ঢাকা, মঙ্গলবার ২৩, ডিসেম্বর ২০২৫ ১:৪৮:১৯ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
‘সরকারকে অবশ্যই মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে’ দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের ভিসা সেবা বন্ধ ঘোষণা প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি নিয়ে বৈঠক কলকাতায় বাংলাদেশ হাইকমিশন ‘না রাখতে’ দেওয়ার হুমকি শুভেন্দুর ২৭ ডিসেম্বর ভোটার হবেন তারেক রহমান দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে সোনা

নানা অজুহাতে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি অব্যাহত

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪.কম

আপডেট: ০২:১৩ পিএম, ৭ আগস্ট ২০১৮ মঙ্গলবার

রাজধানীর বাজারে প্রতিদিনই নানা অযুহাতে ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন পণ্যের দাম বাড়াচ্ছে। গেল সপ্তাহ থেকে এ সপ্তাহের শুরুতেও সবজি সহ সব কিছুর দাম চড়া। এবার দাম বৃদ্ধির অযুহাত হল নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন।


যার  প্রভাব পড়েছে রাজধানীর বাজারে। নতুন করে দাম না বাড়লেও পরিবহন সংকটের কারণে সব ধরনের সবজি বিক্রি হচ্ছে উচ্চ মূল্যে।


আজ রোববার রাজধানীর কাওরানবাজার, নিউমার্কেট,গুলবাগ,রামপুরা, মধ্য বাড্ডা,ফার্মগেট এলাকার কয়েকটি বাজার সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় সব পণ্যের দাম বেশি। 


বাজারগুলোতে প্রতি কেজি গাজর ৬০ টাকা, বরবটি ৫০-৫৫ টাকা, শসা ৬০-৬৫ টাকা, বেগুন ৪০-৫০ টাকা, করলা মানভেদে ৫০-৬০ টাকা, টমেটো ৯০-১০০ টাকা ,চিচিঙ্গা ৪৫ টাকা, পেঁপে ৩০-৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, মাঝারি আকারের লাউ প্রতিটি ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।


তবে কাঁচা মরিচের দাম কিছুটা কমেছে। কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে  প্রতি কেজি ১০০-১২০ টাকায় । দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়।


রাজধানীর কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. জুবায়ের বলেন, শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে পরিবহন সংকট দেখা দিয়েছে। এতে বিভিন্ন জেলা থেকে সবজি রাজধানীর বাজারে আসছে না। তাই চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় দাম একটু বাড়তি। 



প্রতি ডজন ফার্মের ডিম ৩ টাকা বেড়ে বিক্রি হয় ১০৮ টাকায়। আদার দামও বাড়তি। গত সপ্তাহের তুলনায় ১০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি আদা বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা। ৮০-৯০ টাকা কেজি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৯০-১১০ টাকা।


এদিকে কোরবানির ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে মসলার বাজার তত উত্তাপ ছড়াতে শুরু করেছে। রোববার খুচরা বাজারে প্রতি কেজি এলাচ বিক্রি হয়েছে ১৮৫০-১৯০০ টাকা।  দারুচিনি বিক্রি হয়েছে ২৮০ টাকা।  জিরা (টার্কি) ৪১০ ও ইন্ডিয়ান জিরা ৩১০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। 


মাছ বাজারে গিয়ে দেখা যায় প্রতি কেজি রুই ও কাতলা ২৩০-৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কেজি প্রতি বড় আকারের চিংড়ি এক হাজার টাকা, মাঝারি আকারের চিংড়ি ৭০০-৭২০ টাকা ও ছোট আকারের চিংড়ি ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।


এ ছাড়া কেজি প্রতি তেলাপিয়া ১৩০-১৪০ টাকা, কই ১৪৫-১৫৫ টাকা, সিলভার কার্প ১০০-১৩০ টাকা, পাবদা ৪০০-৪৫০ টাকা, পাঙ্গাশ ১১০-১৩০ টাকা, নলা ১২৫-১৩৫ টাকা , সরপুঁটি ১৪০ টাকা ও নলা ১২৫-১৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 


মাংসের বাজার স্থিতিশীল আছে। ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৬৫ টাকায় বিক্রি হয়। পাকিস্তানি মুরগি আকারভেদে ১৫০-৩০০ টাকা, লেয়ার ২০০ টাকা ও গরুর মাংস ৪৭০-৫০০ টাকায় বিক্রি হয়।