নিল আর্মস্ট্রংয়ের স্পেসস্যুট তৈরি করেছিল নারীরা
অনলাইন ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪প্রকাশিত : ০৮:৩৮ পিএম, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ বুধবার
(ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া)
চাঁদে পা রাখা প্রথম মানুষ নিল আর্মস্ট্রংয়ের স্পেসস্যুট তৈরি করেছিল নারীরা। চাঁদের মাটিতে তাপমাত্রার তারতম্য অকল্পনীয়। দিনের বেলায় সেখানে তাপমাত্রা থাকে প্রায় ২৮০ ডিগ্রি ফারেনহাইট। রাতে সেটাই নেমে দাঁড়ায় মাইনাস ২৮০ ফারেনহাইটে। ফলে অভিযাত্রীর পোশাকও হতে হবে উপযুক্ত।
নিল আর্মস্ট্রংয়ের স্পেসস্যুট ছিল মোট একুশটি স্তরের। মূল উপকরণ সিন্থেটিক্স, নিওপ্রেন রাবার এবং মেটালাইজড পলিয়েস্টার ফিল্ম। শুধু তাপমাত্রার তারতম্যই নয়। এই বিশেষ পোশাক আর্মস্ট্রংকে সুরক্ষা দিয়েছিল বায়ুমণ্ডলহীন চাঁদে সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি থেকেও।
বিস্ময়কর হলেও সত্যি, চাঁদে পা রাখা প্রথম মানুষের স্পেসস্যুট তৈরি হয়েছিল যন্ত্রে নয়, বরং হাতে। দক্ষ ও প্রশিক্ষিত নারী সীবন-কর্মীরা তিলে তিলে সেটা তৈরি করেছিলেন। এতটাই সতর্কতার সঙ্গে, যে বত্রিশ ভাগের মধ্যে এক ভাগ ভুল হলেও তা বাতিল হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল।
১৯৬৭ সালে গ্রাউন্ড টেস্টের সময়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গিয়েছিল মহাকাশচারীদের পোশাক। ফলে নাসা-র নির্দেশ ছিল, যাতে নতুন পোশাকগুলি এক হাজার ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রাও সহ্য করতে পারে। ফলে টেফলনের প্রলেপ সমেত গ্লাস মাইক্রোফাইবারের বিটা ক্লথ দিয়ে তৈরি হয়েছিল আর্মস্ট্রংয়ের স্পেসস্যুট।
এই বিশেষ পোশাক তৈরির বরাত দেওয়া হয়েছিল ডোভারের সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ল্যাটেক্স কর্পোরেশনকে। চ্যালেঞ্জের অগ্নিপরীক্ষায় সসম্মানে উত্তীর্ণ হয়েছিল এই সংস্থা। তাদের খেয়াল রাখতে হয়েছিল, যাতে এই পোশাকে ন্যূনতম স্বাচ্ছন্দ্যটুকু দেওয়া যায় মহাকাশচারীদের। পোশাক ঠিকমতো তৈরি হচ্ছে কি না, তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে ছিলেন দক্ষ ইঞ্জিনিয়াররা।
অনেকের কাছেই যা অজানা, তা হল, এই ল্যাটেক্স কর্পোরেশন-এর একটি শাখা নারীদের অন্তর্বাসও তৈরি করে।
চাঁদের পিঠে অভিযাত্রীদের পোশাক তৈরির সময় বিশেষ নজর ছিল পোশাকের কাঁধ, কনুই, হাঁটু এবং গোড়ালির অংশের দিকে। যাতে মহাকাশচারীদের ওই অংশ ভাঁজ করতে সমস্যা না হয়। ব্যবহার করা হয়েছিল স্টিল এয়ারক্র্যাফ্ট কেবল। ফলে নিচু হয়ে চাঁদের মাটি থেকে নমুনা সংগ্রহে সমস্যা হয়নি মহাকাশচারীদের।
বিশ্বে মহাকাশ গবেষণার ইতিহাসে আর্মস্ট্রংয়ের স্পেসস্যুটের যত ছবি তোলা হয়েছে, অন্য স্পেসস্যুটের ক্ষেত্রে তা হয়নি। অভিযানের অনেক বছর পরে, ১৯৯৪ সালে আর্মস্ট্রং একটি চিঠিতে নাসা-কে ধন্যবাদ জানান পোশাকের জন্য।
তার মতে, স্পেসস্যুটটি ফোটোজেনিক ছিল তো বটেই। তবে এটা যে ঠিক ভাবে কাজ করেছিল, সেটাই এর প্রকৃত সৌন্দর্য।
প্রায় ৩০ বছর ধরে নিল আর্মস্ট্রংয়ের ওই স্পেসস্যুট স্মিথসোনিয়ানের গ্যালারিতেই রাখা ছিল। কিন্তু স্যুট নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় ২০০৬-এ সেটি গ্যালারি থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
চাঁদে মানুষের পা রাখার পঞ্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষে নিল আর্মস্ট্রংয়ের পোশাক চলতি বছরের জুলাই মাসে প্রদর্শনীতে রাখা হয়। গত ১৩ বছর ধরে নামী স্পেসস্যুট ডিজাইনারদের সঙ্গে কথা বলেন মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ। তার পর ওই স্পেসস্যুটটিতে সংরক্ষণ সংক্রান্ত বিভিন্ন কাজ করার পর তা ফের স্মিথসোনিয়ানের গ্যালারিতে নিয়ে আসা হয়েছিল।
- বিনা অভিজ্ঞতায় ৩০ জনকে নিয়োগ দেবে নাসা গ্রুপ
- এই গরমে মুঠোফোন ঠান্ডা রাখতে করণীয়
- অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিক্ষার্থীরা, অনলাইনে ক্লাস দাবি
- কোন গাছ কখন কোথায় রোপণ করতে হয়
- পাকিস্তানের প্রেক্ষাগৃহে বাংলাদেশের সিনেমা
- বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি ভারতের
- ইরাকে নারী টিকটকারকে গুলি করে হত্যা
- ডিপ্লোম্যাট অব দ্য ইয়ার অ্যাওয়ার্ড পেলেন হাইকমিশনার সাইদা মুনা
- হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন
- নীলফামারীতে বাড়ছে চিনাবাদাম চাষ
- গরমে যে কারণে দই খাওয়া জরুরি
- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে আজ, মানতে হবে যেসব নির্দেশনা
- সুলতান সুলেমানের প্রাসাদে ফারিণ
- বিনা অভিজ্ঞতায় ব্যাংকে চাকরি
- খিলগাঁওয়ে একইদিনে তিন শিশুর মৃত্যু
- খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরো বাড়ল
- ২৯ ফেব্রুয়ারি বা লিপ ইয়ার নিয়ে ১০টি মজার তথ্য
- জমজমাট ফুটপাতের ঈদ বাজার
- দেশে ধনীদের সম্পদ বাড়ছে
- বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দল ঘোষণা
- গুলবদন বেগম: এক মুঘল শাহজাদির সাহসী সমুদ্রযাত্রার গল্প
- যে বিভাগে বিচ্ছেদের হার বেশি
- ৭ই মার্চ পরিস্থিতি, কেমন ছিলো সেই দিনটি
- ঘরের মাটিতে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
- শেখ মুজিবের ৭ই মার্চের ভাষণের নেপথ্যে
- সদরঘাট ট্র্যাজেডি: সপরিবারে নিহত সেই মুক্তা ছিলেন অন্তঃসত্ত্বা
- দিনাজপুরে ব্যাপক পরিসরে শিম চাষের লক্ষ্য
- জিমন্যাস্টিকসে শিশু-কিশোরদের উৎসবমুখর দিন
- কুমিল্লা সাংবাদিক ফোরাম, ঢাকার নেতৃত্বে সাজ্জাদ-মোশাররফ-শরীফ
- বিশ্বে প্রতিদিন খাবার নষ্ট হয় ১০০ কোটি জনের