ঢাকা, রবিবার ২৮, এপ্রিল ২০২৪ ১৪:৪৩:৩৬ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিক্ষার্থীরা, অনলাইনে ক্লাস দাবি হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে আজ, মানতে হবে যেসব নির্দেশনা খিলগাঁওয়ে একইদিনে তিন শিশুর মৃত্যু শেরে বাংলার কর্মপ্রচেষ্টা নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে বৃষ্টি কবে হবে, জানাল আবহাওয়া অফিস

মৃত্যুর ৩২ বছর পর রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহকে একুশে পদক

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৯:৪৮ এএম, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ বুধবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

ভাষা আন্দোলন, শিল্পকলা, ভাষা ও সাহিত্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতিতে প্রয়াত কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহসহ ২১ জন পাচ্ছেন এবারের একুশে পদক। তাদের মধ্যে রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহসহ ছয়জন মরণোত্তর এ সম্মাননা পাচ্ছেন। এর মধ্য দিয়ে মৃত্যুর ৩২ বছর পর রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পাচ্ছেন কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ।

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ২০২৪ সালের একুশে পদকের জন্য মনোনীতদের নাম ঘোষণা করে।

ভাষা আন্দোলনে মরণোত্তর একুশে পদক পাচ্ছেন মৌ. আশরাফুদ্দীন আহমদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা হাতেম আলী মিয়া।

শিল্পকলার বিভিন্ন শ্রেণির মধ্যে সংগীতে জালাল উদ্দীন খাঁ (মরণোত্তর), বীর মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণী ঘোষ, বিদিত লাল দাস (মরণোত্তর), এন্ড্রু কিশোর (মরণোত্তর) ও শুভ্র দেব পাচ্ছেন একুশে পদক।

নৃত্যকলায় শিবলী মোহাম্মদ, অভিনয়ে ডলি জহর ও এম এ আলমগীর, আবৃত্তিতে খান মো. মুস্তাফা ওয়ালীদ (শিমুল মুস্তাফা) ও রূপা চক্রবর্তী পাচ্ছেন এ সম্মাননা।

চিত্রকলায় শাহজাহান আহমেদ বিকাশ এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ ও আর্কাইভিংয়ে কাওসার চৌধুরীকে একুশে পদক দেওয়া হচ্ছে।

সমাজসেবায় এ সম্মননা পাচ্ছেন মো. জিয়াউল হক ও আলহাজ রফিক আহামদ।

এছাড়া ভাষা ও সাহিত্যে মুহাম্মদ সামাদ, লুৎফর রহমান রিটন, মিনার মনসুর ও রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ (মরণোত্তর) এবং শিক্ষায় প্রফেসর ড. জিনবোধি ভিক্ষু একুশে পদক পাচ্ছেন।

কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ ১৯৫৬ সালে বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন। মাত্র ৩৫ বছর বয়সে ১৯৯১ সালের জুনে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। তার বিখ্যাত কবিতা ‘বাতাসে লাশের গন্ধ’। চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় গান ‘ভালো আছি ভালো থেকো’র গীতিকার ছিলেন এই কবি।

রাষ্ট্রের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘একুশে পদক’। ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে চালু করা একুশে পদক সরকার প্রতিবছর বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে দিয়ে থাকে। বাংলাদেশের বিশিষ্ট সাহিত্যিক, শিল্পী, শিক্ষাবিদ, ভাষাসৈনিক, ভাষাবিদ, গবেষক, সাংবাদিক, অর্থনীতিবিদ, দারিদ্র্য বিমোচনে অবদানকারী, সামাজিক ব্যক্তিত্ব ও প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় পর্যায়ে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৭৬ সাল থেকে একুশে পদক দেয়া হচ্ছে।

নীতিমালা অনুযায়ী, পুরস্কার হিসেবে প্রত্যেককে একটি স্বর্ণপদক, এককালীন অর্থ (চেক) ও একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়।