জমে উঠেছে রাজশাহীর ঈদ বাজার
নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪প্রকাশিত : ১১:১১ এএম, ৪ এপ্রিল ২০২৪ বৃহস্পতিবার
সংগৃহীত ছবি
পবিত্র ঈদুল ফিতর আসতে আর মাত্র কয়েক দিন বাকী। এরই মধ্যে জমে উঠেছে রাজশাহীর ঈদ বাজার।
দিন যত গড়াচ্ছে রাজশাহীর ঈদবাজার ততই জমে উঠছে । বিশেষ করে থ্রি পিস, শাড়ি ও পাঞ্জাবি বিক্রি বেড়েছে। এছাড়ও লেহেঙ্গা, ফ্লোর টাচ, আলিয়া, নায়রা, সিঙ্গেল কোত্তাসহ বিভিন্ন ডিজাইনের পোশাক সহজেই ক্রেতাদের নজর কাড়ছে।
বিক্রেতারা বলছেন, ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে বাজার ততই জমে উঠছে। প্রতিদিন গড়ে ৭০ থেকে ৮০ কোটি টাকার বেচাকেনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা।
ক্রেতাদের অভিযোগ, গত বছরের তুলনায় এ বছর প্রতিটি পোশাকের দামই উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেশি। ঈদুল ফিতরে নারী ও শিশুদের পোশাকের বিক্রি বেশি হয়। সেসব পোশাকের দামও যেন তুলনামূলকভাবে বেশি। নতুন পোশাকের পসরা সাজানো বিক্রেতাদের দাবি, পাইকারিতেই এবার তাদের বেশি দামে কিনতে হচ্ছে পোশাক। আর ক্রয়মূল্য বেশি হওয়ার কারণেই তাদের বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, রাজশাহীর সাহেববাজার, আরডিএ মার্কেট ও গণকপাড়া এখন বেশ সরগরম। রমজানের প্রথম ১০ দিন পার হওয়ার পর এসব এলাকায় বিপণিবিতানগুলোতে ভিড় বাড়তে শুরু করেছে।
প্রতি বছরের মতো এবারও ভিন্ন ভিন্ন নামের পোশাক এসেছে বাজারে। এ বছর আলিয়া কাট, আরিগ্রাউন্ড, ইন্ডিয়ান গ্রাউন্ড, নাইরা কাট, সারারা, গাড়ারা ও পাকিস্তানি গাউন বেশি চলছে। এর মধ্যে ক্রেতাদের প্রধান আকর্ষণে পরিণত হয়েছে নারীদের ‘আলিয়া কাট’ আর ‘নাইরা কাট’ জামা। এ ছাড়া বাচ্চাদের পোশাক, বিশেষ করে বিভিন্ন নকশার পাঞ্জাবিতেও রয়েছে সমান আকর্ষণ। ১২০০ থেকে শুরু করে ১৩ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে এসব পোশাক।
নগরীর সাহেববাজারে অবস্থিত আরডিএ মার্কেটের ক্রেতাগোষ্ঠী প্রধানত মধ্যম আয়ের মানুষ। এবারও এই মার্কেটে বাহারি রঙের পোশাক এসেছে। তবে দাম বেশি বলে অসন্তুষ্টি জানাচ্ছেন ক্রেতারা।
বাবা শহিদুল ইসলামের হাত ধরে ঈদের কেনাকাটা করতে এসেছিল ছোট্ট শিশু আয়শা। তারও পছন্দ ‘নাইরা কাট’ জামা। বাবা শহিদুল ইসলাম বলেন, “দাম অনেক বেশি। গতবারের চেয়ে অন্তত দেড় থেকে দ্বিগুণ বেশি দামে পোশাক বিক্রি হচ্ছে। এখন উৎসব তো, যত কষ্টই হোক না কেন, বাচ্চাদের নতুন পোশাক কিনে দিতেই হবে। একটা ‘নাইরা কাট’ জামা কিনেছি, ১৮০০ টাকা নিয়েছে। এটা অনেক বেশি।”
রাজশাহীর আরডিএ মার্কেটের বিক্রেতা ফারুক হোসেন বলেন, রোজার প্রথম থেকেই ক্রেতারা ঈদের কেনাকাটা করতে আসতে শুরু করেছেন। গত বছরের চেয়ে এ বছর সব পোশাকের দামই বেড়েছে। এবার বেশি বিক্রি হচ্ছে আলিয়া কাট, আরিগ্রাউন্ড, ইন্ডিয়ান গ্রাউন্ড, নাইরা কাট, সারারা, গাড়ারা ও পাকিস্তানি গাউন। তবে তরুণীদের বেশি আগ্রহ আলিয়া কাট ও নাইরা কাটে। এগুলো মানভেদে ১২০০ থেকে ১৫ হাজার টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে।
নগরীর সব বিপণিবিতান আর বিভিন্ন ব্র্যান্ডের শোরুমগুলোও ঝলমলে আলোতে সাজানো হয়েছে। বিক্রেতারা আশাবাদী এবারের ঈদবাজার নিয়ে। ফড়িং রাজশাহী শাখার ম্যানেজার এমরান হোসেন বলেন, আমরা ঈদকে বাড়তি গুরুত্ব দিয়েছি। নতুন নতুন নকশার বিভিন্ন ফ্যাশনের পণ্য আনা হয়েছে। বিশেষ করে নাইরা কাটিং, সিকুন্সের পাঞ্জাবি, নিজস্ব বিভিন্ন ডিজাইনের থ্রিপিস আনা হয়েছে।
বেচা-বিক্রি বাড়তে থাকায় নগরীর শপিং মল থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিপনি বিতানগুলো যেনো সেজেছে নতুন রূপে। ক্রেতাদের টানতে মার্কেটগুলোতে বাহারি রংয়ের বিভিন্ন ডিজাইনের নায়রা, আলেয়া, সিঙ্গেল কোত্তা, ফ্লো-টার্চসহ ভারতীয় বিভিন্ন ল্যাহেঙ্গার আধিক্য রয়েছে।ক্রেতারা বলছেন, দেশী-বিদেশি যাই হোক ঈদে চাই পছন্দের পোশাক। কিন্তু তা হতে হবে সাধ্যের মধ্যে। শুধু মার্কেট নয়, বিভিন্ন দেশীয় ব্র্যান্ডের আউট লেটেও যাচ্ছেন ক্রেতারা। শুধুমাত্র দেশীয় পোশাকের টানে।
রাজশাহী নগরীর আলুপট্টি মোড়ে আড়ং ফ্যাশানে কেনাকাটা করতে এসেছেন লায়লা খাতুন। তিনি বলেন, ইন্ডিয়ান বা অন্য পোশাকগুলো সবাই আনতেই পারে। কিন্তু দেশীয় পণ্যগুলো মূলত একটি কোম্পানির এক একটি আলাদা ডিজাইন থাকে। ইউনিক হয়। তাই এখানেই কিনতে এসেছি। ভালোও লাগছে। দামও সমর্থের মধ্যে।
লারিভ ফ্যাশানে ক্রেতা রাজিব বলেন, দেশীয় পণ্য বেশ সুন্দর হয়। এছাড়াও পরিধান করেও বেশ স্বাচ্ছন্দ্য লাগে। তাই দেশীয় পণ্যের উপরেই ঝুঁকেছি। এবার দেশীয় পণ্যেই ঈদ করবো।
ক্রেতা চাহিদা মাথায় রেখে বিদেশি পোশাকের পাশাপাশি দেশীয় আউট লেটগুলোতে শোভা পাচ্ছে, লং কামিজ, আবায়া, নাগিসাস, টারকিস, যা ক্রেতাদের বেশ আকৃষ্ট করছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
গ্রামীণ চেক রাজশাহী শাখার ম্যানেজার শামসুল হক বলেন, গ্রামীণ চেক বেশ ভালো প্রস্তুতি নিয়েছে এবার। দেশীয় ডিজাইনের উপর বেশ কিছু শাড়ি আনা হয়েছে। ব্যবসাও বেশ ভালো হচ্ছে।
দর্জি বাড়ি ফ্যাশানের ম্যানেজার ফয়সাল হোসেন বলেন, দেশীয় ফ্যাশন হিসেবে এবার অনেক কিছু এসেছে। আশা করছি বেশ ভালো ব্যবসা হবে। আমাদের যে টার্গেট তা পূরণ করতে পারবো। বেশ সাড়া পাচ্ছি।
রাজশাহী ব্যবসায়ী সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সেকেন্দোর আলী বলেন, ঈদের কেনাকাট জমে উঠেছে। দিন যত এগোবে ব্যবসার হার তত বাড়বে। এবার ৫০০ কোটি টাকার বেচাকেনা হবে বলে আশা করছি। এখন গড়ে প্রতিদিন ৭০ থেকে ৮০ কোটি টাকার বেচাকেনা হচ্ছে।
- ভারতীয় নাগরিকদের বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানো হচ্ছে: মমতা
- হয় ‘প্রশিক্ষিত কিলার’ অথবা অতিরিক্ত ক্ষোভ, বলছে পুলিশ
- বিয়ে নিয়ে যা বললেন রিয়া চক্রবর্তী
- ৪ নারীর হাতে বেগম রোকেয়া পদক তুলে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা
- নারীর অংশগ্রহণে গড়ে উঠুক নতুন বাংলাদেশ: প্রধান উপদেষ্টা
- রোকেয়া দিবস আজ
- ‘ভিন্ন অপু বিশ্বাসকে দেখতে চলেছে দর্শকরা’
- যশোরে মহিলা লীগ নেত্রী মহুয়া গ্রেপ্তার
- জাপানে ভূমিকম্পে আহত ৩০, বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন ২ সহস্রাধিক বাড়িঘর
- সব মেয়েরই উচিত স্বাধীনভাবে চলা : কেয়া পায়েল
- ঢাকায় বাড়ছে শীত, তাপমাত্রা নেমেছে ১৭ ডিগ্রিতে
- ‘এই মুহূর্তটির জন্যই অপেক্ষা করছিলাম’
- তেঁতুলিয়ায় আজও তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির ঘরে
- ওপেনএআই`র অ্যাপ সাজেশন নিয়ে বিতর্ক
- এইচএসসি পরীক্ষার মূল নম্বরপত্র বিতরণ শুরু আগামীকাল
- আপাতত লন্ডন যাচ্ছেন না খালেদা জিয়া
- রোকেয়া দিবস আজ
- বিয়ে ভেঙে দিলেন স্মৃতি
- ওপেনএআই`র অ্যাপ সাজেশন নিয়ে বিতর্ক
- খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি
- আমদানির খবরে কমলো পেঁয়াজের দাম
- আবারও বেড়েছে মূল্যস্ফীতি
- চুল লম্বা করতে চাইলে কী খাবেন?
- মোহাম্মদপুরে মা–মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা, গৃহকর্মী পলাতক
- হাড় শক্তিশালী করবে যেসব খাবার
- নিজেকে ‘সৌভাগ্যবতী’ বললেন ঋতুপর্ণা
- পাঁচ বছরের জন্য ইসির নিবন্ধন পেল ৮১ পর্যবেক্ষক সংস্থা
- বিজয় দিবসে পতাকা হাতে বিশ্বরেকর্ড গড়ার প্রত্যয় বাংলাদেশের
- খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আসছে মঙ্গলবার
- অপরিপক্ব নবজাতককে পুকুর ফেলে দিলো মা

