ঢাকা, বুধবার ০৮, মে ২০২৪ ২২:৩৯:২২ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
যৌন হয়রানি: ঢাবি অধ্যাপক নাদিরকে অব্যাহতি হজ কর্মসূচি উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুই কবির জন্মবার্ষিকী পালনের নির্দেশ জিম্মি মুক্তিতে হামাসের সম্মতির পরও গাজায় যুদ্ধবিরতি অনিশ্চিত হজের ফ্লাইট শুরু ৯ মে

শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র: ১৪ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০২:৩৮ পিএম, ২৩ মার্চ ২০২১ মঙ্গলবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় জনসভাস্থলে বোমা পুঁতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্রের মামলায় ১৪ জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার আগে কারাগারে থাকা নয়জন আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আদালত ও তার আশপাশের এলাকায় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়।

আজ মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এই রায় ঘোষণা করেন।

এর আগে এ মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয় ১১ মার্চ। শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষ ১৪ আসামির সবার মৃত্যুদণ্ড চেয়েছিল। পরে আদালত রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করেন। সে অনুসারে আজ রায় ঘোষণা করা হলো।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১৪ আসামি হলেন- মফিজুর রহমান, মাহমুদ আজহার, রাশেদুজ্জামান, তারেক, ওয়াদুদ শেখ ওরফে গাজী খান, আজিজুল হক, লোকমান, ইউসুফ ওরফে মোছহাব মোড়ল, মোছহাব হাসান ওরফে রাশু, শেখ মো. এনামুল হক, আনিসুল ইসলাম, সারোয়ার হোসেন, আমিরুল ইসলাম ও রফিকুল ইসলাম খান।

২০০০ সালের ২২ জুলাই গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় শেখ লুৎফর রহমান সরকারি আদর্শ কলেজের প্রাঙ্গণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভার প্যান্ডেল তৈরির সময় শক্তিশালী একটি বোমা দেখতে পাওয়া যায়। সেনাবাহিনীর একটি দল ৭৬ কেজি ওজনের ওই বোমা উদ্ধার করে। পরদিন ২৩ জুলাই ৪০ কেজি ওজনের আরেকটি বোমা উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় কোটালীপাড়া থানায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা, হত্যার ষড়যন্ত্র ও বিস্ফোরকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে তিনটি মামলা করে পুলিশ।

হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় ২০১৭ সালের ২০ আগস্ট বিচারিক আদালত রায় দেন। রায়ে ১০ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড এবং ১৩ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত সবাই নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামী বাংলাদেশের (হুজি-বি) নেতা-কর্মী।

হত্যাচেষ্টা মামলায় আপিলের রায়ও হয়েছে। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ঘোষিত রায়ে ১০ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন হাইকোর্ট। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামি ও ১৪ বছর দণ্ডিত দুই আসামির সাজাও বহাল রাখা হয়েছে। ১৪ বছর দণ্ডিত অপর এক আসামিকে খালাস দিয়েছেন উচ্চ আদালত।

অপর দিকে, হত্যার ষড়যন্ত্রের মামলায় ২০০১ সালের ১৫ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশের অপরাধ ও তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। ২০০৪ সালে ১৪ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। বিচারে রাষ্ট্রপক্ষে ৫০ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩৪ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়।

-জেডসি