ঢাকা, বৃহস্পতিবার ১১, ডিসেম্বর ২০২৫ ২২:০২:৩১ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
গভীর নলকূপে পড়ে যাওয়া শিশু সাজিদকে জীবিত উদ্ধার আজ সন্ধ্যায় তফসিল ঘোষণা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন সিইসি পুলিশি নিরাপত্তায় সচিবালয় ছাড়লেন অর্থ উপদেষ্টা ‘নির্বাচনে পুলিশ সদস্যদের শতভাগ নিরপেক্ষ থাকতে হবে’ বেআইনি ও অনুমোদনহীন সমাবেশ থেকে বিরত থাকার অনুরোধ ডিএমপির মা-মেয়েকে হত্যার ‘কারণ জানাল` গৃহকর্মী আয়েশা

শাড়ির দোকানে উপচেপড়া ভিড়

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪.কম

আপডেট: ১২:০৩ এএম, ৯ জুন ২০১৮ শনিবার

বাঙালি নারীর প্রিয় পোশাক, শাড়ি। শাড়িতে নারীর সৌন্দর্য বিকশিত হয়। হালের বিভিন্ন ফ্যাশনেবল সালোয়ার কামিজ, শার্ট, টপস, ফতুয়া, লেহেঙ্গা, জিনস ইত্যাদি যত ট্রে-ই আসুকনা কেন বাঙালি ললনার আবহমান সৌন্দর্যের চাবিকাঠিই হল শাড়ি। তাই তরুণীরা সব কেনার পর এখন ভিড় করছেন শাড়ির দোকানে।



সরেজমিনে রাজধানীর মিরপুর বেনারসি পল্লী, বেইলি রোড, আড়ংয়ের শোরুম, নিউ মার্কেট, হকার্স মার্কেট, বসুন্ধরা সিটি শপিং মল,যমনা ফিউচার পার্ক ,রাপা প্লাজা ঘুরে দেখা যায় এই গরমের মধ্যেও সেখানে তরুণীদের পদচারনায় সরগরম। এ ছাড়া রাজধানীতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বিচ্ছিন্নভাবে গড়ে ওঠা দোকানেও মিলছে শাড়ি।



জামদানি, মসলিন, বেনারসি, টাঙ্গাইলের সিল্ক, হাফ সিল্ক, কাতান, সুতি, পাবনার তাঁত, জুট কটন, জুট কাতান, মিরপুরি কাতান, নকশি সুতি শাড়ি, রাজশাহী সিল্ক, রেশমি সিল্ক, জর্জেট শাড়ি, কাঞ্জিভরম, পঞ্চমকলি, খাদি কাতান, শিফন শাড়িরসহ নানা রঙের ঢঙের বাহারি শাড়ি। এক শাড়ির মধ্যেই ডিজাইনের যেন অভাব নেই। কোনটা ছাড়া কোনটা কিনবেন, সবগুলোই দেখার মত। সব ডিজাইনই চলছে। কারণ তরুণীদের চাহিদা এককজনের একেক রকম। কারও সাথে কারও মিল নেই। তাই কোন চল বেশি চলছে তা অনুধাবন করাও কষ্টকর। এর মধ্যেও অনেক তরুণীরা মার্কেটের পর মার্কেট ঘুরছেন। কিন্তু নিজেরে পছন্দমত শাড়ি পাচ্ছেন না। এরকমই একজন এলমা।

 

তিনি বলেন, প্রথমে নিউমার্কেট গিয়েছি,পরে গাউসিয়া এখন যমুনাতে এসেছি ,কিন্তু শাড়ি পছন্দ হচ্ছেনা। শাড়ি ভাল লাগলে আচল ভাল লাগেনা,সবকিছু ভাল লাগলে পাড় ভাল লাগেনা। শাড়ি তো আর কামিজের মত না যে একটা কিনলেই হল। এটা অনেক বেছে কিনতে হয়। তাই আরও কয়েকটা দোকান ঘুরি,পছন্দ হলে কিনে ফেলব। আড়ংয়ে সুতির শাড়ি কিনতে আসা গৃহিণী সালমা রহমান বলেন, শাড়ি ছাড়া ঈদ উৎসব পূর্ণাঙ্গ হয় না। গরমে সুতির শাড়িই সবচেয়ে ভাল। দামও হাতের নাগালে।



সরেজমিনে বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখা যায়, সুতির শাড়ি মানভেদে এক হাজার ২০০ থেকে তিন হাজার টাকা, হাফ সিল্ক ১৫০০ টাকা থেকে ছয় হাজার, রাজশাহী সিল্ক ৯০০ থেকে তিন হাজার পাঁচশ, টাঙ্গাইলের সিল্ক ১২০০ থেকে ছয় হাজার পাঁচশ টাকা, জর্জেট শাড়ি ১২০০ থেকে চল্লিশ হাজার টাকা, বেনারসি ৩০০০ থেকে পয়ত্রিশ হাজার, জামদানি শাড়ি ৩০০০ থেকে শুরু সত্তর হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

 

রাপা প্লাজায় অনামিকা শাড়িঘর থেকে গৃহিণী কানিজ আক্তার একটি জর্জেট কিনলেন ১৪ হাজার ৭০০ টাকা দিয়ে। তিনি জানালেন, পার্টিতে পড়ার জন্য জর্জেট কিনলাম। নিউমার্কেটের আয়না শাড়ির দোকানের বিক্রয়কর্মী সুজিত কুমার বৈদ্য বলেন,বাইরের শাড়ির চাইতে এদেশের শাড়ির চাহিদা বেশি। তবে সুতির শাড়ি থেকে সফ্ট কাতান শাড়িই পছন্দ ক্রেতাদের।

 

রাজধানীর বিপনীবিতান মাসকট প্লাজায় শাড়ি কিনতে আসা নারী ক্রেতা এভ্রিল বলেন, এখনই মনে হয় অনেক খালেকশন শেষ হয়ে গেছে। আরও আগে আসা দরকার ছিল।তবে আমি আমার পছন্দমত একটা কাতান কিনলাম ১২ হাজার দিয়ে।