ঢাকা, রবিবার ২১, ডিসেম্বর ২০২৫ ২২:১৯:৪৪ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
তুমি আমাদের বুকের ভেতরে আছো: প্রধান উপদেষ্টা সংসদ নির্বাচনের তফসিল সংশোধন ইসির আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে অ্যাপ ব্যবহার করবে ইসি খালেদা জিয়ার অসুস্থতা ঘিরে পরিকল্পিত গুজব ৬ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীর সামরিক মর্যাদায় দাফন আজ

শবে বরাতের রাতে আজিমপুর কবরস্থানে মানুষের ঢল

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:১০ পিএম, ১৯ মার্চ ২০২২ শনিবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

সারা দেশে যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মাধ্যমে পালিত হচ্ছে পবিত্র শবে বরাত। এ উপলক্ষে স্বজনদের কবর জিয়ারত করতে আজিমপুর কবরস্থানে ঢল নেমেছে সাধারণ মানুষের। শুক্রবার (১৮ মার্চ) রাত পৌনে ১১টার দিকে আজিমপুরের পুরোনো ও নতুন কবরস্থানে গিয়ে দেখা যায় লোকে-লোকারণ্য পুরো এলাকা।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, কবরস্থানে প্রবেশের তিনটি গেট দিয়ে মানুষ ভেতরে প্রবেশ করছেন। কেউ কবরের পাশে দাঁড়িয়ে হাত তুলে মুনাজাত করছেন, কেউ পাঠ করছেন দুরুদ শরীফ আবার কেউবা কোরআন শরীফ।

কবরস্থানে আগতরা জানান, শবে বরাতের বিশেষ সময়কে কেন্দ্র করে প্রিয়জনের মাগফেরাত কামনা করতে এসেছেন তারা।

গাজীপুর থেকে বাবার কবর জিয়ারত করতে আসা মোহাম্মদ আসিফ বলেন, আমি প্রায় শুক্রবারই বাবার কবরে আসি। জিয়ারত করি। তার জন্য দোয়া করি। আজও গাজীপুর থেকে এসেছি। শবে বরাত উপলক্ষে দিনের বেলা না এসে রাতে এসেছি।

ভাইয়ের কবরের পাশে অশ্রুসিক্ত চোখে মোনাজাত করতে দেখা গেল আব্দুল কাইয়ুম নামের আরেকজনকে। তিনি বলেন, আট মাস আগে আমার বড় ভাই হঠাৎ করেই হার্ট অ্যাটাক করে মারা গেছেন। খুব অল্প বয়সে তিনি আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। প্রায় সময়ই ভাইয়ের শূন্যতা বোধ করি। যখনই সময় পাই তখনই এখানে আসি। আজ শবে বরাতের রাতে কবর জিয়ারত করতে এসেছি।

লালবাগ থেকে মায়ের কবর জিয়ারত করতে সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে এসেছেন রাশেদ হাসান। তিনি বলেন, আমরা মাঝে-মধ্যেই এখানে আসি কবর জিয়ারত করতে। তবে আজ তো একটি বিশেষ দিন তাই ছেলেদের নিয়ে এসেছি।

শবে বরাতকে কেন্দ্র করে আজিমপুর কবরস্থানে দুপুর থেকে পরের দিন দুপুর পর্যন্ত প্রায় ৮-১০ লাখ মানুষের সমাগম হয় বলে জানান কবরস্থানের ইনচার্জ মো. নুরুল ইসলাম। তিনি বলেন, শবে বরাতের দিন দুপুর থেকেই মানুষের আনাগোনা শুরু হয়। পরদিন দুপুর পর্যন্ত প্রায় ৮-১০ লাখ লোক এখানে আসেন তাদের প্রিয়জনের কবর জিয়ারত করতে। মূলত রাত ১১টা থেকে ফজর পর্যন্ত মানুষের চাপ বেশি থাকে।

করোনার কারণে গত দুই বছর কবরস্থানের কাউকে জনসমাগম করতে দেওয়া হয়নি জানিয়ে তিনি আরও বলেন, সরকারের বিধিনিষেধ থাকায় গত দুই বছর এমন জনসমাগম করতে দেওয়া হয়নি। এ বছর যেহেতু বিধিনিষেধ নেই, তাই মানুষের ঢল নেমেছে। কবরস্থানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নিরাপত্তার দায়িত্বে যারা রয়েছেন তারা ডিউটি করছেন। এছাড়া তিনটি গেটে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যরা অবস্থান করছেন। এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর আমরা পাইনি।

এদিকে শবে বরাতকে কেন্দ্র করে কবর জিয়ারতের কোনো ভিত্তি নেই বলে জানান ঢাকা কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ আনোয়ার মাহমুদ। তিনি বলেন, শবে বরাতকে কেন্দ্র করে কবর জিয়ারত করায় কোনো বিশেষত্ব ইসলামী শরীয়তে নেই। এটিকে আবশ্যক মনে করাও ঠিক নয়। প্রিয়জনের আত্মার মাগফেরাত কামনায় যে কেউ কবর জিয়ারত করতে পারেন, তবে শবেবরাতের রাতেই তা করতে হবে এমনটি নয়।