ঢাকা, বুধবার ২৪, এপ্রিল ২০২৪ ১৯:৫২:৩৯ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
খালেদার গ্যাটকো মামলায় চার্জগঠনের শুনানি পেছাল কুড়িগ্রামে তাপদাহ: বৃষ্টির জন্য নামাজ আদায় থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা ‘পদ্মশ্রী’ গ্রহণ করলেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা কাতার-বাংলাদেশ ১০ চুক্তি-সমঝোতা সই

সংবাদপত্র বিক্রেতা থেকে দেশের প্রধানমন্ত্রী তিনি

অনলাইন ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৩:৩৭ পিএম, ১৬ মে ২০২২ সোমবার

সানা মারিন-ছবি : সংগৃহীত

সানা মারিন-ছবি : সংগৃহীত

প্রত্যেক মানুষের জীবনে নানা প্রতিকূলতা রয়েছে। সেই প্রতিকূলতা কাটিয়ে নিজের লক্ষ্যে পৌঁছানোতেই জীবনের সাফল্য লুকিয়ে থাকে। যেমন ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সানা মারিন। ‍যিনি মাত্র ৩৪ বছর বয়সে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী সানা।

খুব ছোট বয়সে সানার মদ্যপ বাবার সঙ্গে মায়ের বিচ্ছেদ হয়ে হয়ে যায়। বিচ্ছেদের পর নিদারুণ আর্থিক সংকটের মধ্যে পড়েন তারা। এর পর তার মা এক নারীর সঙ্গে একত্রবাস করতে শুরু করেন। ফলে এক নারী পরিবেষ্টিত পরিবারে মধ্যে বড় হয়ে ওঠেন সানা।

নিদারুণ আর্থিক সংকটের মধ্যে তাকে খুব ছোট বয়স থেকে টাকা রোজগারের জন্য বেরিয়ে পড়তে হয়। এক বেকারিতে কাজ নেন তিনি। এ ছাড়া আংশিক সময়ের জন্য সংবাদপত্রও বিক্রি করতেন।
 
পড়ালেখায় খুব আহামরি ছিলেন না। দক্ষিণ ফিনল্যান্ডের উপকণ্ঠে একটি ছোট্ট শহরের স্কুলে পড়তেন। সেই স্কুলের এক শিক্ষিকা পাসি কেরভিনেন জানিয়েছেন, সানা ‘গড়পড়তা’ ছাত্রীদের মতো ছিলেন। উন্নতির জন্য তাকে মাঝে মাঝে বাড়ির কাজ দেওয়া হতো।

২০০৪ সালে ১৯ বছর বয়সে তিনি স্নাতক হন। অতঃপর, ট্যাম্পারে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পান সানা। সেখানে তিনি প্রশাসনিক বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ বছরে তার সঙ্গে পরিচয় হয় পেশাদার ফুটবলার মার্কাস রাইকোনেনের। তার পর প্রেম। ১৬ বছর ধরে প্রেম করার পর ২০২০ সালে বিয়ে করেন তাকে। সেখানে পড়ালেখার সময়ই তিনি রাজনীতিতে যুক্ত হন। তিনি সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট দলে যোগ দেন এবং ২০০৬ সালে সদস্যপদ লাভ করেন।

২০১০ সালে তিনি দলের ভাইস-প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। ২০১২ পর্যন্ত তিনি ওই পদে থাকেন। তবে তার রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়েছিল পরাজয় দিয়ে। ২২ বছর বয়সে তিনি ট্যাম্পারে সিটি কাউন্সিলের নির্বাচনে লড়েন। কিন্তু সেই নির্বাচনে তিনি হেরে যান। কিন্তু ২০১২ সালে পরবর্তী নির্বাচনে তিনি জয়ী হন এবং কাউন্সিল চেয়ারম্যান পদে উন্নীত হন। ওই পদে তিনি ২০১৩ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ছিলেন। ২০১৫ সালে তিনি ফিনল্যান্ডের পার্লামেন্টের সাংসদ হন। ২০১৯ সালে দ্বিতীয়বার জিতে তিনি পরিবহন ও যোগাযোগ মন্ত্রী হন। এর পর মাত্র ৩৫ বছর বয়সে তিনি পাঁচ জোটের নেতা হিসেবে ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হন।

সন্তানকে স্তন্যদানের ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে আলোচনায় ছিলেন তিনি। তার আমলেই বাড়ানো হয়েছে পিতৃত্ব-মাতৃত্বকালীন ছুটি। স্কুল ছেড়ে যাওয়া বয়সও বাড়িয়ে আঠারো করা হয়েছে। কোভিডের সময় যেভাবে তিনি সংকট সামলেছেন, তা প্রশংসিত হয়েছে। 

সূত্র : আনন্দবাজার।