ঢাকা, শনিবার ০৬, ডিসেম্বর ২০২৫ ১৩:৩৬:২৭ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
খালেদা জিয়ার অবস্থা এখনও উদ্বেগজনক আরও পেছাল খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রা খালেদা জিয়ার এন্ডোসকপি সম্পন্ন, থামানো গেছে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ আগারগাঁওয়ে গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, নারীসহ দগ্ধ ৬ প্রবাসীদের নিবন্ধন ছাড়াল এক লাখ ৯৩ হাজার

ভাসমান সবজি চাষে সফল ভূমিহীনরা

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১১:৩২ এএম, ১১ ডিসেম্বর ২০২২ রবিবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

মাদারীপুরের কালকিনিতে ভাসমান ফসল চাষে সফল বেশিরভাগ চাষি। মাটির পরিবর্তে পানিতে ভাসমান শাকসবজি চাষ বেশ সাড়া ফেলেছে। এতে বেশ সুফল পাচ্ছেন ভূমিহীনরা।
কালকিনি উপজেলার রমজানপুর, সিডিখান, মিয়ারহাট এলাকায় এ ধরনের ভাসমান সবজি আবাদ করা হচ্ছে। ফলনও বেশ ভালো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।

জানা গেছে, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে উপজেলা কৃষি কার্যালয়ের সহায়তায় প্রদর্শনী প্রকল্পের আওতায় কৃষক পর্যায়ে ভাসমান পদ্ধতিতে সবজি চাষে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। যেসব অঞ্চল পানির নিচে থাকে সেখানে কৃষকদের ভাসমান সবজি চাষের জন্য আগ্রহী করে তোলা হচ্ছে।

এ পদ্ধতিতে সবজি চাষের জন্য মূলত কচুরিপানা দিয়ে শয্যা তৈরি করা হয়। প্রতিটি শয্যা ২০ মিটার লম্বা, প্রায় দেড় মিটার পুরু ও প্রস্থ চার মিটার। তিনটি শয্যা মিলে একটি প্রকল্প। উপজেলায় এমন ২০টি প্রকল্পে শাকসবজির আবাদ চলছে। কৃষকরা প্রধানত লালশাক, কলমি লতা, লতিরাজ কচু ও লাউয়ের চাষ করছেন। প্রতিটি প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে পাঁচ হাজার টাকা। চাষাবাদের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ সরবরাহ করছেন কৃষি কর্মকর্তারা।

রমজাপুর ইউনিয়নের বাবু রাম বিশ্বাস বলেন, এভাবে পানির ওপর কচুরিপানার শয্যায় শাকসবজির চাষ করা সম্ভব আগে কখনো চিন্তাই করিনি। কৃষি কর্মকর্তারা পরামর্শ ও সহায়তা দিয়েছেন। এখন অনেক ভূমিহীন কৃষক শাকসবজি বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করছি।

কালকিনির দক্ষিণ রমজানপুরের চরপালরদী গ্রামের জুলহাস মোল্লা ও কৃষক ছাওসার মিয়া বলেন, স্থানীয় কৃষি অফিসের সহযোগিতায় ভাসমান পদ্ধতিতে সবজি চাষ করেছি। আমি ও আমার স্ত্রী-সন্তানরা মিলে ভাসমান শয্যায় পরিচর্যা করে ২৩০টি লাউ বিক্রি করেছি। প্রতিটি লাউ ৪০-৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এছাড়া মাচার নিচে লালশাক, লাউশাক, নাগা শশার ভালো ফলন হয়েছে।

কৃষক রোহেল মিয়া বলেন, ভাসমান পদ্ধতিতে সবজি চাষ করে এ পর্যন্ত ৮০ কেজি খিরা, ৭০টি মিষ্টি কুমড়া ও বিভিন্ন ধরনের শাক উৎপাদন করে বিক্রি করে লাভবান হয়েছি।

স্থানীয় যুবক আবদুর রহমান বলেন, বিষমুক্ত ভাসমান সবজি চাষ করে সফল হয়েছেন আমাদের বাড়ির পাশের শাহিন। তার সবজি খুব সুস্বাদু ও পুষ্টিকর। আমরা তার কাছ থেকেই সবজি নিয়ে খাই।

উপজেলার মোস্তাফিজুর রহমান ও হাকিম মোল্লা বলেন, আমরা এরই মধ্যে ১৫ হাজার টাকার লালশাক, পুঁইশাক, ডাঁটাশাক, গিমা কলমি, শিম ও লাউ বিক্রি করেছি। নতুন আরো সবজি হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি উপ-সহকারী অফিসার তানভীর হাসান বলেন, যেসব এলাকা বছরের বেশিরভাগ সময় পানির নিচে থাকে সেসব এলাকায় ভাসমান সবজি চাষ করে কৃষকরা লাভবান হতে পারেন। তবে এ ধরনের উদ্যোগ কৃষকদের মাঝে আগে ছিল না। এ প্রদর্শনী প্রকল্প দেখে এখন অনেক কৃষক উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। ভাসমান ধাপ পদ্ধতিতে সবজি চাষ কম খরচে অধিক লাভজনক হওয়ায় শাহিনকে দেখে এলাকার ৩০-৪০টি পরিবার এ পদ্ধতিতে সবজি চাষ শুরুর উদ্যোগ নিয়েছেন।

উপজেলা কৃষি অফিসার মিল্টন বিশ্বাস বলেন, ভাসমান পদ্ধতিতে চাষাবাদের জন্য কৃষকদের সহযোগিতা, প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেওয়া হয় নিয়মিত। কমপক্ষে পাঁচটি শয্যা থাকলে প্রত্যেক কৃষককে পাঁচ হাজার টাকা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া সব ধরনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।