ঢাকা, শুক্রবার ২৬, এপ্রিল ২০২৪ ৬:০৩:৩৫ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
যুদ্ধ কোনো সমাধান দিতে পারে না, এটা বন্ধ হওয়া উচিত: প্রধানমন্ত্রী ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে সন্তানকে নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিলেন মা আরও ৩ দিন হিট অ্যালার্ট জারি যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক নিষিদ্ধ করার বিল সিনেটে পাস

‘নারী পাচার’ চক্রে যেভাবে জড়ালেন নদী আক্তার

আদালত প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৬:৩৭ পিএম, ২২ জুন ২০২১ মঙ্গলবার

ফাইল ছবি।

ফাইল ছবি।

আন্তর্জাতিক নারী পাচার চক্রের বাংলাদেশের প্রধান সমন্বয়ক নদী আক্তারকে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় বেনাপোল থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তিনি নানা ছদ্মনামে দীর্ঘ দিন ধরে নারী পাচারের সঙ্গে জড়িত। 

জানা গেছে, ২০০৫ সালে সন্ত্রাসী রাজীব হোসেন নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে নদী আক্তারের বিয়ে হয়। ২০১৫ সালে রাজীব বন্দুকযুদ্ধে মারা যায়। এরপর থেকেই নদী পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। পাচারকৃত ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে নদীর দশটির মতো নাম পাওয়া গেছে। নদী ভারত, মালয়েশিয়া ও দুবাইয়ের নারী পাচার চক্রের সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করেন।

এদিকে জানা গেছে নদী আক্তার ওরফে ইতি ওরফে নুর জাহানসহ সাতজনের চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। হাতিরঝিল থানার একটি মামলায় আজ মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম মাহমুদা আক্তার শুনানি শেষে এ রিমান্ডের আদেশ দেন।

রিমান্ডে যাওয়া অপর আসামিরা হলেন নারী পাচার চক্রের সদস্য তরিকুল ইসলাম, আল আমিন সোহেন, সাইফুল ইসলাম, বিনাস সিকদার, আমিরুল ইসলাম ও পলক মন্ডল।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হাতিরঝিল থানার পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুক আসামিদের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।

আসামিদের পক্ষে আইনজীবী সিরাজুল ইসলামসহ কয়েকজনের রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন শুনানিতে বলেন, আসামিরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত না। তারা এ বিষয়ে কিছুই জানে না। মাঠে-ঘাটে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। কাজ করার সময় যশোর এবং নড়াইল থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে নিয়ে এসেছে। কাউকে ৭ দিন আবার কাউকে ১৫ দিন আগেও গ্রেপ্তার করেছে। অনেক দিন তারা থানায় ছিল। সেখানে তাদের জিজ্ঞাসা করা হয়েছে। বেশি কিছু জানার হলে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক। শুনানি শেষে আদালত আসামিদের চারদিন করে রিমান্ডের আদেশ দেন।

এর আগে গত সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে যশোরের শার্শা থেকে আল আমিন, সাইফুল, আমিরুলকে, বেনাপোল থেকে নদী আক্তার, পলক মন্ডল, তরিকুলকে এবং নড়াইল থেকে বিনাস সিকদারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

মামলায় বলা হয়, আসামিরা পাচারের উদ্দেশ্যে আনা মেয়েদের যশোর সীমান্তে একটি বাড়িতে রেখে সুযোগমত ভারতে পাচার করে দিতো। পাচার করা প্রত্যেক মেয়ের জন্য স্থানীয় এক ইউপি সদস্য ১ হাজার টাকা করে নিতেন। পাচারকালে কোনো মেয়ে বিজিবির কাছে আটক হলে সেই ইউপি সদস্য তাকে আত্মীয় পরিচয় দিয়ে ছাড়িয়ে আনতেন।