শীতের কাপড় বোনায় ব্যস্ত রাখাইন নারীরা
খায়রুল বাশার বুলবুল | উইমেননিউজ২৪প্রকাশিত : ০২:৫১ পিএম, ২৩ নভেম্বর ২০১৮ শুক্রবার
শীত মৌসুম শুরু হয়েছে। সকাল, বিকেল ও রাতের ঠান্ডা শীতের আগমনী বার্তা দিচ্ছে উপকূলের মানুষকে। শীত তাগাদা দিচ্ছে বরগুনার রাখাইন তাঁতীদেরও, শীতের কাপড় বোনাতে।
বরগুনা ও পটুয়াখালী অঞ্চলের রাখাইন নারী তাঁতীদের উৎপাদিত চাদর, শার্টের পিস, ব্যাগ, শাড়ি, লুঙ্গী, গামছা প্রভৃতি বস্ত্রের কদর দক্ষিণাঞ্চলসহ দেশের সর্বত্রই রয়েছে। মিয়ানমার থেকে আমদানি করা বিভিন্ন রঙ বে-রঙয়ের সুতা দিয়ে হস্তচালিত তাঁতে তৈরি রাখাইনদের কারুকাজ খচিত বস্ত্রের চাহিদা সারা বছর খুব বেশি না থাকলেও শীত মওসুম ও ঈদে ব্যাপক চাহিদা দেখা যায়। তবে মৌসুমী এ অর্থনৈতিক কর্মকান্ড গত দু বছর ধরে মোটামুটি সারা বছরই চালু থাকে বলে জানান রাখাইন নারী তাঁতিরা। তারা জানান, বরগুনার তালতলী উপজেলায় তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র, জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প, সোনাকাটা ইকোপার্ক, পাথরঘাটার হরিণঘাটা, লালদিয়ার চরে পর্যটনস্পট, পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়ায় পায়রা সমুদ্র বন্দর, ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র, নৌ ঘাটি, দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল ল্যান্ডিং স্টেশন, কুয়াকাটার পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটনের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। পাশাপাশি তাদের তৈরিকৃত পণ্যের চাহিদাও বাড়ছে।
১৮৮৪ খ্রিস্টাব্দের পর থেকে পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা ও কলাপাড়া উপজেলার কালাচানপাড়া, গোড়া আমখোলাপাড়া, দিয়ারআমখোলাপাড়া, নয়াপাড়া, নাইউরী পাড়া, মংথয়পাড়া, থঞ্জুপাড়া, মিশ্রিপাড়া, লক্ষ্মীপাড়া, বৌলতলীপাড়া, পক্ষীয়াপাড়া, কেরানীপাড়া এবং বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলার তালতলীপাড়া, ছাতনপাড়া, গোড়াঠাকুরপাড়া, আগাঠাকুরপাড়া, মনুসেপাড়া, অংকোজানপাড়া, তাতেপাড়া, লাউপাড়া, নামেসেপাড়া, কবিরাজপাড়া, সওদাগাড়পাড়া ও তালুকদারপাড়ায় রাখাইনরা স্থায়ীভাবে বসবাস করা শুরু করে। চল্লিশ দশকের শেষভাগে এ অঞ্চলগুলোতে ২৪২টি রাখাইন পাড়া বা পল্লী ছিল। প্রবীণ রাখাইনরা জানান, সে সময়ে বরগুনা ও পটুয়াখালী জেলায় ৬০ হাজারের বেশী রাখাইন বসবাস করত। বর্তমানে রাখাইন জনসংখ্যা ১০ হাজারের নিচে নেমে এসেছে। বহু রাখাইন পাড়া বিলুপ্ত হয়ে গেছে। এক সময়ে জায়গা জমি ধনদৌলতে খুবই স্বনির্ভর ও সমৃদ্ধ ছিল রাখাইনরা। তারা গড়ে তুলেছিলেন বড় বড় বৌদ্ধ বিহার (প্যাগোডা), শ্মশান (চে-শেই) ও শান বাঁধানো পুকুর। পালিত হতো ধর্মীয় অনুষ্ঠানসহ বৈশাখী পূর্নিমা, চৈত্র সংক্রান্তি বা সাংগ্রান, নববর্ষ উৎযাপনে জলকেলী উৎসবসহ নানা অনুষ্ঠান। শ্রমণ, বিয়ে অনুষ্ঠান, শ্রাদ্ধ, বৌদ্ধ বিহারাধ্যক্ষের মৃত্যু পরবর্তী শ্রাদ্ধ আড়ম্বর পরিবেশে উদযাপিত হতো। নানাবিধ সমস্যায় তারা আর্থ সামাজিক প্রতিযোগিতায় হোচট খেতে থাকে। এ অঞ্চল থেকে রাখাইন জনগোষ্ঠীর সংখ্যা কমতে থাকে ক্রমান্বয়ে।
বরগুনার তালতলী পাড়া, ছাতন পাড়া, মনুখে পাড়া, আগাঠাকুর পাড়া, নিশানবাড়ীয়া ইউনিয়নের সওদাগর পাড়া, তালুকদার পাড়া ও সোনাকাটা ইউনিয়নের কবিরাজ পাড়া, নামিষে পাড়া, লাউ পাড়া ও অংকুজান পাড়াসহ রাখাইন পাড়াগুলোতে ১২ থেকে ১৪টি করে শতাধিক হস্তচালিত তাঁত রয়েছে। কোনো কোনো এলাকায় একই পরিবারে দুই থেকে তিনটিও তাঁত রয়েছে। কলাপাড়া, কুয়াকাটা ও গলাচিপায় রয়েছে আরও দুই শতাধিক তাঁত। এসব তাঁতে ৬শ’র বেশী পেশাদার নারী তাঁতী কাপড় বুনন করে থাকেন।
বরগুনার তালতলী উপজেলার আগাঠাকুর পাড়ার উসিট মং জানান, এক সময়ে তাঁত বস্ত্রের উপরই নির্ভরশীল ছিল রাখাইন পরিবারগুলো। রাখাইন পরিবারের মধ্যে এমন প্রচলন ছিল যে, মেয়েরা হস্তচালিত তাঁত শিল্পের কাজ না জানলে তাদের বিয়ে হতো না। রাখাইনদের তাঁতে প্রথম দিকে পরিবারের চাহিদা মেটাতে কাপড় বোনা হতো। পরে তারা বাণিজ্যিক পরিসরে এ কাজ শুরু করলে দেশব্যাপী তার কদর বাড়ে ঠিকই তবে যথার্থ পদ্ধতিতে বিপনন বা রফতানী না করতে পারায় এবং সীমিত সংখ্যক ক্রেতা ও চাহিদার কারনে এ শিল্প বেশীদূর যেতে পারেনি। বর্তমানে উপকূলে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ডে জনসমাগম বেড়েছে, বেড়েছে বিকিকিনিও। তাছাড়া যোগাযোগ মাধ্যমের উন্নতির সাথেসাথে তাদের পন্যের পসার ঘটবে বলে রাখাইনরা এ আশা প্রকাশ করেন।
রাখাইন কমিউনিটি নেত্রী ও স্কুল শিক্ষিকা অংতেন তালুকদার জানিয়েছেন, এ অঞ্চলে বসবাসরত রাখাইন সম্প্রদায়ের লোক সংখ্যা দিনদিন কমে যাচ্ছিল। কর্মসংস্থানের অভাবই ছিল তার প্রধান কারণ। বর্তমান সরকার আন্তরিকতায় এ অঞ্চলের প্রভূত উন্নয়ন হচ্ছে। আমরা আমাদের ঐতিহ্য ও অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পারব।
- ছবির জন্য ওজন বাড়িয়ে বিপাকে পরিণীতি
- বসুন্ধরা গ্রুপে নিয়োগ, আবেদন ২ মে পর্যন্ত
- তিল চাষে ঝুঁকছেন সদরপুরের কৃষকরা
- কাটাখালী পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হলেন রিতু
- তীব্র গরমে শরীরে পানিশূন্যতারোধে উপকারী যেসব ফল
- অব্যাহত তাপপ্রবাহের মধ্যে শিলাবৃষ্টির আভাস
- আজ সেই ভয়াল ২৯ এপ্রিল
- মাত্র ১০ মিনিটের ঝড়ে লন্ডভন্ড মৌলভীবাজার
- আজ দেশে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী
- ৩৭ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ‘ফিলস লাইক’ ৪৫ ডিগ্রি কেন?
- দেশের ইতিহাসে হিটস্ট্রোকে একদিনে ১৭ মৃত্যুর রেকর্ড
- রাত ১১টার পর চায়ের দোকান বন্ধ করার নির্দেশ
- মাঠে সেদিন কি হয়েছিল, জানালেন মুশফিক, রিয়াদ ও সেই নারী আম্পায়ার
- ঢাকাসহ ৫ জেলার স্কুল-কলেজ বন্ধ আজ, প্রাথমিক খোলা
- বিপজ্জনক দাবদাহ থেকে নিজেকে রক্ষা করবেন যেভাবে
- খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরো বাড়ল
- জমজমাট ফুটপাতের ঈদ বাজার
- দেশে ধনীদের সম্পদ বাড়ছে
- বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দল ঘোষণা
- যে বিভাগে বিচ্ছেদের হার বেশি
- ৭ই মার্চ পরিস্থিতি, কেমন ছিলো সেই দিনটি
- ঘরের মাটিতে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
- শেখ মুজিবের ৭ই মার্চের ভাষণের নেপথ্যে
- সদরঘাট ট্র্যাজেডি: সপরিবারে নিহত সেই মুক্তা ছিলেন অন্তঃসত্ত্বা
- দিনাজপুরে ব্যাপক পরিসরে শিম চাষের লক্ষ্য
- জিমন্যাস্টিকসে শিশু-কিশোরদের উৎসবমুখর দিন
- কুমিল্লা সাংবাদিক ফোরাম, ঢাকার নেতৃত্বে সাজ্জাদ-মোশাররফ-শরীফ
- বিশ্বে প্রতিদিন খাবার নষ্ট হয় ১০০ কোটি জনের
- রাজধানীতে বাসার ছাদে তরুণীকে ধর্ষণ, আসামি গ্রেপ্তার
- বিরল পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের সাক্ষী হতে যাচ্ছে বিশ্ব