ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৫, এপ্রিল ২০২৪ ১৭:৪১:২৪ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
যুদ্ধ কোনো সমাধান দিতে পারে না, এটা বন্ধ হওয়া উচিত: প্রধানমন্ত্রী ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে সন্তানকে নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিলেন মা আরও ৩ দিন হিট অ্যালার্ট জারি যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক নিষিদ্ধ করার বিল সিনেটে পাস

নতুন রূপে সাজছে মহামায়া

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:৪৫ পিএম, ২৯ নভেম্বর ২০২২ মঙ্গলবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

চট্টগ্রামের আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র পাহাড়, পানি আর সবুজ প্রকৃতির সমন্বিত রুপের কেন্দ্রস্থল দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম কৃত্রিম লেক মিরসরাই মহামায়া লেক। স্বচ্ছ শীতল পানিতে পানকৌড়িদের জলকেলি, লেকের ধারে পাহাড়ের কিনারে সবুজ বৃক্ষে শীতের অতিথি পাখিদের কলকাকলি এক নৈসর্গিক সৌন্দর্যের সৃষ্টি করেছে। 

এমন স্বর্গীয় সুন্দরের সুধা পানে ছুটে আসে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শত শত প্রকৃতি প্রেমী পর্যটক। তাই পর্যটকদের সুবিধার্থে আধুনিকায়ন করা হচ্ছে মহামায়া সেচ প্রকল্প।

এরই মধ্যে আধুনিকায়নের কাজ শুরু করেছে বন বিভাগ। পর্যটক আকর্ষণে নির্মাণ করা হচ্ছে তথ্য সেবাকেন্দ্র, টয়লেট, গাড়ি পার্কিংসহ বিভিন্ন উন্নয়ন। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, মহামায়া ও খৈয়াছড়া ঝরনাকে পর্যটনমুখী করতে ২০১৭ সালে প্রায় ৫০ কোটি টাকার দুই প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। কিন্তু পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় মহামায়া সেচ প্রকল্পের জন্য ১৮ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়। ওই বছর মহামায়া সেচ প্রকল্প আধুনিকায়ন শুরু করে বন বিভাগ।

আধুনিকায়নের মধ্যে রয়েছে তথ্য সেবাকেন্দ্র নির্মাণ, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের জন্য ব্যারাক নির্মাণ, টয়লেট নির্মাণ, গোলছাতা ঘর নির্মাণ, বনায়ন, গাড়ি পার্কিং এরিয়া, ভূমি অধিগ্রহণ, বিদ্যুৎ লাইন সঞ্চালনসহ বিভিন্ন উন্নয়নকাজ।

জানা যায়, উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের কয়েক লাখ মানুষকে পাহাড়ি ঢল থেকে রক্ষা ও শুষ্ক মৌসুমে চাষাবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রায় ২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে মহামায়া সেচ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের করেরহাট ও নারায়ণহাট রেঞ্জের দায়িত্বে থাকা সহকারী বন সংরক্ষক জামিল মুহাম্মদ খান বলেন, নতুন বরাদ্দ অনুযায়ি নতুন প্রজেক্টের কাজ করছি আমরা। প্রজেক্টের কাজ শেষ হলে পর্যটকদের পরিমাণ আরও বেড়ে যাবে। এছাড়া নতুন করে বনায়নের ফলে মহামায়ায় বিলুপ্ত প্রায় বন্যপ্রাণী ও উদ্ভিদের প্রজনন আবারো শুরু হবে। ফলে পর্যটনের পাশাপাশি জীববৈচিত্র্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে প্রকল্পটি।