ঢাকা, বুধবার ২৪, এপ্রিল ২০২৪ ১৩:৩৫:৪৫ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
‘পদ্মশ্রী’ গ্রহণ করলেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা কাতার-বাংলাদেশ ১০ চুক্তি-সমঝোতা সই কয়েক ঘণ্টায় ৮০ বারেরও বেশি কেঁপে উঠল তাইওয়ান ঢাকা থেকে প্রধান ১৫টি রুটে ট্রেনের ভাড়া যত বাড়ল মাকে অভিভাবকের স্বীকৃতি দিয়ে নীতিমালা করতে হাইকোর্টের রুল আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করেছি : শেখ হাসিনা নতুন করে ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি

দেশে প্রতিবছর ক্যান্সারে আক্রান্ত দুই লাখ মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৩:০৮ পিএম, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ সোমবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

সারা বিশ্বে ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। বিভিন্ন তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ১৩ থেকে ১৫ লাখ ক্যান্সার রোগী রয়েছে। বছরে প্রায় দুই লাখ নতুন ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। কিছু ক্যান্সার বংশগতভাবে হয়। বেশিরভাগ ক্যান্সারের জন্য দায়ী আমাদের খাদ্যবস্তু ও পরিবেশ।

ক্যান্সার বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীতে আয়োজিত সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা এই তথ্য জানান।

বিভিন্ন গবেষণা তথ্য তুলে ধরে বিশেষজ্ঞরা বলেন, প্রায় ৭০ ভাগ ক্যান্সার পাওয়া যাচ্ছে- মধ্যবিত্ত থেকে নিম্ন-মধ্যবিত্ত শ্রেণির মধ্যে। এসব ক্যান্সারের এক-তৃতীয়াংশই  প্রতিরোধযোগ্য।

বিশ্ব ক্যান্সার দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সভায় উপস্থিত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা বিভিন্ন উৎস থেকে পাওয়া তথ্য ব্যাখ্যা করে জানান, প্রতি বছর ৯ দশমিক ৬ মিলিয়ন মানুষ ক্যান্সারে মারা যায়। ক্যান্সারকে মৃত্যুর দ্বিতীয় কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। উপযুক্ত প্রতিরোধ ব্যবস্থা, প্রাথমিক পর্যয়ে রোগ নির্ণয় এবং উপযুক্ত চিকিৎসার মাধ্যমে ৩ দশমিক ৭ মিলিয়ন ক্যান্সার প্রতিরোধ করা সম্ভব।

বক্তারা আরো জানান, প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়লে চিকিৎসার মাধ্যমে ক্যান্সার রোগী পুণরায় স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারে।

ক্যান্সার প্রতিরোধের ব্যাপারে চিকিৎসকদের প্রধান পরামর্শ হচ্ছে- তামাক ব্যবহার বন্ধ করা। সিগারেট-বিড়ি ছাড়াও পানের সাথে তামাক, জর্দা বা গুল ব্যবহার ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায় সেটা আজ গবেষণায় প্রমাণিত।

খাবার ও পরিবেশের মাধ্যমে যে সব ক্যান্সার আক্রমণের ঘটনা ঘটে তা থেকে রক্ষা পেতে ব্যক্তিগত পর্যায়ের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে সরকারিভাবে ও সামাজিক পর্যায়ে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা। সারা দেশে সরকারি মেডিকেল কলেজে এবং জেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলেতে ক্যান্সার চিকিৎসার প্রতুলতার কথাও তুলে ধরা।  

বাংলাদেশে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে ক্যান্সারের চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকলেও তা মূলত রাজধানীকেন্দ্রিকই রয়ে গেছে। ক্যান্সার রোগীদের কাছে চিকিৎসা সুবিধা দিতে চিকিৎসা ব্যবস্থা জেলা পর্যায় পর্যন্ত বিস্তৃত করা দরকার। আর সে জন্য দরকার পর্যাপ্তসংখ্যক উপযুক্ত চিকিৎসক, সেবাদান কর্মী, চিকিৎসা সরঞ্জাম ও ওষুধপত্র। গরীব রোগীদের জন্য এ সুবিধা সরকারকেই ব্যবস্থা করে দিতে হবে বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞমহল।

-জেডসি