ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৫, এপ্রিল ২০২৪ ১৫:২২:৪৮ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
যুদ্ধ কোনো সমাধান দিতে পারে না, এটা বন্ধ হওয়া উচিত: প্রধানমন্ত্রী ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে সন্তানকে নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিলেন মা আরও ৩ দিন হিট অ্যালার্ট জারি যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক নিষিদ্ধ করার বিল সিনেটে পাস

তিল ধারণের ঠাঁই নেই কক্সবাজার সৈকতে

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:৫২ পিএম, ১৪ জুলাই ২০২২ বৃহস্পতিবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

ঈদের ছুটির পর সপ্তাহিক ছুটির এক দিন আগে লাখো পর্যটকের সমাগম হয়েছে পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে। জেলার অন্যান্য পর্যটনকেন্দ্রগুলোতেও দর্শণার্থীদের ঢল নেমেছে। বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) সকালে সৈকতে মানুষের এমন স্রোত দেখা যায়। যেন তিল ধারণের ঠাঁই নেই সৈকতে।

এ ছাড়া কক্সবাজারের সবগুলো পর্যটন স্পট পর্যটদের পদচারণায় এখন মুখর। মহেশখালীর আদিনাথ মন্দির, হিমছড়ি, ইনানী, দরিয়ানগর, সোনাদিয়া, বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কসহ বিভিন্ন পর্যটন এলাকায় বিপুল পরিমাণ পর্যটকের সমাগম রয়েছে। এ ছাড়া কক্সবাজার শহরের বার্মিজ মার্কেট, রাখাইন পল্লী, বৌদ্ধ মন্দির ও রামুর বৌদ্ধ মন্দিরেও পর্যটকদের প্রচুর ভিড় দেখা গেছে।


ঢাকার উত্তরা থেকে কক্সবাজার ভ্রমণে আসা লুবনা রহমান বলেন, ঈদের ৪র্থ দিনে রাতে গাড়িতে উঠি। সকালে কক্সবাজারে পৌঁছেছি। কিন্তু এখানে কোনো হোটেল ফাঁকা পাইনি। তবুও বিশাল সমুদ্রের সামনে এলে মনটা জুড়িয়ে যায়। এটাই কক্সবাজার ভ্রমণের আনন্দ।


ধানমন্ডি থেকে সপরিবারে কক্সবাজার ভ্রমণে এসেছেন মো. আবির। তিনি বলেন, ইনানী, হিমছড়ি ও রামুর বৌদ্ধবিহার দেখেছি। নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভালো। যে কারণে সৈকত ও আশপাশের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে স্বাচ্ছন্দ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন পর্যটকরা।

পর্যটকদের বাড়তি চাপ সামাল দিতে হোটেল, মোটেল ও গেস্টহাউস মালিকদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১৬ জুলাই পর্যন্ত বেশিরভাগ হোটেল ও গেস্টহাউসগুলো বুকিং হয়ে গেছে। পাঁচ লাখের অধিক পর্যটক উপস্থিতির আশা করছে পর্যটন সংশ্লিষ্টরা। এ কদিনে প্রায় ৫০০ কোটি টাকার বাণিজ্য হতে পারে।

হোটেল সি গাজীপুর মহা ব্যবস্থাপক আব্দুল জাব্বার বলেন, পবিত্র ঈদুল আজহার প্রথম দিন থেকে কমবেশি পর্যটক কক্সবাজারে আসছেন। ঈদের ছুটিতে অনেক লোক বেড়াতে এসেছেন। এবার সাড়ে ৪ শতাধিক হোটেল-মোটেল ও রিসোর্ট আগাম বুকিং হয়েছে।

কলাতলীর রেন ভিউয়ের মালিক মুকিম খান জানান, হোটেল-মোটেলে যে পরিমাণ ধারণ ক্ষমতা তার চেয়েও লোকসমাগম বেশি হবে। রুম বুকিং করে যারা এসেছেন, তারা ছাড়া বাকিরা ভোগান্তিতে পড়তে পারেন। কক্সবাজারের হোটেলগুলোতে দেড় লাখেরও বেশি লোক থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু বেশি পর্যটক আসলে এখানে রাত্রিযাপন নিয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হয়।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, সৈকতের লাবণী, সুগন্ধা, কলাতলীসহ ১১টি পয়েন্টে তথ্যকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। পর্যটকদের করোনা সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি মানতে সর্বদা সচেতনতামূলক মাইকিং ও প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। পর্যটক হয়রানি বন্ধে মাঠে থাকছে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে একাধিক ভ্রাম্যমাণ আদালত। কোথাও পর্যটক হয়রানির অভিযোগ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অন্যদিকে, বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশ। নিরাপত্তার পাশাপাশি প্রাথমিক চিকিৎসা, তথ্যসেবা, পানীয় জলের ব্যবস্থাসহ নানা সেবামূলক কার্যক্রমের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল করিম।

তিনি জানান, পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সতর্ক অবস্থায় দায়িত্ব পালন করছে ট্যুরিস্ট ও জেলা পুলিশ। মোতায়েন রাখা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশও। যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা রোধে সিসিটিভির আওতায় আনা হয়েছে পর্যটন স্পটগুলো। ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে দ্রুত সাধারণ চিকিৎসা ও খাবার পানির ব্যবস্থাও রয়েছে।