দেশে স্মার্টফোন-ইন্টারনেট ব্যবহারে পিছিয়ে নারীরা
নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪প্রকাশিত : ১১:৩৬ এএম, ১৭ মে ২০২৫ শনিবার

সংগৃহীত ছবি
বিশ্বব্যাপী ৭৮ শতাংশ পুরুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করলেও নারীদের মধ্যে এ হার ৬৬ শতাংশ। বাংলাদেশে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে পুরুষের হার ৪০ শতাংশ, নারীর হার ২৪ শতাংশ। এখানে লিঙ্গবৈষম্যের হার ১৬ শতাংশ। বাংলাদেশে মোবাইল ব্যবহারকারী পুরুষ ৪০ শতাংশ স্মার্টফোন ব্যবহার করলেও নারীর হার ২২ শতাংশ। গ্লোবাল সিস্টেম ফর মোবাইল কমিউনিকেশন অ্যাসোসিয়েশনের (জিএসএমএ) ২০২৫ সালের প্রতিবেদনে এ চিত্র দেখা যায়। এমন পরিস্থিতিতে ‘ডিজিটাল রূপান্তরে নারী-পুরুষ সমতায়ন’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আজ পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস।
দিবসটি উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার বাণী দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এতে তিনি বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনাকে ধারণ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ডিজিটাল রূপান্তরের সব ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমান সুযোগ ও অধিকার নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। টেলিযোগাযোগ সেবা ও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারসহ ডিজিটাল রূপান্তরে নারী-পুরুষের সমান অংশগ্রহণ বৈষম্যমুক্ত ও আধুনিক সমাজ বিনির্মাণের পূর্বশর্ত।’
জিএসএমএর প্রতিবেদনে বলা হয়, নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোয় এখনো পুরুষের তুলনায় নারীর মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারের হার ১৫ শতাংশ কম। বিশ্বব্যাপী নারী-পুরুষের এমন ডিজিটাল বৈষম্য কমিয়ে আনার লক্ষ্যেই চলতি বছর আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নের (আইটিইউ) ১৬০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। বলা হয়, প্রযুক্তি ব্যবহারের প্রতিটি ধাপে মানুষই হবে কেন্দ্রবিন্দু—নারী বা পুরুষ নয়। টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তির নীতিমালাগুলো এমন হতে হবে, যেখানে প্রান্তিক ও অবহেলিত জনগোষ্ঠীর জন্য ডিজিটাল পরিবেশ হবে নিরাপদ, সক্ষমতাবর্ধক এবং প্রণোদনামূলক।
বাংলাদেশে মোবাইলের মালিকানায় লিঙ্গবৈষম্যের হারও অনেক বেশি। প্রতিবেদনে দেখা যায়, দেশে ৮৫ শতাংশ পুরুষের মোবাইল ফোনের মালিকানা রয়েছে, বিপরীতে নারীদের হার ৬৮ শতাংশ। এখানে লিঙ্গবৈষম্যের হার ২০ শতাংশ।
দেশে ২১ শতাংশ নারী প্রতিদিন মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকেন। অন্যদিকে, পুরুষের মধ্যে প্রতিদিন মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারের হার ৩৭ শতাংশ। স্মার্টফোনের মালিকানায়ও বাংলাদেশে লিঙ্গবৈষম্য অনেক প্রকট বলে জিএসএমএর প্রতিবেদেন উঠে আসে। দেখা যায়, দেশে স্মার্টফোনের মালিকানায় লিঙ্গবৈষম্য ৪৩ শতাংশ। বাংলাদেশে মোবাইল ব্যবহারকারী পুরুষের ৪০ শতাংশ স্মার্টফোন ব্যবহার করলেও নারীদের হার ২২ শতাংশ।
জিএসএমএর প্রতিবেদনে দেখা যায়, নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোয় এখনো মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারের বাইরে আছে ৭৮ কোটি ৫০ লাখ নারী। তাদের মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ নারীর বসবাস দক্ষিণ এশিয়া এবং সাব-সাহারান আফ্রিকায়। দক্ষিণ এশিয়ায় নারী-পুরুষের মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারে লিঙ্গবৈষম্যের হার ৩১ শতাংশ।
এবার আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ দিবস পালন উপলক্ষে অযাচিত ব্যয় সংকোচন করবে সরকার। দিবসের মূল অনুষ্ঠান হবে রাজধানীর বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) প্রধান কার্যালয়ে। এতে উদ্বোধনসহ দিবসটি সম্পর্কে আলোচনা হবে। পরবর্তী সময়ে টেলিযোগাযোগ খাতের সংশ্লিষ্ট রেগুলেটর, উদ্যোক্তা, একাডেমিয়া এবং বিশেষজ্ঞের সমন্বয়ে সেমিনারের আয়োজন করা হবে।
এ ছাড়া দিবসটি উপলক্ষে ডাক অধিদপ্তরের আয়োজনে ডাক টিকিট অবমুক্ত করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। পাশাপাশি টেলিযোগাযোগ খাতের উদ্যোক্তা ও লাইসেন্সিদের সমন্বয়ে বিটিআরসি প্রাঙ্গণে মেলা হবে। দিবসটি সামনে রেখে এরই মধ্যে মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির মাধ্যমে স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে হ্যাকাথন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।
জানা যায়, টেলিযোগাযোগ দিবস উপলক্ষে এ খাতে দেশ-বিদেশে বিশেষ অবদানের জন্য যোগ্য ব্যক্তি/দলকে সম্মাননা দেওয়া হবে। এ ছাড়া জুলাই আন্দোলনে আহত বীরদের বিশেষ ডিভাইস সরবরাহ করা হবে।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব কালবেলাকে বলেন, ডিজিটাল দক্ষতা ও প্রযুক্তি খাতে নারীদের এগিয়ে নিতে সরকার ‘হার পাওয়ার’ প্রকল্প ফেস টু শুরু করতে যাচ্ছে। এখন থেকে যেসব নারী আইসিটি প্রশিক্ষণ নেবেন, তাদের সার্টিফিকেট দেওয়া হবে, যাতে তারা এটিকে কাজে লাগাতে পারেন। এ ছাড়া বিভিন্ন ইনকিউবেশন সেন্টার ও আইসিটি প্রশিক্ষণে নারী-পুরুষ প্রশিক্ষণার্থীর হার ৫০-৫০-এ নিয়ে আসার চেষ্টা করছে সরকার।
তিনি জানান, এরই মধ্যে দেশের সব মোবাইল টাওয়ারকে ফাইবারাইজেশন করার কথা ভাবছে সরকার। পাশাপাশি প্রত্যন্ত অঞ্চলে ফাইবার নেটওয়ার্ক ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে। যাতে প্রান্তিক মানুষ ডিজিটাল উদ্যোগের সুফল ভোগ করতে পারেন এবং ডিজিটালি ক্ষমতাবান হন।
১৮৬৫ সালের ১৭ মে ফ্রান্সের প্যারিসে আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়ন (আইটিইউ) প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৬৯ সালের ১৭ মে প্রথমবার ‘বিশ্ব টেলিযোগাযোগ দিবস’ পালিত হয়। ২০০৬ সালের ১৭ মে দিনটিকে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ‘বিশ্ব তথ্য সংঘ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে। একই বছরে দুটি দিবসকে একত্রিত করে ‘বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস’ হিসেবে উদযাপন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
- স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সন্ধ্যায় হাসপাতালে যাবেন খালেদা জিয়া
- উপকূলে চলছে ভারী বর্ষণ, জনজীবন স্থবির
- বাসের ধাক্কায় মা-ছেলেসহ সিএনজির তিন যাত্রী নিহত
- আজ বুধবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ
- ৬০ কিমি বেগে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টির আভাস
- মেহেরপুরে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
- দেশে শিশুদের অপুষ্টি সংকট এখনও প্রকট
- নানাবাড়ি গেলেই মন ভালো হয়ে যায়: পরীমণি
- এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের সময় বাড়লো
- সাগরে তৈরি হচ্ছে বজ্রমেঘ, সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত
- ভয়াবহ বায়ু দূষণের শিকার নারী ও শিশুরা
- অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে আজও সচিবালয়ে বিক্ষোভ
- হাসিনা-কামালকে আত্মসমর্পণের নির্দেশে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি জারি
- সাবেক হাইকমিশনার মুনার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু
- তিনদিনেও সন্ধান মেলেনি নিখোঁজ শিশু নাসিমার
- ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যেই নির্বাচন, জানালেন রিজওয়ানা
- প্রথম বারের মতো কাবাডি টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশ নারী দল
- আল্লাহ না চাইলে বিশ্বকাপের টিকিট পেতাম না: জ্যোতি
- ক্যারিয়ার সেরা র্যাংকিংয়ে সেরা দশে নাহিদা
- আজ বিশ্ব পরিবার দিবস, পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান
- নারী বিশ্বকাপের মূলপর্বে বাংলাদেশ
- দুই পুত্রবধূকে নিয়ে নিজ বাসভবন ফিরোজায় খালেদা জিয়া
- বড় হারে অনিশ্চয়তায় বাংলাদেশের বিশ্বকাপ স্বপ্ন
- চয়নিকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি
- তুমি আমার আশ্রয়, আবেগী বার্তা কোহলির
- গরমে সর্দি-কাশি-ঠান্ডার সমস্যায় সুস্থ থাকার উপায়
- ভাইরাল হওয়া পরীমণির ছবি নিয়ে যা জানা গেল
- দেশের পথে খালেদা জিয়া
- সম্পদের তথ্য গোপন মামলায় জোবাইদার জামিন
- ইয়াশ-তটিনীর আত্মহত্যার চেষ্টা !