ঢাকা, রবিবার ০৭, ডিসেম্বর ২০২৫ ১৩:২৪:৫৬ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
বিমান ভ্রমণে সক্ষম না হওয়ায় খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রায় দেরি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ফ্লাইটকে ‘ভিভিআইপি মুভমেন্ট’ ঘোষণা খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় সব ধরনের সহযোগিতা করছে সরকার : প্রেস সচিব ভারতের পর্যটনরাজ্য গোয়ার নাইটক্লাবে বড় অগ্নিকাণ্ড, নিহত ২৩ ইন্দোনেশিয়ায় বন্যা-ভূমিধস: মৃতের সংখ্যা ছাড়াল ৯০০

শীতে কাঁপছে পঞ্চগড়, তাপমাত্রা নামলো ১০ ডিগ্রিতে

পঞ্চগড় প্রতিনিধি | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১০:৩৫ এএম, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫ রবিবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

টানা দুই দিন ধরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে দেশের সর্বউত্তরের জেলা পঞ্চগড়। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ শেষ না হতেই হিমেল বাতাস ও ঘন কুয়াশায় জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, জেলাজুড়েই মৃদু শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে।

এ অবস্থায় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন দিনমজুর ও শ্রমজীবীরা। ভোরের কনকনে ঠান্ডায় মাঠে-ঘাটে কাজে যাওয়া তাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে।

রোববার (৭ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ।

এর আগে, গত মঙ্গলবার তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা নেমেছিল ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। বুধবার থেকে শুক্রবার তিন দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ ডিগ্রি। শনিবার সকালেও তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি এবং বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৪ শতাংশ। ঘন কুয়াশার কারণে সড়কে যান চলাচল ধীরগতির ছিল এবং দুর্ঘটনা এড়াতে যানবাহনকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে হয়েছে। এদিন দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

রোববার ভোর থেকেই জেলাজুড়ে ঘন কুয়াশা দেখা দেয়। সকাল ৮টা পর্যন্ত সড়কপথ ও আশপাশের মাঠ-ঘাট সাদা চাদরে ঢাকা পড়ে থাকে। দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ায় পুরো সকালজুড়ে যানবাহনকে হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে চলাচল করতে হয়।

শীত বাড়ায় নিম্ন আয়ের মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। ঠান্ডা থেকে রক্ষা পেতে অনেকেই বাড়িঘর ও রাস্তার মোড়ে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।

দূরপাল্লার হানিফ নামে এক গাড়িচালক বলেন, কুয়াশা অনেক ঘন। আগে ঢাকা থেকে পঞ্চগড় আসতে ৮-১০ ঘণ্টা লাগতো, এখন ১২-১৩ ঘণ্টা সময় লাগছে।

পঞ্চগড় শহরের ভ্যানচালক আব্দুল জলিল জানান, কুয়াশার কারণে সকালে যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না, আয় কমে গেছে।

পাথরশ্রমিক মফিজ উদ্দীন বলেন, ঠান্ডার কারণে নদীতে নামতে পারছি না। কাজ না করলে চলবো কীভাবে? তারপরও যেতে হবে।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, তাপমাত্রা এখনো মৃদু শৈত্যপ্রবাহের ঘরেই রয়েছে। ডিসেম্বরের শুরুতেই এমন পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় সামনের দিনগুলোতে শৈত্যপ্রবাহ আরও জোরদার হতে পারে। রাতে তাপমাত্রা কমবে এবং কুয়াশা আরও ঘন হতে পারে।