কুমিল্লায় বন্যায় ক্ষতি ৩৩৬২ কোটি টাকা
উইমেনআই প্রতিবেদকঃ | উইমেননিউজ২৪প্রকাশিত : ০২:৫৩ পিএম, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ সোমবার
সংগৃহীত ছবি
এবারের বন্যায় কুমিল্লার ১৪ উপজেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জেলায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তিন হাজার ৩৬২ কোটি টাকার বেশি। এরমধ্যে বানের পানির স্রোতে মানুষের ঘরবাড়ি ভেঙে ও বিধ্বস্ত হয়ে ক্ষতি হয়েছে এক হাজার ৮৪ কোটি টাকার বেশি। এ তথ্য জানিয়েছেন জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা।
তবে বানভাসি ও ক্ষতিগ্রস্তরা বলছেন, সরকারি দপ্তরের হিসাব চেয়ে বাস্তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরো অনেক বেশি হবে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবেদ আলী বলেন, এখন পর্যন্ত প্রতিটি দপ্তর থেকে নেওয়া তথ্যে জেলায় বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তিন হাজার ৩৬২ কোটি ১৪ লাখ ৭৩ হাজার ৬৩৮ টাকা। ১৪ উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে বুড়িচং উপজেলায়। এ উপজেলায় ক্ষতির পরিমাণ ৫৫৬ কোটি ১৩ লাখ ৫৪ হাজার ৫৪৩ টাকা। এরপর ক্ষতি হয়েছে নাঙ্গলকোট উপজেলায়। এ উপজেলায় ক্ষতির পরিমাণ ৫২৮ কোটি ৮৯ লাখ ৬ হাজার ৭৭৮ টাকা।
চৌদ্দগ্রামে ৪৬১ কোটি, লাকসামে ৩৯২ কোটি, কুমিল্লা আদর্শ সদরে ৩৩১ কোটি, ব্রাহ্মণপাড়ায় ২৫৮ কোটি, দেবিদ্বারে ২৩৫ কোটি, মনোহরগঞ্জে ১৭৫ কোটি, বরুড়ায় ১২১ কোটি, কুমিল্লা সদর দক্ষিণে ১১৫ কোটি, লালমাইতে ৭১ কোটি, তিতাসে ৫৬ কোটি, মুরাদনগরে ৪৭ কোটি এবং দাউদকান্দিতে নয় কোটি টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
জেলায় মোট আট হাজার ৬৭৪টি বাড়িঘর পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জানিয়ে মোহাম্মদ আবেদ আলী বলেন, ভয়াবহ এই বন্যায় এসব বাড়িঘরের বেশিরভাগই বানের স্রোতে ভেসে গেছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে বুড়িচং উপজেলায়। এ উপজেলায় চার হাজার ১৪৩টি বাড়িঘর পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কুমিল্লা আদর্শ সদর, চৌদ্দগ্রাম ও মনোহরগঞ্জ উপজেলায় এক হাজারের বেশি করে তিন হাজারের বেশি বাড়িঘর পুরোপুরি ক্ষতির মুখে পড়েছে। বাকি উপজেলায় ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘরের সংখ্যা ৭৪ হাজার ৮১টি। ঘরবাড়ি ভেঙে ও বিধ্বস্ত হয়ে মোট ক্ষতি হয়েছে এক হাজার ৮৪ কোটি ১৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানানো হয়, বন্যায় কুমিল্লায় মোট ২৩ হাজার ৪২টি মৎস্য খামার (পুকুর, দিঘি, মাছের ঘের) ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে ২৫ হাজার ৫৩৮ দশমিক ৫০ টন মাছ, ১০ দশমিক ২৮ টন চিংড়ি এবং ১০ কোটি ১৭ লাখ সংখ্যক পোনামাছের ক্ষতি হয়েছে। বর্তমান বাজার মূল্য অনুযায়ী ৩৫৮ কোটি ১২ লাখ টাকার মাছ, পাঁচ কোটি টাকার বেশি চিংড়ি এবং ১৭ কোটি আট লাখ ৯২ হাজার টাকার পোনা জাতীয় মাছের ক্ষতি হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, বন্যায় রোপা আমনের বীজতলা, রোপা আমন, শাক-সবজি, রোপা আউশ ও আখের উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়েছে। কুমিল্লা জেলায় আবাদ করা জমির পরিমাণ এক লাখ ৩৫ হাজার ২৩৮ হেক্টর। যার মধ্যে ৬৩ হাজার ৯৭৪ হেক্টর জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবমিলিয়ে প্রায় ৮০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে কৃষিখাতে। জেলায় কৃষি ও মৎস্য সম্পদের পাশাপাশি প্রাণিসম্পদেরও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় জানায়, প্রাথমিক তথ্যে এই খাতে মোট ক্ষতি ৩০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। তবে এই ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. বেলাল হোসেন জানান, কুমিল্লায় বন্যায় মৎস্য খাতে ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। সেই হিসাবে প্রায় ৫০০ কোটি টাকার মত ক্ষতি হয়েছে। বানের পানি নেমে গেলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সঠিকভাবে বলা যাবে। ক্ষতির পরিমাণ আরো বাড়তে পারে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কুমিল্লার উপ-পরিচালক আইউব মাহমুদ বলেন, এবারের বন্যায় কুমিল্লায় কৃষকরা প্রচুর ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে কৃষি প্রণোদনা, বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ, ক্ষুদ্র ঋণ নেওয়ায় সহায়তা, বিনামূল্যে কৃষি সেবা ও সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা চন্দন কুমার পোদ্দার বলেন, জেলায় চার হাজারেরও বেশি গবাদিপশুর খামার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে দুই লাখ নয় হাজার বিভিন্ন জাতের গবাদিপশু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে গরুর সংখ্যা এক লাখ ২০ হাজার, ১৬টি মহিষ, ৩০ হাজার ছাগল, ৭০০ ভেড়া। তার মধ্যে মারা গেছে ৩৫টি গরু, তিনটি মহিষ, ১৭১টি ছাগল এবং সাতটি ভেড়া।
তিনি বলেন, এসবেব বাইরে দুই হাজার ২১৮টি খামারে ১৩ লাখ ৬৬ হাজার হাঁস-মুরগি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মারা গেছে ১০ লাখ ২২ হাজার মুরগি এবং ২ হাজারের বেশি হাঁস। এটি চূড়ান্ত তালিকা নয়। প্রাথমিকভাবে তালিকাটি তৈরি করা হয়েছে। বন্যার পানি নেমে গেলে সম্পূর্ণ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে।
কুমিল্লার জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের প্রক্রিয়া চলমান থাকবে। আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যার্তদের সব ধরনের সহযোগিতা করছি।
উল্লেখ্য, গত ১৯ আগস্ট থেকে কুমিল্লা বন্যায় প্লাবিত হতে থাকে। এরপর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বন্যার ভয়াবহতা বাড়তে থাকে। ২২ অগাস্ট রাত পৌনে ১২টায় গোমতী নদীর বাঁধ ভেঙে যায় বুড়িচং উপজেলার বুড়বুড়িয়া এলাকায়। এতে বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা পুরোপুরি প্লাবিত হয়ে তলিয়ে যায় মানুষের ঘরবাড়ি, বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। প্লাবিত হয় আশপাশের উপজেলাগুলোও।
- ‘অন্যায় করেছি, প্লিজ ক্ষমা করে দিও’
- ডেঙ্গুতে মৃত্যুশূন্য দিনে হাসপাতালে ভর্তি ৪৮৬
- খালেদা জিয়ার অবস্থা বিবেচনায় বিদেশে নেওয়ার সিদ্ধান্ত
- দ্বীনের পথে চলবেন জানিয়ে নায়িকার পোস্ট, পরে ডিলিট!
- পাকিস্তানকে হারিয়ে সিরিজে সমতা বাংলাদেশের
- যমজ সন্তান জন্ম, মারা গেলেন পাকিস্তানি কনটেন্ট ক্রিয়েটর
- মার্ডার-মিস্ট্রি সিনেমায় সজলের নায়িকা অপু
- ইন্দোনেশিয়া-শ্রীলঙ্কা-থাইল্যান্ডে মৃতের সংখ্যা ১৮০০ ছুঁইছুঁই
- কাঠমান্ডুতে বড় হারে শুরু সানজিদাদের
- মরণব্যাধি জয় করে বিসিএস ক্যাডার হলেন প্রিয়াংকা
- রোববার থেকে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রাথমিক শিক্ষকদের
- থাইরয়েডের লক্ষণ: অবহেলা করলেই বিপদ!
- মেটার ‘ফিনিক্স’ মিক্সড রিয়েলিটি চশমার উদ্বোধন পেছাল
- প্রতি রাতে এক কোয়া রসুন খেলে কী হয়?
- খালেদা জিয়ার অবস্থা এখনও উদ্বেগজনক
- মিরপুর চিড়িয়াখানার খাঁচা থেকে বেরিয়ে গেল সিংহ
- বেশির ভাগ সবজিই ৬০-৮০ টাকার ওপরে
- লিভার ভালো রাখতে যে ৩ খাবার খাবেন
- ইউএনও হলেন লাক্স সুন্দরী সোহানিয়া
- পিঠা খেতে ঢাকা ছাড়লেন পরীমণি
- খালেদা জিয়া জন্য জার্মানি থেকে আসছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স
- কনার নতুন ছবি ঘিরে বিয়ের গুঞ্জন
- বিশৃঙ্খলায় ডুবছে গ্রোকিপিডিয়া
- আরও পেছাল খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রা
- আজ আসছে না এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা পেছাল
- খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ারে জুবাইদা রহমান
- খালেদা জিয়ার অবস্থা এখনও উদ্বেগজনক
- বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ে
- সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি স্থগিত
- ‘শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ভারতের ইতিবাচক সাড়া নেই’











