ঢাকা, শুক্রবার ০৫, ডিসেম্বর ২০২৫ ১৮:১৬:২৬ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
আজ আসছে না এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা পেছাল খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ারে জুবাইদা রহমান ‘শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ভারতের ইতিবাচক সাড়া নেই’ বেশির ভাগ সবজিই ৬০-৮০ টাকার ওপরে বন্যায় সহায়তা: বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানালেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী

বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ’র অবদান অনস্বীকার্য

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১০:০১ পিএম, ১১ জুলাই ২০২৩ মঙ্গলবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ’র অবদান অনস্বীকার্য। পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বাংলা করার পক্ষে তাঁর লড়াইয়ের ইতিহাস সর্বজনবিদিত।
আজ সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ সভাগৃহে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ স্মরণে বাংলা একাডেমি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, বহুভাষাবিদ, জ্ঞানতাপস, শিক্ষাবিদ, গবেষক ও বাংলা একাডেমির স্বপ্নদ্রষ্টা ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ’র বহুমাত্রিক অবদানের কারণেই বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। 
বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক গোলাম মুস্তাফা বক্তৃতা প্রদান করেন। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন একাডেমির সচিব (ভারপ্রাপ্ত) ড. মো: হাসান কবীর। 
অধ্যাপক গোলাম মুস্তাফা বলেন, বাংলা ভাষা ও সাহিত্য তাঁর অবদানে নানাভাবে ঋদ্ধ। বিশেষত বাংলা সাহিত্যের আদি নিদর্শন চর্যাপদ ছিল তাঁর গবেষক জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। 
তিনি আরো বলেন,বাংলা অঞ্চলে প্রচলিত বহু প্রবাদের উৎসস্থল যে চর্যাপদ, তাও ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর অনুসন্ধানলব্ধ আবিষ্কার। এর ভাষা বিশ্লেষণ করে উদ্ভবকাল সম্পর্কে প্রচলিত বহু ভ্রান্ত ধারণা খ-ন করে চর্যাপদের বৈজ্ঞানিক-বাস্তবভিত্তিক সময়কাল নির্ধারণ করেন যা এখন বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। 
সেলিনা হোসেন বলেন, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ভাষাতাত্ত্বিক কারণে স্মরণীয় তেমনি বাংলা ভাষার পক্ষে লড়াইয়ের জন্যও স্মরণযোগ্য। বৈরী বাস্তবতায় দাঁড়িয়ে তিনি অসমসাহসে বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবি জানিয়েছেন এবং আরবি ও রোমান হরফে বাংলা প্রচলনের তীব্র বিরোধিতা করেছেন। 
ড. মো: হাসান কবীর বলেন, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ’র মতো মনীষীদের মহৎ স্বপ্ন কাজ করেছে। বাংলা একাডেমি প্রতিষ্ঠায় তাঁর মতো মনীষীদের বহুমাত্রিক অবদানের কারণেই বাংলা ভাষা ও সাহিত্য আজ বিশ্বব্যাপী আদৃত।