ঢাকা, শনিবার ০৬, ডিসেম্বর ২০২৫ ১৯:৪০:৫৮ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
খালেদা জিয়ার অবস্থা এখনও উদ্বেগজনক আরও পেছাল খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রা খালেদা জিয়ার এন্ডোসকপি সম্পন্ন, থামানো গেছে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ আগারগাঁওয়ে গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, নারীসহ দগ্ধ ৬ প্রবাসীদের নিবন্ধন ছাড়াল এক লাখ ৯৩ হাজার

গোপালগঞ্জে ঘের পাড়ে সাম্মাম ফল চাষে চমক

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:৪০ পিএম, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ রবিবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

থাইল্যান্ডের বাঙ্গি জাতের ফল সাম্মাম পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন গোপালগঞ্জের কৃষক অবনি মন্ডল। কৃষি অফিস থেকে সহযোগিতা ও পরামর্শ নিয়ে তিনি ঘের পাড়ে মাত্র ৭০টি গাছ লাগিয়ে সফল হয়েছেন। আগামীতে আরও বেশি জমিতে সাম্মাম চাষ করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

জানা গেছে, বাংলাদেশের মাটিতে নতুন করে আবাদ হচ্ছে সাম্মাম। তবে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে এটি রকমেলন, সুইটমেলন, মাস্কমেলন, হানি ডিউ নামেও পরিচিতি। ফলটির বাইরের অংশ হলুদ এবং ভেতরের অংশ লাল। তবে খেতে খুবই মিষ্টি ও সুস্বাদু।

আরও জানা গেছে, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের কৃষক অবনি মন্ডল। প্রায় ৩০ বছর ধরে তিনি ঘেরে মাছ চাষ ও ঘের পাড়ে বিভিন্ন সবজি চাষ করে থাকেন। কিন্তু এ বছর তিনি পরীক্ষমূলকভাবে থাইল্যান্ডের বাঙ্গি জাতের ফল সাম্মাম চাষ করেছেন। আর তাতেই মিলেছে সফলতা।

চলতি বছরের মে মাসে বাজার থেকে মাত্র ৫০০ টাকার বীজ কেনেন। পঁচা কচুরিপানার মাধ্যমে বীজ থেকে চারা বের করে ১৫ দিনের মাথায় ঘেরের দুই পাড়ে ৭০টি গাছ রোপণ করেন তিনি। এরপর ৩০ দিনেই প্রতিটি গাছে ফল আসতে শুরু করে। ৪৫ দিনে প্রতিটি ফলের ওজন হয় দেড় থেকে দুই কেজি। প্রতিটি ফল কেজি দরে বিক্রি করছেন ১০০-১২০ টাকা। এ পর্যন্ত ১৫ হাজার টাকার ফল বিক্রি করেছেন। আরও পাঁচ হাজার টাকার ফল বিক্রি করবেন।

কৃষক অবনি মন্ডল বলেন, নাতিকে নিয়ে গোপালগঞ্জ বাজারে গিয়েছিলাম। সেখানে নাতি সাম্মাম ফল দেখে খেতে চায়। পরে ১৬০ টাকা দিয়ে একটি সাম্মাম ফল কিনি। ওই দিন এই ফল দেখে চাষ করার ইচ্ছা জাগে। পরে কৃষি অফিস থেকে সহযোগিতা ও পরামর্শ নিয়ে ঘেরে চাষ করি। ৪৫ দিনেই প্রতিটি ফল কেজি দরে ১০০-১২০ করে বিক্রি করেছি। খুবই লাভজনক একটা ফসল। আগামীতে আরও বেশি জমিতে চাষ করব।

কৃষক অবনি মন্ডলের ছেলে সুশান্ত মন্ডল বলেন, সাম্মাম ফল চাষের প্রথম থেকেই আমি বাবার সঙ্গে থেকে সাহায্য করছি। ভালো ফলনও পেয়েছি। কৃষি অফিস থেকেও অনেক সহযোগিতা ও পরামর্শ পেয়েছি। আগামীতে আরও বেশি জমিতে চাষ করার ইচ্ছা আছে।

গোপালগঞ্জ কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক অরবিন্দ কুমার রায় বলেন, সাম্মাম হচ্ছে থাইল্যান্ডের বাঙ্গি ফলেরই একটি জাত। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে এটিকে রকমেলন, সুইটমেলন, মাস্কমেলন, হানি ডিউ নামে জানে। এটি অল্প দিনে স্বল্প খরচের খুব লাভজনক একটা ফসল। বাণিজ্যিকভাবে চাষে কৃষকরা খুবই লাভবান হবেন বলে আমি মনে করি। আমি আশপাশের কৃষকদের আহ্বান জানাব সাম্মাম চাষে আগ্রহী হওয়ার জন্য।