ঢাকা, শুক্রবার ০৫, ডিসেম্বর ২০২৫ ১৩:০২:১৭ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে হাসপাতালে প্রধান উপদেষ্টা খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় যুক্তরাজ্যের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ঢাকায় আগামী নির্বাচন নিয়ে জাতি গর্ব করবে : প্রধান উপদেষ্টা তলবের ১০ মিনিটেই হাজির জেডআই খান পান্না, চাইলেন নিঃশর্ত ক্ষমা ‘পরিবেশ ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করছে সরকার’

স্ত্রী ও দুই সন্তানের মরদেহ উদ্ধার, সেনাসদস্য কারাগারে

বগুড়া প্রতিনিধি | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৯:৩৩ এএম, ২৮ নভেম্বর ২০২৫ শুক্রবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার খলিশাকান্দি গ্রামে স্ত্রী ও দুই সন্তানের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় সেনাসদস্য শাহাদাত হোসেন কাজলকে (২৭) প্রধান আসামি করে মামলা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) সাদিয়ার মা রাবেয়া সুলতানা শাজাহানপুর থানায় মামলাটি করেন। পড়ে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক শাহাদাতকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। 

শাজাহানপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  

এর আগে গত মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে খলিশাকান্দি দহপাড়ার টিনশেড ঘর থেকে সাদিয়া (২২), তার তিন বছরের মেয়ে সাইফা এবং সাত মাসের ছেলে সাইফের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। দুই শিশুকে গলা কাটা অবস্থায় পাওয়া যায় এবং সাদিয়ার গলায় ওড়না পেঁচানো দাগ দেখা যায়। এ ঘটনার পর এলাকাজুড়ে শোকের পাশাপাশি আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার দিনই পুলিশ শাহাদাতকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয়। তিনি ময়মনসিংহ সেনানিবাসে কর্মরত এবং কয়েকদিন আগে ছুটি নিয়ে বাড়িতে আসেন।

মামলার এজাহারে রাবেয়া সুলতানা উল্লেখ করেন, গত তিন বছর ধরে শাহাদাত তার মেয়ের ওপর নিয়মিত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতেন। জমি বিক্রির টাকা আনা এবং মোটরসাইকেল কেনার জন্য তিন লাখ টাকা দাবি করেন তিনি। ঘটনার আগের দিনও শাহাদাত ফোন করে টাকা দাবি ও সাদিয়াকে মারধরের কথা জানান। 

রাবেয়ার দাবি, ২৪ নভেম্বর সন্ধ্যা থেকে পরদিন দুপুরের আগে কোনো এক সময়ে শাহাদাত ও অজ্ঞাত সহযোগীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে দুই শিশুকে হত্যা করেন এবং সাদিয়াকে শ্বাসরোধে হত্যার পর ঘটনাটিকে আত্মহত্যা হিসেবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেন। ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিবারের সদস্যরা রক্তাক্ত মরদেহ এবং পাশেই রক্তবিহীন একটি লোহার বটি দেখতে পান, যা তাদের মতে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের ইঙ্গিত বহন করছে।

অন্যদিকে শাহাদাতের পরিবারের দাবি, সাদিয়া মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন এবং আগেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। সাদিয়া দুই সন্তানকে হত্যা করে নিজেই আত্মহত্যা করেছেন। তবে নিহত সাদিয়ার পরিবার এই দাবি সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে একসঙ্গে তিনটি মরদেহ দেখতে পেয়ে সবাই হতবাক হয়ে যান। আশপাশে কোনো শব্দ না পাওয়ায় ঘটনাটি আরও রহস্যজনক বলে মনে হয়েছে।

শাজাহানপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, হত্যা নাকি আত্মহত্যা এই মুহূর্তে নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। মামলাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে। প্রয়োজনে আসামিকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

ময়নাতদন্ত শেষে সাদিয়ার মরদেহ ভান্ডারপাইকা গ্রামে এবং দুই শিশুর মরদেহ খলিশাকান্দিতে দাফন করা হয়। নৃশংস এ ঘটনার বিচার দাবিতে এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে।