ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৫, ডিসেম্বর ২০২৫ ৪:৫০:৫৩ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
পূর্বাচল ৩০০ ফিটে নেতাকর্মীদের ঢল মগবাজারে ককটেল বিস্ফোরণে যুবক নিহত পোস্টাল ভোটে নিবন্ধনের সময় বাড়লো হাদি হত্যায় মোটরসাইকেল চালকের সহযোগী গ্রেপ্তার ইন্টারনেট শাটডাউন চিরতরে নিষিদ্ধ করল সরকার

ছয় মাসের মধ্যে ধর্ষকের ফাঁসি চাই: সায়মার বাবা

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৫:৩৭ পিএম, ৭ জুলাই ২০১৯ রবিবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর ওয়ারী এলাকায় সামিয়া আক্তার সায়মাকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার ধর্ষকের ফাঁসি দাবি করেছেন সায়মার বাবা আব্দুস সালাম।

রোববার (৭ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন শেষে সামিয়ার বাবা সাংবাদিকদের উদ্দেশে কথা বলতে গিয়ে শুরুতেই কেঁদে ফেলেন।

তিনি বলেন, আমার মেয়েকে দু’ভাবে নির্যাতিত করা হলো। আমি সর্বোচ্চ তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে আসামির ফাঁসি কার্যকর চাই। খুবই অল্প সময়ের মধ্যে আসামিকে গ্রেফতার করায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানান তিনি।

দেশবাসীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যাদের সন্তান আছে তারা এসব কুরুচিপূর্ণ ব্যক্তির কাছ থেকে কীভাবে আপনার সন্তানদের দূরে রাখবেন বিষয়টি ভেবে দেখবেন। আমি আমার মেয়েকে দেখে রাখতে পারিনি। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মেয়েটা আমার স্ত্রীকে বলে ১০ মিনিটের জন্য বাইরে গেলো। এরপর আমার মেয়েটা আর ফিরলো না, তাকে নৃশংসভাবে খুন করা হলো। গত দু’দিন ধরে আমি একফোঁটা পানিও খেতে পারিনি। ঘরে গেলে মেয়ের কাপড়-চোপড়, ছবি দেখে আর ঠিক থাকতে পারি না। আমার পুরো পরিবারটা বিধ্বস্ত হয়ে গেলো।

ভেজা গলায় মেয়ের স্মৃতিচারণ করে চলেন বাবা আ. সালাম। পরক্ষণেই চোখ মুছতে মুছতে বলেন, আজকের পর যেন ঘটনাটা ধামাচাপা পড়ে না যায়। দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।

এর আগে সংবাদ সম্মেলনে ডিবি জানায়, সায়মাকে ছাদ ঘুরিয়ে দেখানোর প্রলোভনে ৮ তলার লিফট থেকে ছাদে নিয়ে যান হারুন অর রশিদ। সেখানে নবনির্মিত ৯ তলার ফ্ল্যাটে সায়মাকে ধর্ষণ করেন। এরপর নিস্তেজ অবস্থায় পড়ে থাকে সায়মা। মৃত ভেবে সায়মার গলায় রশি দিয়ে টেনেহিঁচড়ে রান্না ঘরের সিঙ্কের নিচে রেখে পালিয়ে যান হারুন।

ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল বাতেন ঘটনার লোমহর্ষক বর্ণনায় বলেন, এ ধরনের ঘটনা অত্যন্ত কুরুচির পরিচায়ক। মানবতাবিরোধী অপরাধ। এ ধরনের অপরাধীরা সাধারণত ধর্ষণের পর যখন ভাবে এই অপকর্মের কারণে সে বাঁচতে পারবে না তখনই হত্যার মতো ঘটনা ঘটায়। এক্ষেত্রেও তাই ঘটিয়েছেন ঘাতক হারুন।

তিনি বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় ৬টা থেকে সাড়ে ৬টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। ওই দিন মাকে বলে শিশু সায়মা ৮ তলায় যায়। সেখানে ফ্ল্যাট মালিক পারভেজের একটি বাচ্চা রয়েছে। তার সঙ্গে সায়মা প্রায়ই খেলাধুলা করতে যেতো। সায়মা ওই বাসায় গেলে পারভেজের স্ত্রী জানায় তার মেয়ে ঘুমাচ্ছে। সেখান থেকে বাসায় ফেরার উদ্দেশ্যে লিফটে ওঠে সায়মা। সেখানেই সায়মার সঙ্গে দেখা হয় পারভেজের খালাতো ভাই হারুনের। হারুন সায়মাকে লিফট থেকে ছাদ দেখানোর প্রলোভন দেখিয়ে ছাদে নিয়ে যায়।

সেখানে অত্যন্ত পাশবিকভাবে সায়মাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। সায়মা চিৎকার করলে সায়মার মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করে। সায়মাকে নিস্তেজ দেখে গলায় রশি লাগিয়ে টেনে নিয়ে যায় রান্নার ঘরে। সেখানে সিঙ্কের নিচে সায়মার মরদেহ রেখে পালিয়ে যায়।

আব্দুল বাতেন বলেন, আসামি হারুন পারভেজের খালাতো ভাই। তিনি পারভেজের রঙের দোকানে কাজ করে আসছিলেন। সেই সুবাদে ওই বাসাতেই থাকতেন হারুন।

শুক্রবার (৫ জুলাই) রাত ৯টার দিকে রাজধানীর ওয়ারীতে বহুতল একটি ভবনের ৯ তলার খালি ফ্ল্যাট থেকে শিশু সায়মার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ভবনের ছয়তলায় নিহত তার বাবা আবদুস সালামসহ পরিবারের সঙ্গে থাকতো। সন্ধ্যার দিকে খেলা করতে বাসা থেকে বেরিয়ে যায়। তারপর থেকে শিশুটি নিখোঁজ ছিল।


-জেডসি