ঢাকা, মঙ্গলবার ২৩, এপ্রিল ২০২৪ ১৪:০৪:৫৪ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
‘পদ্মশ্রী’ গ্রহণ করলেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা কাতার-বাংলাদেশ ১০ চুক্তি-সমঝোতা সই কয়েক ঘণ্টায় ৮০ বারেরও বেশি কেঁপে উঠল তাইওয়ান ঢাকা থেকে প্রধান ১৫টি রুটে ট্রেনের ভাড়া যত বাড়ল মাকে অভিভাবকের স্বীকৃতি দিয়ে নীতিমালা করতে হাইকোর্টের রুল আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করেছি : শেখ হাসিনা নতুন করে ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি

১০ বিঘা জমির ফুল গাছ কেটে সাবাড়, থানায় মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৫:৪৩ পিএম, ১৬ অক্টোবর ২০২০ শুক্রবার

১০ বিঘা জমির ফুল গাছ কেটে সাবাড়, থানায় মামলা

১০ বিঘা জমির ফুল গাছ কেটে সাবাড়, থানায় মামলা

নওগাঁর ধামইরহাটে শহীদ আব্দুল জব্বার মঙ্গলবাড়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের জমিতে লিজ নিয়ে তৈরি করা বাগান অন্যায়ভাবে কেটে ফেলা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে স্কুলটির প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ এই অন্যায় কাজ করেছেন।

জানা গেছে, ওই স্কুলের ১০ বিঘা জমি লিজ নিয়ে চায়না বেলি ফুলের চাষ করে আসছিলেন জয়পুরহাটের ফুলচাষী জাকারিয়া মন্ডল। ৮ বছরের চেষ্টায় তিনি গড়ে তোলেন ফুলের গাছগুলো।

জাকারিয়া জানান, লিজের মেয়াদ শেষ হওয়ায় এ বছর লিজ নিতে গেলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ মোটা অঙ্কের টাকা উৎকোচ দাবি করেন। উৎকোচ না দেওয়ায় দখল ছেড়ে দিতে জাকারিয়াকে চাপ দেন প্রধান শিক্ষকসহ অন্যরা। পরে গত মঙ্গলবার বিকেলে প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে এবং তার উপস্থিতিতে ফুল গাছগুলো কেটে তছনছ করে দেওয়া হয়। এতে বাগান মালিক জাকারিয়ার ১২ লাখের বেশি টাকার ক্ষতি হয়। আর ফুলবাগানের ফুলের মালা গেঁথে জীবিকা নির্বাহ করা কয়েক শত নারী কর্মহীন হয়ে পড়েছেন।
 
ফুল গাছ কাটার বিষয়ে কিছুই জানেন না উল্লেখ করে বিদ্যালয়টির সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘বিদ্যালয়ের লিজকৃত জমির মেয়াদ ২ বছর আগেই শেষ হয়ে গেছে। বাগান ছেড়ে দিতে তাকে উকিল নোটিশ দেওয়া হয়েছিল।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ফোন কেটে দেন। 

এ দিকে বিষয়টি নিয়ে ধামইরহাট থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত জাকারিয়া। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকও ধামইরহাট থানায় অভিযোগ করেছেন।

ধামইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মমিন বলেন, ‘বিষয়টি উপজেলা প্রশাসন অবগত আছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সমাধানের জন্য-এমনটাই জেনেছি। তবে বাদী-বিবাদী উভয়ে পৃথক পৃথক অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’