ঢাকা, বুধবার ১৭, ডিসেম্বর ২০২৫ ১৭:৩৯:০২ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
ভোটের ওপর নির্ভর করছে দেশের সবার ভবিষ্যৎ ভোটের প্রস্তুতি নিয়ে ইসি এখনও অগোছালো ‘আমাকে বিদায় দিতে দয়া করে কেউ এয়ারপোর্টে যাবেন না’ বাংলাদেশে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশন পাঠাবে ইইউ নেতানিয়াহুকে ‘কড়া’ ভাষায় গোপন বার্তা হোয়াইট হাউসের

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির যোগ্যতা বাড়ায় বিপাকে শিক্ষার্থীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৫:২৩ পিএম, ২১ মে ২০২২ শনিবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তির যোগ্যতা বাড়ানো হয়েছে। এবার এসএসসিতে জিপিএ ৩.০০ থেকে বাড়িয়ে ৩.৫০ করা হয়েছে। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। কারণ, এদের অনেকেরই প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সামর্থ্য নেই। ফলে জিপিএ কম থাকায় এসব শিক্ষার্থীর উচ্চশিক্ষা থেকে বঞ্চিত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।

এ বিষয়ে মো. ফয়সাল ইসলাম নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, প্রান্তিক পর্যায়ে শিক্ষার মান উন্নত না করে এই সিদ্ধান্ত আত্মঘাতী। এ রকম হটকারী সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।

প্রিন্স নূর নামে একজন বলেন, সামগ্রিকভাবে খুবই খারাপ হবে। কারণ, অধিকাংশ গরিব ও দুর্বল ছাত্রদের আস্থার জায়গা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। এখন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ছাড়া এদের উপায় থাকবে না। ফলে তারা উচ্চশিক্ষা থেকে ছিটকে পড়বে।

মনসুরা আফরোজ সুপ্তি নামে একজন বলেন, খারাপ একটি সিদ্ধান্ত। অনেক ছাত্র হয় তো আছে এসএসসিতে খারাপ ফলাফল করেছে, এরপর চেষ্টা করে এইচএসসিতে ভালো ফলাফল করেছে। দুটো মিলিয়ে হয় তো তার জিপিএ ৮.০০ আসছে। কিন্তু তারপরও সে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হতে পারবে না। এটা খুবই অসন্তোষজনক। কারণ, অনেকেরই প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সামর্থ্য নেই। সে ক্ষেত্রে তার ক্যারিয়ারটা নষ্ট হতে পারে।

সিদ্দিক-উর-রহমান নামে এক শিক্ষার্থী জানান, তার এসএসসির ফলাফল কিছুটা খারাপ, তবে এইচএসসির ফলাফল ভালো। এখন এসএসসিতে ভর্তির যোগ্যতা বাড়ায় তার উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন শেষ হয়ে গেছে।

এ বিষয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মশিউর রহমান বলেন, বিগত বছরগুলোর ভর্তি পরীক্ষায় ৩.৫-এর নিচে পয়েন্টপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ পেলেও ভর্তি হওয়ার সুযোগ কমসংখ্যকই পেয়েছে। এ কারণে ৩.৫-এর নিচে পয়েন্টপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষায় সুযোগ দিয়ে অযথা ভর্তি ফি না নেওয়ার জন্যই এ বছর থেকে আমরা এই নিয়ম চালু করছি।