ঢাকা, বৃহস্পতিবার ১৮, এপ্রিল ২০২৪ ১৬:৪৮:০৭ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই দেশ আরও উন্নত হতো টাইমের ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় বাংলাদেশের মেরিনা নান্দাইলে নারী শ্রমিককে কুপিয়ে হত্যা তীব্র গরমে জনজীবনে দুর্ভোগ, বাড়ছে জ্বর-ডায়রিয়া কারাগার থেকে সরিয়ে গৃহবন্দী অবস্থায় সুচি কৃষকরাই অর্থনীতির মূল শক্তি: স্পিকার মধ্যপ্রাচ্যের দিকে নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

টেক্সট মেসেজ যখন শিশুর জন্মের কারণ

বিবিসি বাংলা অনলাইন | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১১:৪২ এএম, ৮ ডিসেম্বর ২০১৯ রবিবার

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

লেনি কেহন্ট ও জেরেমি কেহন্ট দম্পতি সন্তানের জন্য পরিকল্পনা করছিলেন। স্বামী জেরেমি যেন ধূমপান ছেড়ে দেন, সেজন্য নিয়মিত তাকে অনুরোধ করতেন স্ত্রী লেনি।

২০১৬ সালের মে মাসে স্ত্রী লেনিকে পাঠানো এক টেক্সট মেসেজে জেরেমি প্রতিজ্ঞা করেন যে তিনি ধূমপান ছেড়ে দেবেন। ঐ মেসেজে স্ত্রী'র কাছে আরেকটি অদ্ভূত অনুরোধও করেন জেরেমি।

তিনি লেখেন, আমি যদি কখনো মোটর সাইকেল দুর্ঘটনায় পড়ে কোমায় চলে যাই অথবা ব্রেইন ডেড হয়ে যাই, তাহলে আমাকে সয়ংক্রিয়ভাবে বাঁচিয়ে রাখবে এবং আমার শুক্রাণু নিয়ে সন্তান জন্ম দেবে।

সেসময় লেনি চিন্তাও করতে পারেননি যে কয়েকদিনের ম্যধেই তাকে এরকম পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হবে। ঐ টেক্সট মেসেজ পাওয়ার মাস দুয়েকের মধ্যেই এক মোটর সাইকেল দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় জেরেমি কেন্টের। দুর্ঘটনায় মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পরপরই জেরেমির পাঠানো টেক্সট মেসেজের কথা মনে পড় লেনির।

"জেরেমি'র মৃত্যুর রেশ কাটার আগেই আমার স্বাভাবিকভাবেই ঐ টেক্সট মেসেজটির কথা মনে পড়ে। আমার পাশে সেসময় আমার মা, খালা ও বন্ধু ছিল। আমি তখনই তাদেরকে টেক্সট মেসেজটি দেখাই এবং জানাই যে আমি এই চেষ্টা করে দেখতে চাই।"

কিন্তু ততক্ষণে জেরেমির মৃত্যুর ২৪ ঘন্টা পেরিয়ে গেছে। লেনি তখনও নিশ্চিত ছিলেন না যে তার শরীর থেকে শুত্রাণু নেয়া আদৌ সম্ভব হবে কিনা।

সেসময় ইউরোলজিস্ট ক্যাপি রথম্যানের সাথে যোগাযোগ করেন তিনি।

ডাক্তার রথম্যানও নিশ্চিত ছিলেন না যে জেরেমি'র দেহ থেকে শুক্রাণু নিয়ে আসলেই কার্যকরভাবে তা লেনির ডিম্বানুতে প্রবেশ করিয়ে সন্তান জন্ম দেয়া সম্ভব হবে কিনা।

"শুক্রাণু ৩২ বছর সংরক্ষণ করে রাখার পরও তা থেকে সন্তান জন্ম নিতে পারে, কিন্তু ৩৬ ঘন্টা আগে মৃত ব্যক্তির শুক্রাণু কতটা কার্যকরভাবে কাজ করবে তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ ছিল আমার", বলেন ডাক্তার রথম্যান।

"মানুষ মারা যাওয়ার সাথে সাথে তার বীর্যও মারা যায় না। আমরা চাইলে বীর্য বের করে এনে সংরক্ষণ করতে পারি।"

সেভাবেই জেরেমির মৃত্যুর ৪৪ ঘন্টা পর তার বীর্য নিষ্কাষন করা হয়। কিন্তু তার শুক্রাণু তখনও জীবিত রয়েছে কিনা, তা নিয়ে সন্দিহান ছিলেন সবাই। সন্দেহের অবসান ঘটে জেরেমির মৃত্যুর ১১ মাস পর যখন তার ও লেনি'র একটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয় তখন।

জেরেমি'র মৃত্যুর দুই বছর হয়ে গেলেও এখনও তার শুক্রাণু সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে। লেনি যদি ভবিষ্যতে আবার জেরেমি'র সন্তানের মা হতে চায়, তাহলে ঐ শুক্রাণু ব্যবহার করা হবে।