ঢাকা, শনিবার ২৭, ডিসেম্বর ২০২৫ ০:১৬:২১ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
১৯ বছর পর বাবার কবরের পাশে তারেক রহমান নিরাপদ, শান্তিপূর্ণ দেশ গড়ার বার্তা তারেক রহমানের কোথায়, কোন কর্মসূচি গণভোটের পক্ষে ব্যাপক প্রচার চালাবে সরকার কারাবন্দিদের ভোট দেওয়ার নির্দেশিকা জারি ইসির পুলিশের খোয়া যাওয়া অস্ত্র অধরা নির্বাচন ঘিরে আতঙ্ক

রেল ইঞ্জিনের নিচে পড়ে দুই পা হারালেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪.কম

আপডেট: ১০:৩৫ পিএম, ৩০ জানুয়ারি ২০১৮ মঙ্গলবার

কমলাপুর রেলস্টেশনে ইঞ্জিনের নিচে পড়ে দুই পা হারিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী রুবিনা আক্তার (২২)।  

 

রোববার কমলাপুর রেলস্টেশনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় রেল পুলিশ।

 

ছাত্রী রুবিনা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্রী। তিনি পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার শান্তিনগর গ্রামের মৃত রবিউল ইসলামের মেয়ে। ঢাকার সদরঘাট এলাকায় একটি মেসে থেকে পড়াশোনা করছেন। গ্রামের বাড়ির যাওয়ার জন্য গতকাল কমলাপুরে গিয়েছিলেন তিনি।

 

ঢাকা রেলওয়ে থানা কর্তপক্ষ জানান, বেলা দেড়টার দিকে রুবিনা রেললাইনের ওপর দিয়ে হেঁটে ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে যাচ্ছিলেন। এ সময় একটি ইঞ্জিন ঘোরানোর সময় তিনি এর নিচে পড়ে যান। এ সময়  তার দুটি পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। মেয়েটিকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

 

প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিদের বরাত দিয়ে রেলওয়ে পুলিশের কনস্টেবল মো. ইউনুস বলেন, বেলা দেড়টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। বেলা তিনটার দিকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

 

উদ্ধারকারী লোকজনকে রুবিনা জানিয়েছেন, তিনি মাথা ঘুরে রেললাইনের ওপর পড়ে যাওয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

 

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে রাখা হয়েছে রুবিনাকে। দুই ব্যাগ রক্ত দেওয়া হয়েছে। আরও রক্ত লাগবে। খবর পেয়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত পঞ্চগড়ের শিক্ষার্থীরা হাসপাতালে এসেছেন। রুবিনার জন্য প্রয়োজনীয় বি পজিটিভ রক্ত জোগাড়ের চেষ্টা করছেন তারা।

 

হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগের চিকিৎসক মো. রুহুল আমিন জানান, রুবিনাকে দুটি পা বিচ্ছিন্ন অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। পা দুটি থেঁতলে গেছে, হাড়ও গুঁড়া গুঁড়া হয়ে গেছে। এখন পরিস্থিতি স্থিতিশীল হলেও তাকে আশঙ্কামুক্ত বলা যাবে না।