ঢাকা, মঙ্গলবার ২৩, ডিসেম্বর ২০২৫ ৫:১৭:০৬ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
‘সরকারকে অবশ্যই মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে’ দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের ভিসা সেবা বন্ধ ঘোষণা প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি নিয়ে বৈঠক কলকাতায় বাংলাদেশ হাইকমিশন ‘না রাখতে’ দেওয়ার হুমকি শুভেন্দুর ২৭ ডিসেম্বর ভোটার হবেন তারেক রহমান দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে সোনা

উৎসবের আমেজ বাজারজুড়ে

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪.কম

আপডেট: ১২:১২ পিএম, ১৩ মে ২০১৮ রবিবার

রোজার আবেশ পুরো বাজারজুড়ে। পাইকারী ও খুচরা বাজারে এক ধরনের উৎসব উৎসব ভাব। আগামী সপ্তাহে রোজা। আজ শুক্রবার, বন্ধের দিন হওয়ায় বাজারে উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা গেল। দাম সবকিছুরই উর্ধ্বমুখী। এ লাগামহীন দামে হাফ উঠছে সাধারণ মানুষের।

 

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার খুচরা বাজারগুলোতে ঘুরে দেখা যায়, সব্জির দাম বাড়তি। গ্রীন রোড বাজারের সব্জির খুচরা বিক্রেতা হাসান আলি জানান সব্জির দাম একটু বাড়তি। একে তো রোজা, তার উপর আবার বৈরি আবহাওয়ার কারণে সব্জির দাম হঠাৎ করে বেড়ে গেছে।

 

হাসানের ভাষ্য অনুযায়ী প্রতিকেজি ধুন্দল ৫০, আলু ২৫ থেকে ৩০, পটল ৩৮ থেকে ৪০, কাঁচাকলা হালি ৩০, কচুর লতি ৪৫, পেঁপে ২৫ থেকে ৩০, বেগুন ৫০ থেকে ৬০, শিম ৩৫ থেকে ৪০, মূলা ২০ থেকে ২৫, কাঁচামরিচ ৪০, ধনিয়াপাতা ১৪০, ঢেঁড়স ৪০ থেকে ৪৫, বরবটি ৪৫, কচুরমুখি ৪৫, চিচিঙ্গা ৪০, শশা ২৫ থেকে ৩০,কাকরোল ৬০, করললা ৪০ থেকে ৪৫, টমেটো ৪০ টাকা, কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

 

মিরপুর এক নম্বরের কাচাবাজারে গিয়ে সব্জির দামের একটু হেরফের লক্ষ্য করা গেল। সেখানের খুচরা ব্যবসায়ী শামীম আহমেদ জানান, প্রতিকেজি ধুন্দল ৪৫, আলু ২০ থেকে ২৫, পটল ৩৫ থেকে ৪০, কাঁচাকলা হালি ২৫, কচুর লতি ৪০, পেঁপে ২৫ থেকে ৩০, বেগুন ৫০ থেকে ৫৫, শিম ৩৫ থেকে ৪০, মূলা ২০ থেকে ২৫, কাঁচামরিচ ৪০, ধনিয়াপাতা ১৩০, ঢেঁড়স ৪০ থেকে ৪৫, বরবটি ৪৫, কচুরমুখি ৪৫, চিচিঙ্গা ৪০, শশা ২৫ থেকে ৩০,কাকরোল ৬০, করললা ৪০ থেকে ৪৫, টমেটো ৪০ টাকা, কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

 

এছাড়া লাউ প্রতিপিস ২৫ থেকে ৩০, লেবু হালি ৩০ থেকে ৩৫, লাল শাক, পালং শাক ও ডাটা শাক ৩ আঁটি ২০ থেকে ২৫ টাকা,কাচা কলা ৫০ টাকা হালি দরে বিক্রি হচ্ছে। 

 

অন্যান্য জিনিসের মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে নাজিরশাইল চাল ৬৬ থেকে ৭০, মিনিকেট (মানভেদে) ৬০ থেকে ৬৫, পাইজাম ৫২, বিআর-২৮ ৫১ থেকে ৫৩, স্বর্ণা ও পারিজ ৪৫, দেশি মশুর ডাল ১১০ থেকে ১২০, দেশি পিঁয়াজ ৫০ থেকে ৫৫, আমদানি পেঁয়াজ ৪৫, রসুনের দাম বেড়ে ১০০ থেকে ১২০, চিনি ৬৫ থেকে ৭০ এবং আদার দাম বেড়ে ৯০ থেকে ১২০ টাকা কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ছোলার কেজি ৮০ -৮৫ টাকা,চিনি ৫৮ থেকে ৬০ টাকা, খেজুর কেজি প্রতি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, মুড়ি ৭০ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

 

গুলশান কাচাবাজার মার্কেটে গিয়ে দেখা গেছে, মাছ ও মাংসের প্রতিকেজি কালিবাউস ২৩০, কাতল ২৮০, পাঙ্গাশ ১১০, রুই ৩০০, সিলভারকার্প ১৫০, তেলাপিয়া ১৪০ থেকে ১৬০, শিং ৫০০ থেকে ৭০০ ও চিংড়ি ৫০০ থেকে ৭০০, ইলিশ (আকারভেদে) ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা, বোয়াল ৮০০ টাকা, পাবদা ১১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

 

এছাড়া প্রতিকেজি গরুর মাংস ৫০০ থেকে ৫২০, খাসির মাংস ৭০০-৭৭০, ব্রয়লার মুরগি ১৪৫ ও দেশি মুরগি ৩৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। 

 

বাজার করতে আসা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকরিজীবি রেজাউল করিম বলেন, প্রতিবারই কোন না কোন কারণে রোজা আসলেই পণ্যের দাম বেড়ে যায়, আর আমাদেরও সে দামেই বাধ্য হয়ে কিনতে হয়। দাম হাতের নাগালের মধ্য থাকলে সংসার চালাতে সুবিধা হয় বলে জানান এ কর্মকর্তা।