাত সম্পর্কিত তথ্য পাওয়া গেলে হয়তো দেখা যাবে বয়ষ্ক নারীদের মধ্যে টিকা দেয়ার প্রবণতা এখনো কম। আবার বাড়িতে কেউ অসুস্থ হলে নারীরাই তাদের যত্ন এবং দেখা-শোনার দায়িত্ব পালন করে থাকেন। এসব কারণে তারা এমনিতেই ঝুঁকির মধ্যে ছিলেন।
তিনি বলেন, পারিবারিক ও সামাজিক কিছু সংস্কৃতিও নারীদের জন্য ঝুঁকির পরিবেশ তৈরি করছে। যেমন ধরুন বাইরে থেকে বাজার করে আনলে এখনো বহু পরিবারে গৃহকর্ত্রীই সেগুলো আগে দেখে থাকেন। আবার বাইরে থেকেও অনেকে বয়স্কদের দেখতে আসে। এই করোনার সময় বিশেষ করে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট আসার পর এসব বিষয়গুলো নারীর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাড়িয়েছে।
স্বাস্থ্য বিভাগের পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করলে দেখা যে গত এপ্রিল থেকে পর্যায়ক্রমে মৃত্যুর ক্ষেত্রে নারী পুরুষের ব্যবধান কমছে অর্থাৎ নারীদের মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে।
পহেলা এপ্রিল পর্যন্ত করোনাভাইরাসে মারা যাওয়া মানুষের মধ্যে পুরুষ ছিলো ৭৫ দশমিক ২০ শতাংশ ও নারী ছিলো ২৪ দশমিক ৮০ শতাংশ।
পহেলা মে পর্যন্ত পুরুষের মৃত্যুর হার ৭২ দশমিক ৮৯ শতাংশ ও নারীর ২৭ দশমিক ১১ শতাংশ এবং পহেলা জুন পর্যন্ত পুরুষ ৭২ দশমিক ১৬ শতাংশ ও নারীর ২৭ দশমিক ৮৪ শতাংশ।
আবার পহেলা জুলাই পর্যন্ত যত জন মারা গেছে তার ৭১ দশমিক ১১ শতাংশ পুরুষ আর ২৮ দশমিক ৮৯ শতাংশ নারী।
তবে নারী ও পুরুষের মধ্যে ব্যবধান কমে আসার চিত্র আরও স্পষ্ট হয়েছে চলতি মাসের প্রথম সাত দিনে।
স্বাস্থ্য বিভাগের হিসেবে পহেলা অগাস্ট অগাস্ট পর্যন্ত যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের মধ্যে নারী ছিলো ৩২ দশমিক ৩৯ শতাংশ। এরপর ৬ অগাস্ট এটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩ দশমিক ০৮ শতাংশে।
আরেকজন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ মুশতাক হোসেন বিবিসি বাংলাকে বলছেন ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট অধিক সংক্রমণশীল, যাতে একজন আক্রান্ত হলে পরিবারের সবাই আক্রান্ত হচ্ছে। এ কারণে নারীদের আক্রান্ত হবার প্রবণতা বেড়ে গেছে।
তিনি বলেন, আর সংক্রমণ বাড়লে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়াটাই স্বাভাবিক। নারীদের মধ্যে সংক্রমণ বাড়ছে বলেই মৃত্যুর হারও বাড়ছে।
- ভৈরবে বোরো ধানের বাম্পার ফলন
- রোববার যেসব এলাকায় ব্যাংক বন্ধ থাকবে
- কোলে চড়ে ভোট দিলেন বিশ্বের সবচেয়ে খর্বকায় নারী
- সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের রহস্য ফাঁস
- নিয়োগ দেবে হীড বাংলাদেশ, যারা আবেদন করবেন
- অন্দরে সবুজের ছোঁয়া, গরমে মিলবে স্বস্তি
- কুমিল্লায় সূর্যমুখী চাষে কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে
- যুদ্ধ কোনো সমাধান দিতে পারে না, এটা বন্ধ হওয়া উচিত: প্রধানমন্ত্রী
- ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে সন্তানকে নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিলেন মা
- বিরল এক মহাজাগতিক ঘটনার সাক্ষী হলো দেশ
- কাপ্তাই হ্রদে ৩ মাস মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা শুরু
- পার্টিতে পূর্ণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে : রওশন এরশাদ
- বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস আজ
- আরও ৩ দিন হিট অ্যালার্ট জারি
- গরমে শিশু ও নবজাতকের যত্ন কীভাবে নিবেন
- খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরো বাড়ল
- ২৯ ফেব্রুয়ারি বা লিপ ইয়ার নিয়ে ১০টি মজার তথ্য
- জমজমাট ফুটপাতের ঈদ বাজার
- দেশে ধনীদের সম্পদ বাড়ছে
- এবার বাংলা একাডেমি গুণীজন স্মৃতি পুরস্কার পাচ্ছেন যারা
- গুলবদন বেগম: এক মুঘল শাহজাদির সাহসী সমুদ্রযাত্রার গল্প
- বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দল ঘোষণা
- যে বিভাগে বিচ্ছেদের হার বেশি
- ৭ই মার্চ পরিস্থিতি, কেমন ছিলো সেই দিনটি
- ঘরের মাটিতে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
- শেখ মুজিবের ৭ই মার্চের ভাষণের নেপথ্যে
- সদরঘাট ট্র্যাজেডি: সপরিবারে নিহত সেই মুক্তা ছিলেন অন্তঃসত্ত্বা
- দিনাজপুরে ব্যাপক পরিসরে শিম চাষের লক্ষ্য
- জিমন্যাস্টিকসে শিশু-কিশোরদের উৎসবমুখর দিন
- শবে বরাত যেভাবে বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানে উৎসবে পরিণত হলো