ঢাকা, মঙ্গলবার ১৬, ডিসেম্বর ২০২৫ ১০:২৬:২০ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
আজ মহান বিজয় দিবস দেশজুড়ে চলছে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২’ বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে : রাষ্ট্রপতি সাংবাদিকদের কল্যাণে প্রয়োজনীয় সব উদ্যোগ নেবে সরকার ‘হয়তো জানতেও পারবো না, মা কবে মারা গেছেন’

জেনে নিন কাঁচা মরিচের ৫ রকম উপকারিতা

অনলাইন ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:১১ পিএম, ২১ নভেম্বর ২০২২ সোমবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

আমাদের রান্নাঘরের অন্যতম পরিচিত উপাদান হলো কাঁচা মরিচ। আপনি কি জানেন, বোটানিক্যাল শ্রেণিবিন্যাস অনুসারে কাঁচা মরিচ আসলে ফল? আরও স্পষ্ট করে বললে এটি আসলে বেরি জাতীয় ফল। মজার না? এর ঝাঁঝালো স্বাদ এবং রঙের জন্যই বেশিরভাগ মসলাদার খাবারেই ব্যবহার করা হয়। মরিচে থাকে বিভিন্ন ভিটামিন যেমন ভিটামিন এ, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন কে। সেইসঙ্গে এতে থাকে মিনারেল যেমন ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফোলেট, পটাশিয়াম, থিয়ামিন, আয়রন, কপার ইত্যাদি। যে কারণে প্রতিদিনের খাবারে মরিচ রাখা জরুরি। জেনে নিন কোন ৫ কারণে প্রতিদিন মরিচ খাওয়া জরুরি-

মেদ কমায় এবং স্থুলতা প্রতিরোধ করে: মরিচে থাকা ক্যাপসাইসিন নামক উপাদান ঝাল স্বাদ সৃষ্টি করে। এর আছে বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা। ক্যাপসাইসিন হলো শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা উচ্চ মাত্রার কোলেস্টেরল ও স্থুলতা প্রতিরোধে কাজ করে। নিয়মিত মরিচ খেলে তা মেদ কমায় এবং সেইসঙ্গে আপনাকে পৌঁছে দেয় কাঙ্ক্ষিত ওজনের লক্ষ্যে।

ক্যান্সার দূরে রাখে: ভারতের মনিপাল হাসপাতালের পুষ্টিবিদ বৈশালী ভার্মা বলেন, ‘বায়োঅ্যাক্টিভ উপাদান যেমন ফ্ল্যাভোনয়েড, ফেনোলিক অ্যাসিড, ক্যারোটিনয়েড এবং অ্যাসকরবিক অ্যাসিডের অন্যতম উৎস হলো কাঁচা মরিচ। এসব উপাদানের রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য। ক্যাপসাইসিনের কেমো-প্রতিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ফলে কাঁচা মরিচ খেলে তা বিভিন্ন ক্যান্সার কোষ যেমন স্তন ক্যান্সার, প্রোস্ট্যাটিক ক্যান্সার, কোলোরেক্টাল ক্যান্সার, ফুসফুসের ক্যান্সার, গ্যাস্ট্রিক ক্যান্সার এবং অগ্ন্যাশয় ক্যান্সারে কোষ বৃদ্ধির প্রতিরোধে করতে কাজ করে।’

হার্ট ভালো রাখে: ক্যাপসাইসিনের অনেকগুলো ফার্মাকোলজিকাল সুবিধা রয়েছে। এটি দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা এবং ইস্কেমিক হার্ট ডিজিজ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। মরিচের সবুজ রঙ ক্লোরোফিল এবং ক্যারোটিনয়েডের সংমিশ্রণ। ক্যারোটিনয়েড আলো এবং অক্সিজেন থেকে শরীরের টিস্যুকে সুরক্ষা দিতে পারে। নিয়মিত মরিচ খেলে হৃদরোগের কারণে মৃত্যুর ঝুঁকিও কমে। এটি কার্ডিওভাসকুলার রোগ এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও কাজ করে।

বয়স ধরে রাখে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়: কাঁচা মরিচ অ্যাসকরবিক অ্যাসিড (ভিটামিন সি) এর অন্যতম উৎস। অ্যাসকরবিক অ্যাসিড ফ্রি র‌্যাডিক্যালের সঙ্গে লড়াই করার মতো শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি ত্বকের ভেতর থেকে উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে। অধিক পরিমাণ অ্যান্টি অক্সিডেন্ট অল্প বয়সেই বুড়িয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা প্রতিহত করতে পারে। এর অ্যান্টি-ইনফ্লামেশন, অ্যান্টি-অ্যালার্জি ও অ্যান্টি-অক্সিডেশন বৈশিষ্ট ত্বকের কোষ ভালো রাখে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে: নিয়মিত কাঁচা মরিচ খেলে তা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি বাতের ব্যথা কমাতেও সমানভাবে কাজ করে। আমাদের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরি এবং বজায় রাখার জন্য কাঁচা মরিচ একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। ক্যাপসাইসিনে আর আরও আছে অ্যান্টি-মাইক্রোবায়াল বৈশিষ্ট্য। এটি শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করতে কাজ করে।

টাইমস অব ইন্ডিয়া অবলম্বনে