ঢাকা, মঙ্গলবার ০৭, মে ২০২৪ ১৭:১২:০৫ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুই কবির জন্মবার্ষিকী পালনের নির্দেশ জিম্মি মুক্তিতে হামাসের সম্মতির পরও গাজায় যুদ্ধবিরতি অনিশ্চিত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্বাভাবিক রুটিনে ক্লাস শুরু আজ হজের ফ্লাইট শুরু ৯ মে পুলিৎজার পেল রয়টার্স, ওয়াশিংটন পোস্ট ও নিউইয়র্ক টাইমস

বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:০৫ পিএম, ২০ আগস্ট ২০২৩ রবিবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের ৫২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ রোববার (২০ আগস্ট)। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানের থাট্টায় বিমান বিধ্বস্ত হয়ে তিনি শাহাদত বরণ করেন। 

একাত্তর সালের ৯ মে দেশ থেকে করাচিতে ফিরে কর্মস্থলে যোগ দেন মতিউর রহমান। এরপর ২০ আগস্ট মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য শিক্ষানবিশ পাইলটকে ক্লোরোফর্ম দিয়ে অচেতন করে পাকিস্তানি জঙ্গি বিমান দখলে নিয়ে দেশে ফেরার চেষ্টা করেন তিনি।

প্রায় ভারতের সীমান্তে পৌঁছে যাওয়া অবস্থায় পাকিস্তানি শিক্ষানবিশ পাইলট রাশেদ জ্ঞান ফিরে পাওয়ায় বিমানটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় তার সঙ্গে মতিউরের ধস্তাধস্তি চলতে থাকে এবং এক পর্যায়ে রাশেদ ইজেক্ট সুইচ চাপলে মতিউর বিমান থেকে ছিটকে পড়েন। কম উচ্চতায় উড্ডয়ন করার ফলে একসময় রাশেদসহ বিমানটি ভারতীয় সামন্ত থেকে মাত্র ৩৫ মাইল দূরে থাট্টা এলাকায় বিধ্বস্ত হয়।

মতিউর রহমানের মরদেহ ঘটনাস্থল থেকে প্রায় আধা মাইল দূরে পাওয়া যায়। সেখান থেকে করাচির মাসরুর বিমানঘাঁটির চতুর্থ শ্রেণির কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের কবরের সামনে লেখা ছিল- ‘ইধার সো রাহা হ্যায় এক গাদ্দার।’

স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সরকার ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমানের অসীম সাহসিকতা, দেশপ্রেম ও আত্মত্যাগের মূল্যায়নস্বরূপ তাকে ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ খেতাবে ভূষিত করে। দীর্ঘ ৩৫ বছর পর ২০০৬ সালের ২৪ জুন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় স্বাধীন বাংলার মাটিতে পুনরায় তার মরদেহ সমাহিত করা হয় ঢাকার মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী সমাধিক্ষেত্রে।


দেশের এই মহান সন্তানের জন্ম ১৯৪১ সালের ২৯ নভেম্বর ঢাকার আগাসাদেক রোডের পৈতৃক বাড়িতে। প্রাথমিক পড়ালেখা শুরু হয় ঢাকার কলেজিয়েট স্কুলে। এরপর ভর্তি হন সারগোদায় বিমানবাহিনী পাবলিক স্কুলে। ১৯৬১ সালে পাকিস্তান বিমানবাহিনীতে যোগ দেন তিনি। ১৯৬৩ সালে রিসালপুর পিএএফ কলেজ থেকে পাইলট অফিসার হিসেবে কমিশন লাভ করেন। কমিশনপ্রাপ্তির পর তিনি করাচির মৌরিপুর (বর্তমান মাসরুর) এয়ার বেজের ২ নম্বর স্কোয়াড্রনে জেনারেল ডিউটি পাইলট হিসেবে নিযুক্ত হন। এখানে তিনি টি-৩৩ জেট বিমানের ওপর কনভার্সন কোর্স সম্পন্ন করেন। ইরানের রানী ফারাহ দিবার সম্মানে পেশোয়ারে যে বিমান মহড়া অনুষ্ঠিত হয়, তাতে তিনিই একমাত্র বাঙালি পাইলট ছিলেন। 

১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় ফ্লাইং অফিসার পদে কর্মরত ছিলেন মতিউর রহমান। এরপর মিগ কনভার্সন কোর্সের জন্য পুনরায় সারগোদায় গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে ১৯৬৭ সালের ২১ জুলাই একটি মিগ-১৯ বিমান চালানোর সময় আকাশে সেটা হঠাৎ বিকল হয়ে গেলে অসীম দক্ষতার সঙ্গে প্যারাসুটের মাধ্যমে মাটিতে অবতরণ করেছিলেন তিনি। ১৯৬৭ সালে ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট পদে পদোন্নতি লাভ করেন মতিউর রহমান।