ঢাকা, শুক্রবার ০৫, ডিসেম্বর ২০২৫ ১৩:১৭:৩৪ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে হাসপাতালে প্রধান উপদেষ্টা খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় যুক্তরাজ্যের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ঢাকায় আগামী নির্বাচন নিয়ে জাতি গর্ব করবে : প্রধান উপদেষ্টা তলবের ১০ মিনিটেই হাজির জেডআই খান পান্না, চাইলেন নিঃশর্ত ক্ষমা ‘পরিবেশ ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করছে সরকার’

প্লাস্টিক দূষণ ও জাহাজভাঙা শিল্প বড় হুমকি : পরিবেশ উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৪:২৯ পিএম, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ বুধবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সামুদ্রিক সম্পদ রক্ষায় বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব ও বহুমুখী সহযোগিতা জরুরি। প্লাস্টিক দূষণ ও জাহাজভাঙা শিল্প বাংলাদেশের উপকূলের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে বলেও তিনি সতর্ক করেন।

বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) জাপানের টোকিওতে সাসাকাওয়া পিস ফাউন্ডেশন ভবনে আয়োজিত আন্তর্জাতিক সম্মেলন ‘ওশেন ডিকেড ফিফথ ফাউন্ডেশনস ডায়ালগ – হাই-লেভেল রাউন্ডটেবল উইথ অ্যাম্বাসেডরস, এক্সপার্টস অ্যান্ড প্র্যাকটিশনার্স’–এর পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে তিনি ঢাকায় তার বাসভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন। অধিবেশনের শিরোনাম ছিল ‘ড্রাইভিং ওশেন লিডারশিপ অ্যান্ড ইনোভেশন: অ্যাডভান্সিং গভার্নেন্স, ব্লু ইকোনমি, অ্যান্ড মেরিন সায়েন্স টু অ্যাচিভ থার্টি বাই থার্টি’।

রিজওয়ানা হাসান বলেন, বাংলাদেশ বৈশ্বিকভাবে প্লাস্টিক দূষণে নবম অবস্থানে রয়েছে, যার বড় অংশই আসে পার্শ্ববর্তী দেশগুলো থেকে। প্লাস্টিকবিষয়ক বৈশ্বিক চুক্তিতে ভৌগোলিকভাবে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জন্য বিশেষ বিধান থাকা দরকার। 

জাহাজভাঙা শিল্প প্রসঙ্গে তিনি বলেন, হংকং কনভেনশন এ বিষয়ে যথেষ্ট কার্যকর নয়।

তিনি জানান, বঙ্গোপসাগর বাংলাদেশের অর্থনীতি, আঞ্চলিক যোগাযোগ ও উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইতোমধ্যে সরকার উপকূল ও সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্যের তথ্যভান্ডার, সংরক্ষণ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা ও পর্যবেক্ষণ প্রটোকল তৈরির কাজ সম্পন্ন করেছে। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি ও এর প্রভাব নিয়েও গবেষণা শেষ হয়েছে।

রিজওয়ানা হাসান বাংলাদেশের সামুদ্রিক মাছের বিপুল সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে বলেন, এ খাত এখনও যথাযথভাবে মূল্যায়িত হয়নি। আন্তর্জাতিক অংশীদাররা চাইলে বাংলাদেশে টেকসই সীফুড প্রক্রিয়াজাত শিল্পে বিনিয়োগ করতে পারেন।

তিনি সতর্ক করে বলেন, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন রোধে কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে বাংলাদেশের এক-তৃতীয়াংশ এলাকা পানির নিচে চলে যাবে, লাখো মানুষ বাস্তুচ্যুত হবে। একই ঝুঁকিতে রয়েছে বিশ্বের ৫২টি ছোট দ্বীপরাষ্ট্র। তাই বৈশ্বিক সংহতি এখন সময়ের দাবি।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সাসাকাওয়া পিস ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট ড. আতসুশি সুনামি, জাপানে নরওয়ের রাষ্ট্রদূত ক্রিস্টিন ইগ্লুম, ইউনেস্কো-আইওসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউতাকা মিচিদা, আইওসি-আইএনডিও সাব-কমিশনের চেয়ার ড. সাইফ আলগাইস এবং এওসিস–জাতিসংঘের ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্র জোটের চেয়ার ইলানা ভি. সাইদ।