ঢাকা, শুক্রবার ০৫, ডিসেম্বর ২০২৫ ১৪:১৪:৫৬ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
আজ আসছে না এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা পেছাল খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ারে জুবাইদা রহমান ‘শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ভারতের ইতিবাচক সাড়া নেই’ বেশির ভাগ সবজিই ৬০-৮০ টাকার ওপরে বন্যায় সহায়তা: বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানালেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী

পশ্চিমবঙ্গ সুন্দরবন: বাঘের হানা রুখতে জাল বসানোর উদ্যোগ

অনলাইন ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৯:১৬ পিএম, ১৪ জুলাই ২০২৫ সোমবার

বাঘ

বাঘ

পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন অংশের পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলিতে দীর্ঘদিন ধরেই চলা বাঘের উপদ্রব রুখতে এবার বড়সড় পদক্ষেপ করতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ বন দপ্তর ও সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প। নাইলনের জালের পরিবর্তে এবার স্থায়ী ও শক্তপোক্ত স্টিলের জাল বসানো হবে লোকালয় সংলগ্ন জঙ্গলঘেঁষা এলাকায়। বন দপ্তর সূত্রে খবর, প্রাথমিক পর্যায়ে প্রায় ১০০ কিলোমিটার জুড়ে এই স্টিলের জাল বসানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

কুলতলি ও মৈপীঠ সহ একাধিক এলাকায় সম্প্রতি বাঘ ঢুকে পড়ার একাধিক ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। সেই কারণেই এই নতুন ব্যবস্থায় জোর দেওয়া হয়েছে। বন দপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, ‘আমাদের হিসাব অনুযায়ী, ৪১ কিলোমিটার এলাকা সুরক্ষিত করা গেলেই বাঘের লোকালয়ে প্রবেশের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যাবে। ইতিমধ্যে কুলতলির কিছু এলাকায় পরীক্ষামূলক ভাবে বসানো স্টিলের ফেন্সিং কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। সেগুলি এখনও ভাল অবস্থায় রয়েছে। সেই অভিজ্ঞতার ভিত্তিতেই এবার বৃহত্তর পরিসরে এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।’

বিগত বছরগুলিতে বর্ষাকালীন ঝড়, বৃষ্টি ও জোয়ারে নাইলনের জাল ছিঁড়ে যাওয়ার ঘটনা বহুবার ঘটেছে। অনেক সময় জাল কেটে মাছ বা কাঁকড়া ধরতে যাওয়ার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নিরাপত্তাবেষ্টনী। ফলে প্রতি বছর নতুন জাল বসাতে হত, যা ব্যয়বহুল ও সময়সাপেক্ষ। স্টিলের জাল ব্যবহারে সেই সমস্যা অনেকটাই কাটবে বলে মনে করছেন বন দপ্তরের আধিকারিকরা। নতুন এই প্রকল্পের কাজ সেপ্টেম্বর মাস থেকে শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। শীতকালের আগেই অধিকাংশ এলাকায় কাজ সম্পূর্ণ করার লক্ষ্যে তৎপর প্রশাসন। এই উদ্যোগ সফল হলে, একদিকে যেমন বাঘের লোকালয়ে প্রবেশ রোধ করা সম্ভব হবে, তেমনই স্থানীয় মানুষদের মধ্যেও নিরাপত্তাবোধ বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদী বন দপ্তর।