এইদিনে শত্রুমুক্ত হয় চাঁপাইনবাবগঞ্জ
নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪প্রকাশিত : ১১:০৭ এএম, ১৫ ডিসেম্বর ২০২২ বৃহস্পতিবার

ফাইল ছবি
আজ ১৫ ডিসেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জ মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এইদিনে হানাদার বাহিনীর হাত থেকে মুক্ত হয় উত্তরাঞ্চলের সীমান্ত ঘেঁষা জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ। বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর, গোলাম নবী সাটু, নবির উদ্দীনসহ নাম না জানা অনেক মুক্তিযোদ্ধা প্রাণপণ যুদ্ধ করে ও বুকের রক্ত দিয়ে পাকিস্তানি বাহিনী এবং তাদের দোসরদের কবল থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জকে মুক্ত করেন।
মুক্তিযুদ্ধকালে ৭ নম্বর সেক্টরের অধীন চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহকুমায় ছিল দুটি সাবসেক্টর। একটি মোহদিপুর সাবসেক্টর, অন্যটি দলদলী সাবসেক্টর। মোহদিপুর সেক্টরের দায়িত্বে ছিলেন বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর এবং দলদলী সাবসেক্টরের দায়িত্বে ছিলেন লেফটেন্যান্ট রফিক।
মার্চ মাসে যুদ্ধ শুরু হলেও প্রথমদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জে যুদ্ধের তেমন প্রভাব পড়েনি। ১৯ এপ্রিল রাতে শহরে সেল বর্ষণ করে আতঙ্ক সৃষ্টি করে পাকিস্তানি বাহিনী। শহর দখল করে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালায় তারা। এমন পরিস্থিতিতে তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেতা ডা. মেসবাহুল হক বাচ্চু, ডা. মইন উদ্দিন আহমেদ মন্টু, হাজি রইশুদ্দিন মিয়া, খালেদ আলী মিয়া ও অ্যাডভোকেট হামিদুর রহমান হেনাসহ বেশকিছু উদীয়মান তরুণ এলাকার মানুষকে স্বাধীনতায় উজ্জীবিত করেন। তারপরই হানাদার বাহিনীকে প্রতিহত করতে সংগঠিত হতে থাকেন মুক্তিযোদ্ধারা। এসময় প্রশিক্ষণ নিতে ভারতেও পাড়ি জমান অনেকে। শেষের দিকে জেলার বেশকিছু স্থানে সম্মুখ যুদ্ধে আহত ও নিহত হন অনেকে।
যুদ্ধের একপর্যায়ে ৭ ডিসেম্বর লেফটেন্যান্ট রফিকের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা মকরমপুর ও আলীনগর পাকিস্তানি ঘাটিতে অতর্কিত আক্রমণ চালালে পাঁচ হানাদার সেনা নিহত ও অন্যরা মহানন্দা নদী পার হয়ে পালিয়ে যায়।
১০ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা চরবাগডাঙ্গা থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহর দখলের জন্য অগ্রসর হন এবং পাকিস্তানি সেনাদের বাংকার দখল করে নেন। ওইদিন প্রায় ৫০ জন মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের পশ্চিমে বারঘরিয়ায় অবস্থান নেন। ১১ ডিসেম্বর সেখানে ভারতীয় গোলন্দাজ বাহিনীর গোলাবর্ষণ করার কথা ছিল। কিন্তু সেটি হয়নি। পরবর্তীকালে ১২ ও ১৩ ডিসেম্বর একাধিকবার ভারতীয় বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে গিয়ে ব্যর্থ হন মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর। পরে তিনি সিদ্ধান্ত নেন ভারতীয় বাহিনীর সহযোগিতা ছাড়াই শত্রুদের অবস্থানে আক্রমণ করবেন এবং তিনি সেটিই করেন।
১৩ ডিসেম্বর যুদ্ধের তীব্রতা বেড়ে যায় এবং ওইদিন পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধারা আক্রমণ চালান। ওইরাতে হরিপুর ব্রিজের কাছে সংঘটিত যুদ্ধে শহীদ হন ইপিআর নায়েক নবির উদ্দীনসহ ছয়জন মুক্তিযোদ্ধা। এতে ৯ গ্রামবাসীও নিহত হন।
১৪ ডিসেম্বর শহরের রেহাইচর এলাকায় হানাদার বাহিনীর গুলিতে শহীদ হন বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর এবং তার মরদেহ সারাদিন ঘটনাস্থলে পড়েছিল। এ খবর পেয়ে ৭ নম্বর সেক্টরের যোদ্ধারা কান্নায় ভেঙে পড়েন এবং পরে ক্যাপ্টেন গিয়াস উদ্দীন, লেফটেন্যান্ট রফিকুল ইসলাম, লেফটেন্যান্ট আব্দুল কাইউম খান নিজ নিজ বাহিনী নিয়ে ১৪ ডিসেম্বর বিকেলে আবার তুমুল যুদ্ধ শুরু করেন। পরের দিন ১৫ ডিসেম্বর সকালে শত্রুমুক্ত হয় চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ওড়ানো হয় বিজয়ের পতাকা।
- ধর্মীয় অপব্যাখা ও রাজনৈতিক কারণে শিক্ষাক্রমের বিরোধিতা করা হচ্ছে
- প্রযুক্তি ব্যবহারে নারী-পুরুষ বৈষম্য দূর করতে হবে: স্পিকার
- ৯ এপ্রিল থেকে যেসব ব্যাংকে মিলবে নতুন নোট
- ভূমি ব্যবস্থাপনাকে ডিজিটাল করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- জন্মদিনে রুমির জন্য ভালোবাসা
- শিশুসাহিত্যিক ও ছড়াকার সিরাজুল ফরিদ আর নেই
- প্রথম ভূমি সম্মেলন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
- পরিকল্পিত ছিল ফেনীর প্রথম প্রতিরোধ যুদ্ধ
- নওগাঁয় সাড়ে ৪শত পরিবারকে খাদ্য বিতরণ
- স্কুলে হামলাকারী কিনেছিলেন ৭টি বৈধ অস্ত্র
- কুমিল্লায় কৃষকরা কুল চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে
- ওয়েব সিরিজে মাধুরীকে ‘বেশ্যা’ বলে অসম্মান!
- সবাই সচেতন হই, রাস্তাঘাট জীবাণুমুক্ত রাখি
- ঢাকাসহ দেশের ১১ অঞ্চলে ৮০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস
- রাজনৈতিক দলের তালিকা থেকে বাদ সু চির দল
- আজ থেকে একাদশে ভর্তির ৪র্থ ধাপের আবেদন শুরু
- বইমেলায় একদিনে ১২১ নতুন বই
- যৌতুক না দেওয়া-নেওয়ার শর্তে বুটেক্সে চাকরি
- ২৮ বছর পর ফের মুক্তি, ২ দিনে কত আয় করল ‘ডিডিএলজে’!
- সিরিজও হারল বাংলাদেশ
- কমল বয়স, শ্রাবন্তীকে দেখে চেনা দায়!
- ওয়ার্ল্ড ভিশনে চাকরির সুযোগ
- বাড়তে বাড়তে ব্রয়লার মুরগির দাম ২৬০
- ফের ট্রোলড হলেন শুভশ্রী
- বসন্তের আগমনে গাছে গাছে ফুটছে রঙিন ফুল
- আব্দুল জলিলের ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী
- সারাদেশে পালিত হচ্ছে ২১ ফেব্রুয়ারি
- আপাতত বিয়ে করে পায়ে বেড়ি পরতে চাচ্ছি না: জয়া
- মেট্রোরেলের উত্তরা সেন্টার স্টেশন খুলছে শনিবার
- আমাদের বাড়ি