ঢাকা, বৃহস্পতিবার ১১, ডিসেম্বর ২০২৫ ২১:৫৯:১১ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
গভীর নলকূপে পড়ে যাওয়া শিশু সাজিদকে জীবিত উদ্ধার আজ সন্ধ্যায় তফসিল ঘোষণা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন সিইসি পুলিশি নিরাপত্তায় সচিবালয় ছাড়লেন অর্থ উপদেষ্টা ‘নির্বাচনে পুলিশ সদস্যদের শতভাগ নিরপেক্ষ থাকতে হবে’ বেআইনি ও অনুমোদনহীন সমাবেশ থেকে বিরত থাকার অনুরোধ ডিএমপির মা-মেয়েকে হত্যার ‘কারণ জানাল` গৃহকর্মী আয়েশা

ক্রেতার ভিড় ঈদ বাজারে

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪.কম

আপডেট: ০১:২২ এএম, ৩ জুন ২০১৮ রবিবার

রোজার মাসের মাঝামাঝিতে এসে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা, কাল শুক্রবার রাজধানীর বিপণি বিতানগুলোতে ক্রেতা উপস্থিতিতে ছিল সরব। আজও ছিল সরকারি ছুটির দিন। তাই গতকালের ধারাবাহিকতা আজও দেখা গেল। আর বেচা-বিক্রিতে বিক্রেতারা তো মহাখুশি। দম ফেলার সময় পাচ্ছেন না তারা।

 

 

আজ আবহাওয়া ভাল থাকায় গতকালের মতই সকাল থেকেই ক্রেতাদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে যমুনা ফিউচার পার্ক,বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্স, নিউ মার্কেট, গাউছিয়া, চাঁদনী চক, নূরজাহান সুপার মার্কেট, চন্দ্রিমা সুপার মার্কেট, গুলশান ডিএনসিসি মার্কেট, আজিজ সুপার মার্কেট ও বঙ্গবাজারসহ বিভিন্ন বিপণিবিতান। শুধু দিনেই নয় , বেচা-কেনা চলছে রাত পর্যন্ত। ক্রেতা-বিক্রেতা সহ সবাই ব্যস্ত।

 

চাঁদনী চক মার্কেটে এসেছেন তাবাস্সুম তৈয়বা। বলেন,কালকে আসিনি ভিড় হবে বলে। কিন্তু আজকে এসে দেখি একই অবস্থা। আজও কথা হল নিউ টাইম ফ্যাশনের বিক্রয়কর্মী ফরিদের সাথে। বলেন, আজকেও ক্রেতার অভাব নেই। চাঁদনী চকে কেনাকাটা করা হাজারীবাগের গৃহিনী সালেহা বেগম বলেন, কালকে বাচ্চাদের কেনাকাটা শেষ করেছি, আজকে আমাদেরটা করব।

 

 

নিউ মার্কেটের মেয়েদের পোশাকের দোকানেও ক্রেতার সমাগম। এই মার্কেটে কেনাকাটা করতে আসা রোকেয়া হলের শিক্ষার্থী নাসরীন বলেন, আজকে কেনাকাটা করতে এলাম বান্ধবীদের নিয়ে। এখানেই আজ ইফতার করব।

 

কারওয়ানবাজার এলাকার বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সেও ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় দেখা যায়। সবচেয়ে বেশি ভিড় দেখা গেছে পোশাকের দোকানে। এর বাইরে জুতা, প্রসাধনী ও অলঙ্কার এবং মোবাইলের দোকানে বেশ ভিড় হয়। মার্কেটের শাড়ির দোকান সুকন্যা শাড়ি হাউস শাড়ি কিনছেন তামান্না রহমান। বললেন, দুইটা শাড়ি কিনলাম। দাম নিল ১৬ হাজার টাকা। বসুন্ধরায় কেনাকাটা করতে আসা সরকারী চাকুরীজীবি সুমাইয়া আক্তার বলেন ,কালকে থেকে অফিস শুরু। আজকে ছুটি ,তাই দিনটিকে কাজে লাগাচ্ছি।

 

যমুনা ফিউচার পার্ক ঘুরে দেখা গেল ঈদের কেনাকাটার জন্য প্রতিটি ফ্লোরে ভিড় করেছেন অসংখ্য পরিবারের সদস্যরা। আড়ং এ এসেছেন যুথি,কল্পনা,স্বপ্না তিন বান্ধবী। একসাথে কিনাকাটা করবেন। যুথি আড়ং থেকে একটি সালোয়ার কামিজ কিনেছেন যার দাম ছয় হাজার টাকা। কল্পনার আবার ওয়েষ্টার্ণ পোশাক বেশি পছন্দের। ক্যাটস আই থেকে কিনলেন নিজের মনের মত। স্বপ্নার আবার প্রিয় পোশাক শাড়ি। কাতান শাড়ি কিনেছেন নয় হাজার টাকা দিয়ে।

 

 

পাশাপাশি বিভিন্ন ফুটপাত , মিরপুর রোডের বিভিন্ন ছোটখাটো মার্কেট, সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়, এলিফ্যান্ট রোড, বেইলি রোড়, ইস্টার্ন প্লাজা, পলওয়েল, নয়াপল্টনের গাজীভবন, মৌচাক, কর্ণফুলী সিটি গার্ডেন, পুরান ঢাকার ইসলামপুর, সদরঘাট এলাকাসহ মিরপুর, ওয়ারি, রাজধানী সুপার মার্কেটসহ সায়াদাবাদ-যাত্রাবাড়ী এলাকার বিভিন্ন মার্কেট, ধানমন্ডি, গুলশান, বনানী, উত্তরার প্রায় সব ধরনের মার্কেটেই ক্রেতারা যেন আজ হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন।

 

এবারের ঈদ-মার্কেটে বরাবরের মতোই ফ্যাশনের বাড়তি আবহ সৃষ্টি করেছে দেশীয় ফ্যাশন হাউসগুলোর নিজস্ব সৃষ্টিকর্ম। এর বাইরে রয়েছে ভারত, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, চীন এমনকি ইতালিসহ ইউরোপ ও আমেরিকার পণ্য। প্রায় সর্বত্রই ভারতীয় ডিজাইনের কাপড় ও শাড়ির সংগ্রহ লক্ষ্য করা গেছে। যেহেতু গরম সেহেতু ভারতীয় সুতির থ্রিপিসের কদর বেশি দেখা গেল। পাকিস্থানী সালোয়ার কামিজের বরাবরই চাহিদা থাকে। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। তবে ব্রান্ডের মধ্যে ফেরদৌস,সানা সাফিনা,কারিযমা, মতিস ফ্যাশন বেশ জনপ্রিয়। এছাড়াও ভারতীয় হিন্দি ও বাংলা সিরিয়ালের নায়ক-নায়িকাদের নামে পোশাকে ছড়াছড়ি। বিশেষ করে পদ্মাবতী পোশাক বাছাইয়ে ব্যস্ত তরুণী। সিনেমায় দীপিকা যে পোশাক পরেছেন, তাই বাংলাদেশের ঈদবাজারে পদ্মাবতী নামে ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন বিক্রেতারা।

 

নারীদের কেনাকাটার আরেক স্থান মালিবাগের মৌচাক মার্কেট। সেখানে শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, থান কাপড় ইত্যাদির পসরা সাজিয়েছেন বিক্রেতারা,আজ তারা যেন দমও ফেলতে পারছেন না। বিক্রেতারা বলেন,ভাই কালকে থেইকা বেচাকেনা শুরু হয়েছে। দোয়া কইরেন। একই এলাকার আনারকলি, কর্ণফুলী গার্ডেন সিটি এবং টুইন টাওয়ারেও বিক্রেতারা ক্রেতার সঙ্গে দরকষাকষিতে ব্যস্ত। এর বাইরে গুলশান, বনানী, উত্তরা, বারিধারার বিভিন্ন ফ্যাশন হাউসে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মত।