ঢাকা, সোমবার ২৯, এপ্রিল ২০২৪ ৪:০২:২৩ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
ফিলিপিন্সে সরকারি স্কুলে সশরীরে পাঠদান স্থগিত অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিক্ষার্থীরা, অনলাইনে ক্লাস দাবি হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে আজ, মানতে হবে যেসব নির্দেশনা খিলগাঁওয়ে একইদিনে তিন শিশুর মৃত্যু শেরে বাংলার কর্মপ্রচেষ্টা নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে বৃষ্টি কবে হবে, জানাল আবহাওয়া অফিস

শেখ মুজিবের ৭ই মার্চের ভাষণের নেপথ্যে

বিবিসি বাংলা অনলাইন | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১০:৪৯ এএম, ৭ মার্চ ২০২৪ বৃহস্পতিবার

১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ ভাষণ দিচ্ছেন শেখ মুজিব

১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ ভাষণ দিচ্ছেন শেখ মুজিব

১৯৭১ সালে ৭ই মার্চ ঢাকার সোহরাওর্দি উদ্যানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ভাষণকে দেখা হয় প্রথম স্বাধীনতার ডাক হিসাবে।

কীভাবে ঐতিহাসিক সেই ভাষণের প্রস্তুতি নিয়েছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি? কাদের সাথে পরামর্শ করেছিলেন?

৪৬ বছর পর ২০১৭ সালে বিবিসি বাংলার মোয়াজ্জেম হোসেনের সাথে এক সাক্ষাৎকারে ৭ই মার্চের ভাষণের নেপথ্যের কিছু কথা বলেছেন তৎকালীন আওয়ামী লীগের তরুণ নেতা, শেখ মুজিবের অন্যতম ঘনিষ্ঠ সহযোগী তোফায়েল আহমেদ।

ভাষণের আগে তা নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের মধ্যে কোনো আলোচনা হয়েছিল? এই প্রশ্নে তোফায়েল আহমেদ বলেন, "বঙ্গবন্ধু সিদ্ধান্ত নিজেই নিতেন, তবে প্রিয় কজন সহকর্মী - নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমেদ, কামরুজ্জামান এবং মনসুর আলীর সাথে পরামর্শ করতেন।"

"আপনি খেয়াল করে দেখবেন তাঁর ভাষণটি ছিল একান্তই তার বিশ্বাসের ভাষণ। ৬ তারিখ রাতে তিনি অনেক চিন্তা করেছেন, তার স্ত্রী তাকে বলেছিলেন তুমি যা বিশ্বাস করো, তাই বলো।"

৭ই মার্চ খোলাখুলি স্বাধীনতার ঘোষনা দেওয়ার তরুণ নেতাদের কাছ শেখ মুজিবের ওপর কোনো চাপ কি ছিল?

তোফায়েল বলেন "না ছিলনা, আমরা যারা তরুণ ছিলাম, নেতার ওপর আমাদের পূর্ণ আস্থা ছিল। নির্বাচনে জিতে তেসরা জানুয়ারি যখন শপথ নিয়েছিলেন সেদিনই বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন ছয় দফা দাবির প্রশ্নে তিনি কোনো আপোষ করবেন না। সেদিনই তিনি বলেছিলেন তিনি প্রধানমন্ত্রীত্ব চাননা, বাংলার মানুষের অধিকার চাই।"

তবে তোফায়েল আহমেদ তার স্মৃতিচারণে বলেন, একজন তরুণ নেতা সেদিনই দুপুরের দিকে শেখ মুজিবকে বলেছিলেন স্বাধীনতার ঘোষণা ছাড়া জনগণ মানবে না। "কিছুটা অসন্তুষ্ট হয়ে বঙ্গবন্ধু তখন বলেছিলেন আমি নেতা, আমি মানুষের নেতৃত্ব দেব, তারা দেবেনা, তোমরা তোমাদের কাজে যাও।"

তোফায়েল আহমেদ বলেন, ৭ই মার্চের ভাষণে শেখ মুজিব সেদিন দুটো উদ্দেশ্য অর্জন করতে চেয়েছিলেন - একদিকে মানুষের কাছে স্বাধীনতার বার্তা পৌছে দেয়া, একইসাথে বিচ্ছিন্নতাবাদীর তকমা পরিহার করা।

"তিনি সেদিন বলেছিলেন ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলো ..এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম .. এটা ছিল স্বাধীনতারই ঘোষণা ..অন্যদিকে সেনা শাসন প্রত্যাহার এবং নির্বাচিত প্রতিনিধির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরসহ চারটি শর্ত দিয়ে তিনি কার্যত পাকিস্তানের কোর্টে বল পাঠিয়ে দিয়েছিলেন।"

"ঐ চারটি শর্ত না দিয়ে তিনি যদি সেদিন বলতেন আজ থেকে দেশ স্বাধীন তাহলে লাখ লাখ লোক সেদিন মারা যেত, পাকিস্তানের বোমারু বিমান প্রস্তুত ছিল। আমাদের বলা হতো বিচ্ছিন্নতাবাদী।"

তোফায়েল আহমেদ বলেন, "৭ই মার্চের ভাষণের পরদিন পাকিস্তানের সেনা গোয়েন্দা আইএসআই রিপোর্ট করেছিল চতুর শেখ মুজিব, চতুরতার সাথে বক্তৃতা করে গেলেন, একদিকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে গেলেন, অন্যদিকে বিচিছন্নতাবাদী হওয়ার দায়িত্ব নিলেন না.. নীরব দর্শকের ভূমিকা ছাড়া আমাদের কিছুই করার ছিলনা।"