মশক নিধনে ডিএনসিসির অভিযানে ১১ লাখ টাকা জরিমানা
নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪প্রকাশিত : ১২:১২ পিএম, ১ মার্চ ২০২১ সোমবার
ছবি: সংগৃহীত
মশক নিধনে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৭ দিনের বিশেষ অভিযানের প্রায় ১১ লাখ টাকা জরিমানা করেছে সংস্থাটির পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতগুলো।
গত ২০ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) বিশেষ মশক নিধন অভিযান গতকাল রবিবার শেষ হয়েছে। ২১ ফেব্রুয়ারি ও শুক্রবার ব্যতীত মোট সাত দিন এই বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়। এই বিশেষ অভিযানে মোট ৪৪ হাজার ৯৬৮টি সড়ক, নর্দমা, জলাশয় ও স্থাপনা ইত্যাদি পরিদর্শন করা হয়।
এর মধ্যে ২১০টিতে মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং ৩০ হাজার ১২৯টিতে মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়। মশার লার্ভা ও বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া এবং অন্যান্য অপরাধে ৮৯টি মামলায় মোট ১০ লাখ ৮২ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
ডিএনসিসির উত্তরা অঞ্চলে (অঞ্চল-১) সাত দিনের বিশেষ অভিযানে ৫ হাজার ৫৭৯টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ৪টিতে মশার লার্ভা খুজে পাওয়া যায়। তবে মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় ৪ হাজার ২৪৫টি স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়। আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুলকার নায়নের নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্ট কর্তৃক ১০টি মামলায় ১ লাখ ১৪ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
মিরপুর-২ অঞ্চলে (অঞ্চল-২) ৭০৭টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ৪৯টিতে মশার লার্ভা খুজে পাওয়া যায়। মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় ৫২৬টি স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়। আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এস এম শফিউল আজমের নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্ট কর্তৃক ৯টি মামলায় ১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
মহাখালী অঞ্চলে (অঞ্চল-৩) ১৩ হাজার ৪৫০টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ৭৩টিতে মশার লার্ভা খুজে পাওয়া যায়। মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় ৭ হাজার ৪৮১টি স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়। মশার লার্ভা পাওয়া এবং অন্যান্য অপরাধের কারণে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল বাকীর নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্ট কর্তৃক এ অঞ্চলে ২৩টি মামলায় ৪ লাখ ১৪ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
মিরপুর-১০ অঞ্চলে (অঞ্চল-৪) ১ হাজার ৪০২টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ৫টিতে মশার লার্ভা খুজে পাওয়া যায়। মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় ৭২৭টি স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়। আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সালেহা বিনতে সিরাজের নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্ট কর্তৃক ১টি মামলায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
কারওয়ান বাজার অঞ্চলে (অঞ্চল-৫) ১ হাজার ৪১টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ৭টিতে মশার লার্ভা খুজে পাওয়া যায়। তবে মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় ৬৬৬টি স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়। আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ হোসেনের নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্ট কর্তৃক ২টি মামলায় ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
হরিরামপুর অঞ্চলে (অঞ্চল-৬) ৮ হাজার ৪৯৯টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ১টিতে মশার লার্ভা খুজে পাওয়া যায়। তবে মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় ৬ হাজার ৪২১টি স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়। আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিয়া আফরিনের নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্ট কর্তৃক ১২টি মামলায় ৮২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
দক্ষিণ খান অঞ্চলে (অঞ্চল-৭) ৫ হাজার ৯১৪টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ১৮টিতে মশার লার্ভা খুজে পাওয়া যায়নি। মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় ৪ হাজার ২৮৯টি স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়।
উত্তর খান অঞ্চলে (অঞ্চল-৮) ৫ হাজার ৬৯১টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ৩০টিতে মশার লার্ভা খুজে পাওয়া যায়। তবে মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় ৩ হাজার ৩৯২টি স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়। আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবেদ আলীর নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্ট কর্তৃক ২৩টি মামলায় ৪০ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
ভাটারা অঞ্চলে (অঞ্চল-৯) ২ হাজার ৩৮৩টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ২১টিতে মশার লার্ভা খুজে পাওয়া যায়। মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় ২ হাজার ১২০টি স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্ট কর্তৃক ৯টি মামলায় ১ লাখ ১২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
সাতারকুল অঞ্চলে (অঞ্চল-১০) ৩০২টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ২টিতে মশার লার্ভা খুজে পাওয়া যায়। মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় ২৬২টি স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়।
ডিএনসিসির সর্বত্র নিয়মিত মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
-জেডসি
- ফারিণের সফলতায় যা বললেন তাহসান
- কেনিয়ায় বৃষ্টি-বন্যা: মৃত্যু বেড়ে ১৬৯, নিখোঁজ ৯১
- যেসব খাবারে শরীরের তাপ কমে
- মহান মে দিবসে মেহনতি মানুষের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা
- আজ হাসপাতালে যাবেন খালেদা জিয়া
- মদিনায় ভারি বৃষ্টিতে বন্যা, রেড অ্যালার্ট জারি
- কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশের গ্রেপ্তার অভিযান
- ডিএসইসি`র সভাপতি অনিক, সম্পাদক জাওহার
- দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে ইলিশ ধরা শুরু
- ভর্তি পরীক্ষায় ব্যর্থ, পদ্মায় ঝাঁপ দিয়ে তরুণীর আত্মহত্যা
- মহান মে দিবস আজ
- ক্যারিয়ার সেরা র্যাংকিংয়ে জ্যোতি
- চুয়াডাঙ্গায় আজ ৪৩.৭ ডিগ্রি, ২৯ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ
- লাশ ও কঙ্কাল চুরি বন্ধে পদক্ষেপ নেয়া প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল
- গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৪,৫৩৫
- খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরো বাড়ল
- জমজমাট ফুটপাতের ঈদ বাজার
- দেশে ধনীদের সম্পদ বাড়ছে
- বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দল ঘোষণা
- যে বিভাগে বিচ্ছেদের হার বেশি
- ৭ই মার্চ পরিস্থিতি, কেমন ছিলো সেই দিনটি
- ঘরের মাটিতে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
- শেখ মুজিবের ৭ই মার্চের ভাষণের নেপথ্যে
- সদরঘাট ট্র্যাজেডি: সপরিবারে নিহত সেই মুক্তা ছিলেন অন্তঃসত্ত্বা
- দিনাজপুরে ব্যাপক পরিসরে শিম চাষের লক্ষ্য
- জিমন্যাস্টিকসে শিশু-কিশোরদের উৎসবমুখর দিন
- কুমিল্লা সাংবাদিক ফোরাম, ঢাকার নেতৃত্বে সাজ্জাদ-মোশাররফ-শরীফ
- বিশ্বে প্রতিদিন খাবার নষ্ট হয় ১০০ কোটি জনের
- বিরল পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের সাক্ষী হতে যাচ্ছে বিশ্ব
- ‘এক মাসে ৫৩ নারীর আত্মহত্যা’