ঢাকা, শুক্রবার ২৯, মার্চ ২০২৪ ৫:২৪:৫২ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
বিশ্বে প্রতিদিন খাবার নষ্ট হয় ১০০ কোটি জনের বাসায় পর্যবেক্ষণে থাকবেন খালেদা জিয়া ট্রেনে ঈদযাত্রা: ৭ এপ্রিলের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু গাজায় নিহত বেড়ে ৩২ হাজার ৪৯০ অ্যানেস্থেসিয়ার ওষুধ বদলানোর নির্দেশ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঈদ কেনাকাটায় ক্রেতা বাড়ছে ব্র্যান্ড শপে বাঁচানো গেল না সোনিয়াকেও, শেষ হয়ে গেল পুরো পরিবার

রুদ্ধশ্বাস ফাইনাল: আইপিএলের ৫ম শিরোপা চেন্নাইয়ের

স্পোর্টস ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১০:৪৬ এএম, ৩০ মে ২০২৩ মঙ্গলবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে ফাইনাল দেখতে এসেও অনেকে প্রথম দিন হতাশ হয়ে ফিরে যান। বৃষ্টির কারণে রিজার্ভ ডে-তে নিয়ে আসা হয় খেলাটি। দুর্দান্ত ব্যাট করে গুজরাট টাইটানস। টস হেরে আগে ব্যাট করে ৪ উইকেটে তারা সংগ্রহ করে ২১৪ রান।

এই রান তাড়া করতে নেমে বৃষ্টির বাগড়ায় পড়ে চেন্নাই সুপার কিংস। দুই ওপেনার ৩ বল খেলে ৪ রান তোলার পর হানা দেয় বৃষ্টি।

প্রায় আড়াই ঘণ্টা খেলা বন্ধ থাকায় ম্যাচ সোমবার টপকে মঙ্গলবার রাতেরও অনেকাংশ পেরিয়ে যায়। যদিও ফাইনালে শেষ পর্যন্ত শিরোপার নিষ্পত্তি হয়েছে চেন্নাইয়ের ইনিংসে ওভার কেটে।

ডিএলএস নিয়মে মহেন্দ্র সিং ধোনির দলের সামনে জয়ের জন্য নতুন লক্ষ্য ঠিক হয় ১৫ ওভারে করতে ১৭১ রান। সে লক্ষ্যের পিছু ছুটে শেষ পর্যন্ত ডিএলএস নিয়মে শেষ বলে ৫ উইকেটের দুর্দান্ত জয় তুলে নেয় চেন্নাই। শেষ ওভারে ১৩ রানের লক্ষ্য পূরণ করে আইপিএলে পঞ্চমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয় মহেন্দ্র সিং ধোনির দল।

চেন্নাইয়ের ওভার কাটায় গুজরাটের বোলারদের ওভারসীমাও কমে আসে। সর্বোচ্চ ৩ ওভার বল করার সীমা বেঁধে দেওয়া হয় গুজরাটের বোলারদের। আর পাওয়ার প্লে নির্ধারিত হয় ৪ ওভারের। চেন্নাইয়ের দুই ওপেনার রুতুরাজ গায়কোয়াড় ও ডেভন কনওয়ে পাওয়ার প্লের ৪ ওভারে ৫২ রান তুলে শুরুটা বেশ ভালোই করেছিলেন। ১৬ বলে ২৬ রান করা গায়কোয়াড়কে ৭ম ওভারে গিয়ে হারায় চেন্নাই।

বাঁহাতি ‘চায়নাম্যান’ স্পিনার নুর আহমদকে তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন গায়কোয়াড়। মাঝে ২ বল পর কনওয়েও ড্রেসিংরুমের পথ ধরেন। ২ ছক্কা ও ৪ চারে ২৫ বলে ৪৭ রান করা কনওয়ে আরও কিছুক্ষণ থাকলে চেন্নাইয়ের বল আর রানের ব্যবধান শেষ দিকে আরেকটু কমতে পারত। কিন্তু নুর আহমদ এক ওভারে দুই ওপেনারকে তুলে নিয়ে চেন্নাইকে চাপে ফেলেন। চাপ কাটিয়ে উঠতে চেন্নাইকে দ্রুত রান তোলার পাশাপাশি জুটিও গড়তে হতো। তৃতীয় উইকেটে শিবম দুবেকে নিয়ে অজিঙ্কা রাহানে সেই চেষ্টাই করছিলেন। জশ লিটলের করা ৮ম ওভারে ২ ছক্কায় পাল্টা লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন রাহানে।


জয়ের জন্য শেষ ৫ ওভারে ৫৯ রান দরকার ছিল চেন্নাইয়ের। এমন পরিস্থিতিতে ১১তম ওভারে ক্যাচ তুলে আউট হন রাহানে। ২ ছক্কা ও ২ চারে ১৩ বলে ২৭ রান করা রাহানে আউট হওয়ার পর জয়টা অনেক দূরের বন্দর মনে হচ্ছিল চেন্নাইয়ের জন্য। আম্বাতি রাইড়ুকে নিয়ে শেষ ৪ ওভারে ৫৪ রান তাড়ার করার চ্যালেঞ্জে নামেন শিবম দুবে। রশিদ খানের করা ১২তম ওভারে ২ ছক্কাসহ ১৫ রান তুলে ম্যাচটা জমিয়ে তোলেন দুবে। ৩ ওভারে ৪৪ রান দিয়ে উইকেটশূন্য রশিদ খান হতাশ করেছেন গুজরাটের সমর্থকদের। জয়ের জন্য চেন্নাইয়ের লক্ষ্য ১৮ বলে ৩৯ রানে নেমে আসায় ম্যাচে ছিল দুই দলই।

১৩তম ওভারে মোহিত শর্মার প্রথম তিন বল থেকে ১৬ রান তুলে রাইড়ু চেন্নাইয়ের জন্য ম্যাচটা সহজ করে তুললেও পরের বলে আউট হন। অধিনায়ক ধোনিও (০) পরের বলে ক্যাচ তুলে আউট হওয়ায় ম্যাচ আবারও গুজরাটের দিকে হেলে পড়ে। কিন্তু দুবে ও রবীন্দ্র জাদেজা ক্রিজে থাকায় চেন্নাইয়ের জয়ের সুযোগ তখনো ছিল। ১২ বলে ২১ রানের দূরত্ব- এই পরিস্থিতিতে চেন্নাইকে আটকাতে ১৪তম ওভারটি করতে আসেন গুজরাট পেসার মোহাম্মদ শামি। তিনি ৮ রান দেওয়ায় শেষ ওভারে জয়ের জন্য ১৩ রান দরকার ছিল চেন্নাইয়ের।

গুজরাটের হয়ে শেষ ওভারটি করেন মোহিত শর্মা। দুবে ও জাদেজাকে প্রথম ৪ বল পর্যন্ত কোনো বাউন্ডারি না দিলেও পঞ্চম বলে তাঁকে ছক্কা মারেন জাদেজা। এতে জয়ের জন্য শেষ বলে লক্ষ্য নেমে আসে মাত্র ৪ রানে। মোহিতের শেষ বলটি জাদেজার প্যাডে ছিল, ব্যাটে খেলে লেগে ফাইন লেগ দিয়ে বাউন্ডারি মেরে জয়ের উদ্‌যাপনে মেতে ওঠেন জাদেজা। ২১ বলে ৩২ রানে অপরাজিত ছিলেন দুবে। ৬ বলে ১৫ রানে অপরাজিত ছিলেন জাদেজা। গুজরাটের হয়ে ৩৬ রানে ৩ উইকেট নেন মোহিত শর্মা।