ঢাকা, মঙ্গলবার ২৩, ডিসেম্বর ২০২৫ ৫:২১:৪৯ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
‘সরকারকে অবশ্যই মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে’ দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের ভিসা সেবা বন্ধ ঘোষণা প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি নিয়ে বৈঠক কলকাতায় বাংলাদেশ হাইকমিশন ‘না রাখতে’ দেওয়ার হুমকি শুভেন্দুর ২৭ ডিসেম্বর ভোটার হবেন তারেক রহমান দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে সোনা

দেশীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নে চীনা নারীরা প্রথম

অনলাইন ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪.কম

আপডেট: ০৮:০১ পিএম, ১১ মে ২০১৮ শুক্রবার

আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ম্যাককিনসে গ্লোবাল ইনস্টিটিউট সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চীনে জিডিপির ৪১ শতাংশে অবদান রাখেন নারীরা। দ্য ইকোনমিস্টের এক প্রতিবেদনে ম্যাককিনসের প্রতিবেদনের বিষয়ে তুলে ধরা হয়েছে।

 

বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতির দেশ চীন। দেশটি ২০৩২ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে শীর্ষ অর্থনীতিতে পরিণত হতে পারে বলে অভিমত দিচ্ছে বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান। চীনের এই অগ্রগতিতে সে দেশের নারীদের অবদান কতটুকু, স্পষ্টই ওপরের পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে।

 

এমনকি চীনের জিডিপিতে নারীর অবদান এখন যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে বেশি। মার্কিন সাময়িকী ফোর্বসের তথ্যে দেখা গেছে, বিশ্বের ১৪৭ জন নারী শত কোটিপতির (বিলিয়নিয়ার) ১১৪ জনই চীনা নারী। যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের এ সংখ্যা মাত্র ১৪।

 

সেক্ষেত্রে বলা চলে, বিশ্বের অন্য দেশগুলোর চেয়ে অনেকাংশে এগিয়ে যাচ্ছে চীনের নারীরা। ম্যাককিনসের অন্যতম লেখক, প্রতিবেদক আনু মাদগাঁওকার মনে করেন, কেবল চীন নয়, অগ্রগতি এসেছে এশিয়ার অন্যান্য দেশেও। নারীরা এখন অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছেন, ভবিষ্যতে আরও বেশি পারবেন।

 

প্রতিবেদনে বেশ কয়েকটি দেশের উদাহরণ তুলে ধরেছে ম্যাককিনসে। বিশেষ করে বিগত ১০ বছরে কর্মক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ বেড়েছে জাপানে, ফিলিপাইনে পেশাগত বা কারিগরি কাজের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের অনুপাত এখন ১৪২ : ১০০। অর্থাৎ এখানেও নারীর সংখ্যা বেশি।

 

এ বিষয়ে ম্যাককিনসে একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। তালিকায় দেখা যায়, জিডিপিতে নারীর অবদান থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়ায় ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ। দক্ষিণ কোরিয়া, ফিলিপাইনস, জাপান, ইন্দোনেশিয়ায় এই হার ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ।

 

তবে বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানে এই হার বেশ কম। জিডিপিতে নারীর অবদান বাংলাদেশে ১৯ শতাংশ, ভারতে ১৮ শতাংশ ও পাকিস্তানে ১০ শতাংশ।

 

গত এপ্রিলে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৫ সালের হিসাব অনুযায়ী সারা বিশ্বে জিডিপিতে নারীর অবদান ৩৭ শতাংশ। যার মধ্যে চীনে ৪১ শতাংশ, পূর্ব ইউরোপ ও সেন্ট্রাল এশিয়ায় ৪১ শতাংশ। অন্যদিকে, দক্ষিণ এশিয়ায় এই হার ২৪ শতাংশ।

 

ম্যাককিনসে গবেষণায় বলছে, চীন যদি নারীদের কর্মসংস্থান, ঘণ্টা ও উৎপাদনশীলতা বাড়ায়, তাহলে ২০২৫ সাল নাগাদ আরও ১৩ শতাংশ জিডিপি বাড়াতে পারবে। অর্থাৎ অর্থনীতিতে যোগ হবে বাড়তি ২ দশমিক ৬ ট্রিলিয়ন ডলার, যা প্রায় ফ্রান্সের অর্থনীতির সমান। ভারতে অর্থনৈতিক উন্নয়নে জন্য কর্মক্ষেত্রে অন্তত ৩৭ শতাংশ নারীর অংশগ্রহণ প্রয়োজন, বর্তমানে যা ২৭ শতাংশ। তবে এ ধারণা ঠিক নয় যে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও নারীদের কর্মসংস্থান একতালে চলে।

 

ভারতের মতো দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশে দেখা যায়, বাড়ির পুরুষ ব্যক্তিটি ভালো উপার্জন করলে নারী কর্মক্ষেত্র থেকে সরে আসে। অর্থাৎ পারিবারিক উপার্জন বাড়লে নারীর বাইরে কাজের প্রয়োজনীয়তা কমে যায়। অবশ্য নেপাল ও মিয়ানমারের ক্ষেত্রে এমনটা দেখা যায় না। এখানে পুরুষের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কাজ করতে হয় নারীদের। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এ দেশগুলোতে কৃষিকাজে নারীর অংশগ্রহণ আবশ্যক হয়ে পড়ে।

 

জিডিপিতে নারীর অনেক কাজই লিপিবদ্ধ হচ্ছে না। ম্যাককিনসে এখানে অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংস্থার (ওইসিডি) পরিসংখ্যান তুলে ধরেছে। চীনে নারীরা যেসব কাজ করে, তার ৭৩ ভাগই বিনা পারিশ্রমিকের কাজ। দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও চীনে এই হার যথাক্রমে ৮৩, ৮৪ ও ৮৫ শতাংশ।

 

গৃহস্থালির নানা ধরনের কাজে হাড়ভাঙা পরিশ্রম, সন্তানের জন্ম দেওয়া ও তাদের নিবিড় প্রতিপালন ইত্যাদি ক্ষেত্রে নারীরা দিনের পর দিন ধরে সকাল-সন্ধ্যা যে কাজ করেন, তা মূলত বেতনহীন পারিবারিক শ্রম দান। জিডিপির পরিমাপ নির্ধারণের হিসাব-তালিকার এসব কাজ বাইরে রাখা হয়। নারীরা যদি সবাই পারিশ্রমিক পাওয়া যায় এমন কাজ করেন, তাহলে বিনা পারিশ্রমিকের কাজগুলো কে করবে আর সেটারই বা হিসেব কিভাবে হবে।

 

এমন একটি প্রশ্ন উঠতেই পারে যার প্রতিউত্তরে ম্যাককিনসে সমাধানের পথ হিসেবে বলা হয়েছে, ঘরের কাজ পুরুষেরাও করবেন বা অর্থ দিয়ে কর্মী রাখবেন। আর্থিক মূল্য বিবেচনা হওয়ায় সেই কর্মীদের অবদানও জিডিপিতে যোগ হবে। বিশ্বের দেশীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নে ১ নম্বরে চীনের নারীরা