ঢাকা, শুক্রবার ০৫, ডিসেম্বর ২০২৫ ১৫:১০:৪৯ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
আজ আসছে না এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা পেছাল খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ারে জুবাইদা রহমান ‘শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ভারতের ইতিবাচক সাড়া নেই’ বেশির ভাগ সবজিই ৬০-৮০ টাকার ওপরে বন্যায় সহায়তা: বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানালেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী

এআই নিয়ে চাপে মেটা

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০২:৩৯ পিএম, ৩ নভেম্বর ২০২৫ সোমবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বজুড়ে আলোচনায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই। গুগল, ওপেনএআই, এনভিডিয়া - সবাই এই প্রযুক্তিতে এগিয়ে যাওয়ার প্রতিযোগিতায়। এই দৌড়ে পিছিয়ে নেই ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপের মালিক প্রতিষ্ঠান মেটা। বরং সবচেয়ে বড় বাজি ধরেছে তারাই। তবে এই বাজি এখন মেটার জন্য কিছুটা উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

মার্ক জুকারবার্গের প্রতিষ্ঠানটি এআই অবকাঠামো গড়তে যুক্তরাষ্ট্রে দুটি বিশাল ডেটা সেন্টার নির্মাণ করছে। আগামী তিন বছরে শুধু এ খাতেই ব্যয় হবে প্রায় ৬০০ বিলিয়ন ডলার। সম্প্রতি প্রকাশিত ত্রৈমাসিক আর্থিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত বছরের তুলনায় কোম্পানির অপারেটিং খরচ বেড়েছে সাত বিলিয়ন ডলার। আর মূলধনী ব্যয় বেড়েছে প্রায় ২০ বিলিয়ন ডলার।

জুকারবার্গ ব্যাখ্যা দিয়েছেন, এই ব্যয় মূলত ভবিষ্যতের জন্য বিনিয়োগ। “আমরা এমন একটি অবস্থায় যেতে চাই, যেখানে মেটার নিজস্ব শক্তিশালী এআই মডেল তৈরি হবে, যা অন্য কোথাও নেই,” বলেন তিনি।

তবে এই ব্যাখ্যায় বিনিয়োগকারীরা আশ্বস্ত হননি। প্রতিবেদনের দিন থেকেই মেটার শেয়ারমূল্য হুড়মুড় করে নামতে শুরু করে। দুই দিনের ব্যবধানে কোম্পানির বাজারমূল্য ২০০ বিলিয়ন ডলার কমে যায়।

বিশ্লেষকদের মতে, সমস্যা একটাই- এই বিপুল অর্থ ব্যয়ের বিনিময়ে এখনো কোনো দৃশ্যমান এআই পণ্য বাজারে আনতে পারেনি মেটা। গুগল বা ওপেনএআইয়ের মতো তাদের কোনো সফল বাণিজ্যিক পণ্য নেই। যা আয় বাড়াতে পারে।

মেটার সবচেয়ে আলোচিত এআই পণ্য মেটা এআই অ্যাসিস্ট্যান্ট। যা ব্যবহার করছে এক বিলিয়নের বেশি মানুষ। তবে এই সংখ্যা অনেকটাই ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের বিশাল ব্যবহারকারীভিত্তির কারণে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি এখনো চ্যাটজিপিটির মতো শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী নয়।

জুকারবার্গ জানিয়েছেন, তাদের ল্যাব থেকে তৈরি নতুন মডেলগুলো শিগগিরই বড় পরিবর্তন আনবে। তবে কবে তা বাজারে আসবে, সে বিষয়ে কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা দেননি।

বাজার বিশ্লেষকদের মতে, মেটা এখন এক সন্ধিক্ষণে। প্রতিষ্ঠানটি বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করছে। কিন্তু এখনো জানে না তারা ঠিক কোন পথে এআই ব্যবহার করবে। বিজ্ঞাপন, ব্যবসায়িক সেবা নাকি ভোক্তাপ্রযুক্তি খাতে।

এক কথায়, এআইয়ের ভবিষ্যতে বাজি ধরেছে মেটা। কিন্তু এখনো নিশ্চিত নয়, সেই ভবিষ্যৎ কবে আসবে।