ঢাকা, রবিবার ০৭, ডিসেম্বর ২০২৫ ৪:০৯:৩২ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
খালেদা জিয়ার অবস্থা এখনও উদ্বেগজনক আরও পেছাল খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রা খালেদা জিয়ার এন্ডোসকপি সম্পন্ন, থামানো গেছে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ আগারগাঁওয়ে গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, নারীসহ দগ্ধ ৬ প্রবাসীদের নিবন্ধন ছাড়াল এক লাখ ৯৩ হাজার

বেড়েছে মুরগি, ডিম ও আলুর দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১১:১৯ এএম, ২৯ জুলাই ২০২৩ শনিবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে ব্রয়লার মুরগি, ডিম, আলু ও কচুরমুখীর। তবে কমেছে কাঁচামরিচের দাম। অপরিবর্তিত রয়েছে সবজি ও মাংসের দাম।
মাংস ও আলুর দাম কেজিপ্রতি বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা। ডিমের ডজন বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা। কচুরমুখীর দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা।

আজ শনিবার (২৯ জুলাই) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা কেজি। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৩০ টাকা কেজিতে। অথচ এক সপ্তাহ আগে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ১৭০ টাকা কেজি। সোনালি কক মুরগি বিক্রি হয়েছে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা কেজি। 
অন্যদিকে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি।
ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা ডজন। অথচ এক সপ্তাহ আগেও এ ডিম বিক্রি হয়েছে ১৪০ টাকা। অর্থাৎ ডজনে বেড়েছে ১০ টাকা।
ভালো মানের ডায়মন্ড আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজিতে। যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়।
সবজির মধ্যে সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে কচুরমুখীর। এক সপ্তাহ আগেও ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে পণ্যটি। বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি।

তবে ক্রেতাদের সবচেয়ে বেশি অবাক করেছে মাছের দাম। বাজারে সবচেয়ে কম দামি মাছ পাঙাশ বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি। তেলাপিয়ার কেজি ২২০ থেকে ২৫০ টাকা। পাবদা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকা কেজিতে। রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩৩০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজিতে। প্রায় একই দামে বিক্রি হচ্ছে কাতল মাছ। বড় মানের রুই, কাতল ও কারফু মাছ কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকায়। শিং মাছ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায়। চিংড়ি মাছের সর্বনিম্ন দর ৬০০ টাকা। ভালো মানের চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা। টেংরা বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি।
সবজির বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, টমেটো বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকা কেজি। কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা পোয়া (২৫০গ্রাম)। গাজর বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা, করলা বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি। ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে কচুরমুখী। একই দামে বিক্রি হচ্ছে বেগুন-কাঁকরোলও। বরবটি, ঝিঙা, ধুন্দল বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি। পেঁপে- চিচিঙা, ঢ্যাঁড়স ও পটল বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজিতে। লাউ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা পিস। ঝালি বিক্রি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। ডাটার মুঠা বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়।
অন্যদিকে মুদি বাজারে দুই সপ্তাহ আগে সয়াবিন তেলের দাম কেজিপ্রতি ১০ টাকা কমেছে। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন ১৭৯ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে আগের মতোই বাজারে প্যাকেটজাত চিনির সরবরাহ কম দেখা গেছে। কিছু দোকানে পাওয়া গেলেও বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা দরে।

কোরবানি ঈদের আগে থেকে মসলাজাতীয় পণ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে জিরার। খুচরা ব্যবসায়ীরা প্রতি কেজি জিরা বিক্রি করছেন ১০০০ থেকে ১১৫০ টাকা দরে। অথচ এক বছর আগে মসলাটির দাম ছিল ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা।
অন্যদিকে বাজারে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে দেশি রসুনের দাম। গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা দরে। চীন থেকে আমদানি করা রসুন কিনতে দিতে হচ্ছে ২২০ থেকে ২৪০ টাকা। আর এসময়ের ব্যবধানে পেঁয়াজের দামে তেমন কোনো হেরফের হয়নি। দেশি পেঁয়াজ ৬৫ থেকে ৭০ এবং আমদানি করা পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৪৫ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। আর আদার দাম কিছুটা কমে ২৪০ থেকে ২৮০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। যা ঈদের আগে ৩০০ টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছিল।