ঢাকা, শুক্রবার ২৬, এপ্রিল ২০২৪ ২০:০৪:৪১ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি ছাড়াবে আগামী সপ্তাহে থাইল্যান্ডের গভর্নমেন্ট হাউসে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী চলতি মাসে তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা নেই গাজীপুরে ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু থাইল্যান্ডের রাজা-রাণীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ

বাজার সামলাতে ২৫ শতাংশ শুল্কে চাল আমদানির অনুমতি

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৩:১৮ পিএম, ২৭ ডিসেম্বর ২০২০ রবিবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

নিয়ন্ত্রণহীন বাজারে লাগাম টানতে বেসরকারিভাবে চালের আমদানি শুল্ক ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে মাত্র ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক নির্ধারণ করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।

চালের বাজার স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার রোববার (২৭ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।

মন্ত্রী জানান, নতুন শুল্ক হারে চাল আমদানি করতে আগ্রহীদের আগামী ১০ জানুয়ারির মধ্যে মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে হবে। বৈধ লাইসেন্সধারীরা আবেদনের সুযোগ পাবেন। মন্ত্রণালয় থেকে যাকে যতটুকু ছাড়পত্র দেয়া হবে, সে অনুযায়ী এলসি হবে। সেটা মন্ত্রণালয় মনিটরিং করবে।

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, সরকারিভাবে চার লাখ মেট্রিক টন এবং দেড় লাখ মেট্রিক টন জিটুজি পদ্ধতিতে এবং বেসরকারিভাবে চাল আমদানি করা হবে।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণ করতেই আমরা বেসরকারিভাবে চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আগে ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ শুল্ক ছিল। এখন ২৫ শতাংশ করা হয়েছে। তবে লক্ষ্য রাখতে হবে কৃষক যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

দাম না বাড়ালে চাল না দেয়ার বিষয়ে মিলারদের হুমকি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, সরকার কারও হুমকিতে মাথা নত করে না। আমরা মিলারদের চুক্তির জন্য পীড়াপীড়ি করিনি। তারা তাদের হুমকি নিয়ে থাকুক। প্রয়োজনে আমরা কৃষকের কাছ থেকে ধান বেশি করে কিনব যাতে তারা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। দরকার হলে ১৫ থেকে ২০ লাখ টন চাল কিনব।

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, বেসরকারিভাবে যখন যতটুকু আমদানি করা প্রয়োজন করব। বোরো মৌসুম আসার আগে যেভাবে নিয়ন্ত্রণ করা দরকার সেটাও করব। বোরো মৌসুমে এই অবস্থা থাকলে আবার আমদানি করব।

মন্ত্রী বলেন, আমরা কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনা শুরু করেছি। কিন্তু সরকার নির্ধারিত মূল্য মণপ্রতি এক হাজার ৪০ টাকা। বাইরে কৃষকরা ধান বিক্রি করে লাভবান হলে সরকারের কাছে বিক্রি করে না। আজকেও বাইরে এক হাজার ২০০ টাকা মণ দরে ধান বিক্রি হচ্ছে। আমাদের চালের রেট বাণিজ্য, কৃষি, অর্থ, খাদ্য মন্ত্রণালয় মিলে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। সহনীয় রেট কী করা যায়, সেটার কোনো নীতিমালা নেই। ধানের দাম কমলে আমরা কৃষকের জন্য হাহাকার করি। আবার চালের দাম বাড়লেও হাহাকার করি।

স্ট্যান্ডার্ড রেট ঠিক করতে নীতিমালা করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, অবশ্যই একটা স্ট্যান্ডার্ড রেট থাকতে হবে। এজন্য সহনশীল স্ট্যান্ডার্ড রেট তৈরি করতে হবে। গত ২৩ ডিসেম্বর বৈঠক হয়েছে। সেখানে বাণিজ্য, কৃষি, অর্থ ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মর্মকর্তারা ছিলেন। আমরা কমিটিও করেছি। তারা নীতিমালা তৈরি করতে কাজ করবে। আর সেটা চূড়ান্ত হলে এটা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

আম্পানের কারণে ধানের ফলন কম হয়েছে জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আবাদি জমি ঠিক থাকলেও আম্পানের কারণে এবার ফলন কম হয়েছে। তবে দেশ ধান-চালের ঘাটতি আছে, তা বলছি না। আমাদের সরবরাহ সিস্টেম আছে। দেশে প্রায় ২০ হাজার মিল আছে। মিলপ্রতি গড়ে ৫০০ মণ ধান প্রক্রিয়াকরণ করা হয়। কোথাও আবার এক হাজার মণও থাকে। হিসাব করলে ৩০ লাখ মেট্রিকটন টন চাল থাকে। সবাই মনে করে আমাদের কমতি আছে। কিন্তু তা নয়।

-জেডসি