ঢাকা, রবিবার ২১, ডিসেম্বর ২০২৫ ২২:১৮:১১ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
তুমি আমাদের বুকের ভেতরে আছো: প্রধান উপদেষ্টা সংসদ নির্বাচনের তফসিল সংশোধন ইসির আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে অ্যাপ ব্যবহার করবে ইসি খালেদা জিয়ার অসুস্থতা ঘিরে পরিকল্পিত গুজব ৬ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীর সামরিক মর্যাদায় দাফন আজ

চাকরিতে জয়েনের আগেই প্রীতির বুক ছিদ্র করে বেরিয়ে গেলো গুলি!

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১০:০৫ পিএম, ২৫ মার্চ ২০২২ শুক্রবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

রাজধানীর শাহজাহানপুরে বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১০টার দিকে এলোপাতাড়ি গুলি করে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপুকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। একই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে সামিয়া আফরান জামাল প্রীতি নামের এক কলেজছাত্রীও নিহত হন।

শুক্রবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিহত টিপু ও প্রীতির লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেন ঢামেক ফরেনসিক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. জান্নাতুন নাইম।

জানা গেছে, টিপুর শরীর থেকে সাতটি গুলি বের করা হয়েছে। আর প্রীতির শরীরে কোনো গুলি পাওয়া যায়নি। কারণ তার শরীরের এক দিক দিয়ে ঢুকে অন্যদিকে একটি গুলি বেরিয়ে গেছে।

প্রীতির লাশের সুরতাল করেন শাহজাহানপুর থানার এসআই তমা বিশ্বাস। সুরতহাল প্রতিবেদনে এসআই তমা উল্লেখ করেন, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে প্রীতি নিজের বাসা থেকে রিকশাযোগে বান্ধবীর সঙ্গে তাঁর বাসায় যাচ্ছিলেন। রাত আনুমানিক সোয়া ১০টার দিকে উত্তর শাহজাহানপুর সড়কে এলে দুর্বৃত্তরা এলোপাতাড়ি গুলি করে। এতে তিনি গুলিবিদ্ধ হন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

সুরতহাল প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, প্রীতির বাম স্তনের ওপরে একটি ছিদ্র এবং পিঠের ডান পাশে মাঝ বরাবর একটি গোল চিহ্ন রয়েছে।

শুক্রবার (২৫ মার্চ) প্রীতির বান্ধবী সুমাইয়া গণমাধ্যমকে বলেন, প্রীতি তার মা-বাবা ও ছোট ভাইয়ের সঙ্গে পশ্চিম শান্তিবাগে ভাড়া বাসায় থাকতেন। তবে গত ৪ দিন সে খিলগাঁও তিলপা পাড়ায় আমার বাসায় ছিল। সেখান থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাসায় ফিরছিল। তবে, নিজের বাসার কাছে এসেও ফিরে আসতে হয় প্রীতিকে। বাসার কাছাকাছি গেলে প্রীতিকে তার মা হঠাৎ ফোন দিয়ে বলেছিলেন- চট্টগ্রাম থেকে প্রীতির মামা-মামী এসেছেন। সে যেন আজকেও আমার বাসায় থাকে। আগামীকাল যেন বাসায় যায়।

প্রীতিদের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগরে। সেখানে যাতায়াত কম। বাবার চাকরিসূত্রে ঢাকায় থাকে তার পরিবার।

প্রীতির বাবা মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা সাধারণ পরিবারের নিরীহ মানুষ। আমার মেয়ের হত্যার ঘটনায় আমরা কোনো মামলা করব না। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। সাধারণ জীবনযাপন করি। কার বিরুদ্ধে মামলা করব? হয়তো এক্সিডেন্টলি ঘটনাটি ঘটে গেছে।আল্লাহ একজন আছেন, তিনিই দেখবেন।

তিনি আরো বলেন, মিরপুর-২ এ একটি কোম্পানির ফ্যাক্টরির প্রডাকশনে চাকরি করি। বেতন বেশি পাই না। অনেক কষ্টে মেয়ে প্রীতি ও ছেলে সোহায়েব জামাল সামি ও স্ত্রীকে নিয়ে পশ্চিম শান্তিবাগের একটি বাসায় ভাড়ায় থাকি।

জামাল উদ্দিন বলেন, প্রীতি বদরুন্নেসা কলেজে ইন্টারমিডিয়েটে পড়তো। পরিবারের অবস্থা বিবেচনা করে নিজে চাকরির চেষ্টা করছিল৷ ১৫ হাজার টাকায় একটা অফিসে চাকরি নিয়েছিল। সামনের মাসে জয়েন করার কথা ছিল মেয়েটার। কিন্তু সেটা আর হলো না।